হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলের অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে আজ একটি নতুন বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। বর্তমানে ট্রাভেলিং করাটা বাংলাদেশে অনেকটাই দুস্কর একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করছে যার কারণে জনসাধারণের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সবসময় আমি সাধারণত ট্রেন ব্যবহার করি কারণ ট্রেনের জার্নি টা অনেকটা সেভ বলে মনে হয় আমার কাছে। এছাড়াও ট্রেনে আজ যাতায়াত করলে কুয়াশা কিংবা দুর্ঘটনা জনিত সমস্যাগুলো অনেক কম দেখা দেয়। যেহেতু বর্তমানে শীতকাল চলছে এবং উত্তরাঞ্চলের মাত্রা অতিরিক্ত শীত পড়ে এবং কুয়াশাও থাকে। যার জন্য বিভিন্ন সময়ে বাস এক্সিডেন্ট অনেক বেশি পরিমাণে হয়। এই তো কিছুদিন আগে একসাথে একটানা নয়টা বাস এক্সিডেন্ট করেছিল কুয়াশার কারণে।
অনেক কিছু বিবেচনা করে পরবর্তীতে আবার বাসেই টিকিট কাটতে হলো। এর মূল একটি কারণ হচ্ছে বর্তমানে যখন তখন আন্দোলন অবরোধ শুরু হচ্ছে। এইতো আমার মা যখন ঢাকা থেকে নীলফামারী আসবে তখন আমার মায়ের জন্য ট্রেনের টিকিট করেছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের কারণে সেদিন আর ট্রেনে ছারা হয় নি। যাইহোক একটি বাসের টিকিট কাটা হয়েছিল এবং যথাসময়ে বাস কাউন্টারে এসে পৌঁছে যাই। যদিও একাই ট্রাভেলিং করব এবং সেই বাস ছিল স্লিপার কোচ অর্থাৎ শুয়ে শুয়ে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। এই বাসেরও একটি ভালো রেকর্ড রয়েছে, এরা মাত্রা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায় না।
এর আগেও আম্মুকে এবং আমার ছোট ভাইকে সেই বাসেই পাঠিয়েছিলাম। তাই সেই রেপুটেশন সম্পর্কে আমি একটি সচেতন হয়েছি। তাই সেখানেই টিকিট করেছিলাম এবং যথাসময়ে গাড়িতে উঠে যাই এবং ঢাকা থেকে বের হওয়ার সময় খুব বেশি একটা যানজটেও পড়তে হয়নি। ঠিক আনুমানিক রাত ২ঃ৩০ টার দিকে আমরা ফুড ভিলেজে নামি এবং সেখানেই ডিনার করে ফেলি। যেহেতু বগুড়ার দই বাংলাদেশে বিখ্যাত তাই সেখান থেকে কিছু বগুড়ার দই সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলাম। আরাই কেজির মতো বগুড়ার দই নিয়েছি এবং অনেকটা আনন্দের সাহিত আমি আমার বাসায় ফিরে আসতে পেরেছি জন্য সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমি ভেবেছিলাম হয়তো ঢাকার মত এখানে ঠান্ডা অনেকটা কমে গেছে কিন্তু এখানে আসার পরেই আমার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ রূপেই পরিবর্তন হয়ে যায়। কারণ এই এলাকায় এখনো সেই পরিমাণ ঠান্ডা রয়েছে। এদিকে আবার আমি ঠান্ডার কাপড় গুলো সবগুলোই প্রায় ঢাকায় রেখে এসেছি। এদিক থেকে একটু কষ্ট হচ্ছে তবে বাসায় যেগুলো রয়েছে সেগুলো দিয়ে এই কয়েকদিন কাটিয়ে দেওয়া যাবে আশা করছি। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ঢাকা টু নীলফামারী
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
বলেন কি ভাই নীলফামারিতে এখনও শীত রয়েছে তাহলে। আর আমরা তো এখনই রাতের বেলা ফ্যান চালু করে ঘুমাচ্ছি হা হা হা। শীতের কাপড় গুলো ঢাকা থেকে নিয়ে গেলেই ভালো হতো তাহলে। যাইহোক স্লিপার কোচে চড়ে ঠিকঠাক মতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit