হ্যালো বন্ধুগণ,
আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
জুন ০৫, ২০২৩ ইং তারিখে বি কে টি টি সি এ অনুষ্ঠিত জব ফেয়ারে কোম্পানি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে অংশগ্রহণ করি।
ক্রেস্টের সঙ্গে আমি
আমাদের সংগে বেশ কিছুদিন থেকেই তারা যোগাযোগ করছিলেন আমরা যেনো জব ফেয়ার এ অংশগ্রহন করি। প্রথম থেকেই আমি জড়িত ছিলাম না। বিভিন্ন ব্যাস্ততার কারনে। ৪ তারিখেও আমি জব ফেয়ার এ যাওয়ার জন্য ব্যানার রেডি করে দিলাম। আসলে ৫ তারিখে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একটা ইন্টারভিউ ছিল যার দায়িত্ব ছিলো আমার উপর। ৪ তারিখে ইন্টারভিউ এর সব ডকুমেন্টস রেডি করে অফিস থেকে বাসায় চলে আসলাম।
পরের দিন সকাল এ ঘুম থেকে যথাসময়ে ঘুম থেকে উঠতে না পারায় অফিস এর গাড়ি মিস করে ফেললাম। পরে বাসা থেকে বের হয়ে বাসার নিচ থেকে একটা সিএনজি নিয়ে অফিস গেলাম সকাল ৯.৩০ মিনিটে।
অফিস আসার পর বুঝতে পারলাম যে জব ফেয়ার এ যাওয়ার জন্য মনে হয় আমাকেই যেতে হবে। আমি তো মানা করে দিলাম যাওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু আর করার নেই আমাকেই যেতে হবে। পরে খুব তাড়াতাড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ভাইভাটা শেষ করলাম। ভাইবা শেষ করে জব ফেয়ার এ যাওয়ার জন্য সকাল ১১.৪০ মিনিটে অফিস থেকে বের হলাম।
বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেইনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি) এর লোকেশন মিরপুর টেকনিক্যাল মোড় এর উপরেই। অফিস থেকে বের হয়ে বিজয় সরণি হয়ে বিকেটিটিসি তে পৌছালাম ঠিক ১২ টায়।
জব ফেয়ার এ যাওয়ার কিছু স্থির চিত্রঃ
গাড়ি থেকে নেমে আমি আমাদের জন্য নির্ধারিত স্টলে চলে গেলাম। যেয়েই আমি আমাদের ব্যানার লাগিয়ে নিলাম।
আমাদের নির্ধারিত স্টল
ব্যানার লাগানোর পর পরই আমাদের স্টল এ ট্রেইনিজ এসে ভরে গেলো। সবার সংগে কথা বললাম আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন তাদেরকে জানালাম এবং তাদের কাছ থেকেও তাদের ইচ্ছে সম্পর্কে জানলাম। এভাবেই প্রায় ১১৭ টি সিভি সংগ্রহ করলাম জব ফেয়ার থেকে। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সিভি কালেক্ট করলাম। ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, আর এসি এবং টেক্সটাইল নিয়ে পড়ালেখা শেষ করা ক্যান্ডিডেটস সংগে শর্ট কোর্স শেষ করা আগ্রহি প্রার্থীদের।
কিছুক্ষণ পর তারা সকালের নাস্তা দিয়ে গেলো। কিন্তু দুপুর হয়ে যাওয়ার কারণে আমি আর খেলাম না।
জব ফেয়ার এর কিছু স্থিরচিত্রঃ
এতো পরিমানে গরম ছিলো বোঝাতে পারবো না। তার মধ্যে স্টেজ করেছিলো খোলা মাঠের মধ্যে। এতো পরিমাণে গরম ছিলো যে স্টলে বসে থাকা যাচ্ছেনা।
আনুমানিক প্রায় ১.৩০ থেকে ২ টার মধ্যে আমাদের সকল অংশগ্রহনকারীদের একে একে স্টেজ এ ডাকলো ক্রেস্ট নেয়ার জন্য। সবার ন্যায় আমিও স্টেজ এ গিয়ে আমাদের জন্য নির্ধারিত ক্রেস্টি নিয়ে আসলাম।
এর পর তারা আমাদের জন্য দুপুরের খাবার পরিবেশন করলেন। অতিরিক্ত গরম থাকার কারনে আমি লাঞ্চ করলাম না। খাবার টা নিয়ে অফিসে নিয়ে এসে এক জুনিয়রকে দিয়ে দিলাম।
তারপর আস্তে আস্তে আমরা দুপুর ৩.৩০ মিনিটে প্রোগ্রাম শেষ করে সংগ্রহকৃত সিভি গুলো নিয়ে অফিসে চলে আসলাম।
ক্রেস্ট
আর এভাবেই আমার আজকের লিখা শেষ করলাম।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
বিষয় | জব ফেয়ার এ বিকেটিটিসি তে একদিন। |
---|---|
ফটো ক্রেডিট | @amitroy |
ডিভাইস | রেডমি নোট ৮প্রো |
লোকেশন | বিকেটিটিসি মিরপুর, ঢাকা |
কয়েকদিন আগে আমাদের কলেজেও হয়ে গেল জব ফেয়ার৷ অনেক ভাল একটি উদ্যোগ। দেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে ও যুব সমাজ কে কর্মঠ করতে এমন জব ফেয়ার এর বিকল্প নেই। ধন্যবাদ দাদা এমন মহৎ উদ্যোগে আপনার কোম্পানীকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। আর সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যও ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন এটা একটা ভালো উদ্যোগ চাকুরীদাতা এবং চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে একটা যোগসূত্র তৈরি করার। আর এভাবেই আমরা চাকুরী প্রার্থীদের হাতের নাগালে চাকুরী পৌঁছায় দিচ্ছি। শুধু তাই নয় এমন ছোট ছোট ট্রেইনিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অদক্ষ শ্রমশক্তিকে দক্ষ শক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারছি। ধন্যবাদ ভাই বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit