নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
আজ আমি আমার সহধর্মিণী (প্রিয়ার) জন্মদিন নিয়ে কিছু শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রিয়ার জন্মদিন
আগস্টের ১৩ তারিখে ছিলো প্রিয়ার জন্মদিন। প্রতিদিন এর মত ১২ তারিখেও অফিসে থেকে বাসাই চলে আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে কোন একটা কাজের কথা বলে বাহিরে গেলাম। আসলে উদ্দেশ্য ছিলো প্রিয়াকে সারপ্রাইজ করার জন্য কিছু করার।
প্রথমে টেস্টি ট্রিট এ গিয়ে কেক নিলাম তারপর বেলুন, স্পারকেল, চকলেট, ডোনাট, লাড্ডু। এগুলা একটা দকানে রেখে চলে গেলাম ফুল কিনতে।
আসলে ফুল আমাদের অনেক পছন্দের। অবশ্য ফুল ভালবাসে না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। ফুল কিনে ভাবতে লাগ্লাম যে আর কি নেয়া যায় প্রিয়ার জন্য। পরে মাথায় আসল যে ওর জন্য ফ্রাইড রাইস নিলে আরও বেশি খুশি হবে।
কারন ফ্রাইড রাইস তার অনেক আগে থেকেই প্রিয়। ফুলের দোকানের পাশেই ছিলো আমাদের দুজনের পছন্দের রেস্টুরেন্ট সেলিব্রেট ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্ট। বাহিরে কিন্তু বেশ বৃষ্টি হচ্ছিলো। আমি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই ফুল নিয়ে রেস্টুরেন্টে যেয়ে ওর পছন্দের ফ্রাইড রাইস এর প্যাকেজটা অর্ডার করি। ১০ মিনিট পর আমি খাবার ফুল নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির সামনে চলে আসলাম। তারপর একে একে সব কিছু নিয়ে বাসায় ঢুকে আগেই এসব সরাই রাখলাম যেনো প্রিয়া দেখতে না পায়।
তারপর আমি স্নান করে এসে দুজনে এক সংগে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ টিভি দেখলাম। তারপর প্রিয়াকে বললাম তুমি ঘুমাও আমার কাজ আছে।
প্রিয়া ঘুমানোর পর আমি সব বেলুন ফুলিয়ে নিলাম তারপর ঘরের ফুল গাছ গুল দিয়ে সাজালাম। এর পর গাদা ফুল দিয়ে একটা লাভ বানিয়ে তার ঠিক মাঝে কেক টা বসিয়ে নিলাম।
সব কাজ শেষ করে প্রিয়াকে ডেকে আনলাম। প্রিয়া দেখে অনেক অবাক হলো যে তুমি একাই করলা তাও এতো অল্প সময়ের মধ্যে। আমি বললাম না তোমার ভাই এসে করে দিসে🤪।
তারপর দুজনে কেক কেটে নিয়ে অনেক মজা করলাম গান শুনলাম ফটো তুললাম। আসলে কাওকে খুশি করতে অনেক বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। মন থেকে সামান্য কিছুও অনেক সময় বড় গিফট কে হার মানায়।
প্রিয়ার জন্মদিন উদযাপনের কিছু স্থির চিত্রঃ
খুব সাধারণ ভাবে প্রিয়ার জন্মদিন উদযাপন করা হলো। কিন্তু ভালো লাগাটা ছিলো অনেক। কেক টা কিন্তু বেশ টেস্টি ছিলো। সবাই আমাদের জন্য আশীর্বাদ করবেন।
আজ এই পর্যন্তই থাক। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বিষয় | প্রিয়ার জন্মদিন |
---|---|
ফটো ক্রেডিট | @amitroy |
ডিভাইস | রেডমি নোট ৮প্রো |
লোকেশন | মিরপুর ১২, ঢাকা |
বাহ বেশ দারুণ লাগলো মুহূর্তগুলো। আসলে প্রিয় মানুষের জন্য সামান্য কিছু করতেও ভালো লাগে।আর আপনি ভাবীর জন্মদিনে একা একাই সব আয়োজন করে সারপ্রাইজ করে দিলেন। মজা লাগলো যে ভাবী কিছুই টের পায়নি।যাইহোক মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ,লেট হলেও ভাবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপু একদম ঠিক বলেছেন প্রিয় মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা অনেক শান্তির। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর আপনার পক্ষ থেকে আপনার ভাবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিয়ে দিবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে প্রিয় মানুষটাকে অল্প কিছুতেই খুশি করা যায়। ছোট্ট একটা কিছু সারপ্রাইজ হিসেবে দিলে সে অনেক খুশি হয়। আপনি অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু করে ফেলেছিলেন। তবে আপনি এসব কিছু করেছেন ভাবি তো টেরও পেলনা দেখছি। তবে ওনাকে দেখেই বুঝতে পারছি উনি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলেন। আপনার এই আয়োজন টা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে আমি কাজ গুলো করে ফেলছি। যার জন্য আপনার ভাবি কিছু বুঝতে পারে নাই। ভেবেছিল আমি কাজ করছি হইত। সে এসব দেখে একদম অবাক হয়ে গেছে যে এত তারাতাড়ি কিভাবে করলা তুমি? আমি সুযোগে বলে দিলাম যে ভালবাসা এটাকেই বলে 😁। সে অনেক খুশি হয়েছিলো আর এটাই ছিলো আমার বড় পাওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit