নমস্কার,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যদের জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি ঈশ্বরের কৃপায়।
কিছুদিন থেকেই ভাবছি একটা ঠাকুর ঘর কিনবো। হঠাৎ একদিন অফিসে কাজ শেষে বসে গুগলে সার্চ দিয়ে ঠাকুর ঘরের ডিজাইনগুলো দেখছিলাম। ডিজাইনগুলো দেখতে দেখতে হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি আসলো যে, আমি নিজেই বানাতে পারি কিনা চেষ্টা করে দেখা যাক। গত শুক্রবার ঠিক দুপুরে ফাইনাল সিদ্ধান্ত টা নিয়ে নিলাম যে আজকেই প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো কিনবো সঙ্গে সঙ্গে দুপুরের খাবার না খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাজারের উদ্দেশ্যে,এবং খুঁজে খুঁজে প্রয়োজনীয় উপক্রম সামগ্রী কিনে নিয়ে বাড়িতে এলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ
কার্টুন একটা;
রঙিন কাগজ;
আঠা;
স্টিকার;
কেচি;
চাকু;
বাইন্ডার টেপ;
ঝিলিমিলি কাগজ।
ধাপ ১ঃ
প্রথমে কাটুনটার নিচের সাইট বাইন্ডার টেপ দিয়ে ভালো করে জোড়া লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ২ঃ
তারপর কার্টুনের অপর পাশের দানাগুলো কেটে নিলাম।
ধাপ ৩ঃ
কার্টুনের ভিতরে গাম দিয়ে প্রিন্ট এর কাগজটা লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ৪ঃ
কার্টুনের উপরের অংশের মাঝখান থেকে কাগজ কেটে নিলাম।
ধাপ ৫ঃ
তারপর কেটে রাখা কাগজ দিয়ে দোচালা বানালাম।
ধাপ ৬ঃ
তারপর ঘরের ভিতরে কালার কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ৭ঃ
এভাবেই উপরের অংশেও রঙিন কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ৮ঃ
তারপর ঘরের দুই সাইড এবং দোচলার ভিতরে রঙিন কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ৯ঃ
তারপর দোচালার পিছনে ফাঁকা অংশটা মোটা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগিয়ে নিলাম এবং গোলাপি রঙের কাগজ লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ ১০ঃ
এরপর ঘরের উপরে একটা পতাকা বানিয়ে ফেললাম।
ধাপ ১১ঃ
এরপর ঝিলিমিলি কাগজগুলো ঘরের ভেতরে লাগিয়ে নিলাম এবং ওঁ লিখা স্টিকার টা লাগিয়ে ফেললাম।
আর এভাবেই তৈরি করে ফেললাম আমার ঠাকুর ঘর।
বিঃ দ্রঃ
ভগবান সর্বদা সর্বোপরি বিরাজমান, তাই মন থেকে তাকে ডাকলে সারা পাওয়া যায়।
আজ আর লিখলাম না এই পর্যন্তই থাক। সকলে ভালো থাকবেন এবং আমার জন্য আশির্বাদ করবেন যেন সামনে আরও ভালো ভালো কাজ নিয়ে হাজির হতে পারি আপনাদের মাঝে।
এই যে দাদা টাকা বাঁচানোর জন্য এসব বুদ্ধি? বুঝি না মনে হয় 😅😅। তবে যাই হোক না কেন আইডিয়া কিন্তু দারুন ছিল 👌 আমার তো বেশ ভালো লেগেছে। বৌদি খুশি তো এটা পেয়ে? কথা হলো, ভগবান নতুন ঘরে তুললে কিন্তু ভক্ত সেবা দিতে হয় 😉। সেই দিন টা কি ঠিক হইছে? 😅
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সজীব,
ওই আর কি একের ভিতর দুই, টাকাও বাচল নতুন কিছু করাও হলো। হু তোর বৌদি অনেক খুশি। হু ভগবান নতুন ঘরে তুলে ভক্ত সেবা হবে অবশ্যই, দিন ঠিক করে জানাবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit