লিখনের জন্মদিন

in hive-129948 •  last year  (edited)

সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আশা করি সবাই ভালো আছেন, আমিও ভালো আছি।

১৯ জুন ২০২৩ ইং দিন টি ছিলো আমাদের আদরের ছোট ভাই লিখনের জন্মদিন। লিখন আমার মেজো মামার ছেলে। ওর বেরে ওঠা ঢাকাতেই। আমি এবং আমার ছোট ভাই অন্তু আমরা দুইজনই বেশ কয়েক বছর মামার বাসাতেই ছিলাম। উনারা আমাদের অনেক বেশি আদর করে উনাদের বাসার বাহিরে আমাদের কোন ভাবেই থাকতে দিতে চাই নি। যে কারনে উনাদের সংগেই থাকা হয়েছে অনেক দিন।

IMG_20230620_114535.jpg

কেক কাটার সময়

বাম পাশে অন্তু, তার পাশে লিখন, তার পাশে মামি এবং একদম ডানে প্রিয়া।

আসলে বলতে গেলে মামা মামির কথা বলে শেষ করা যাবে না। উনারা আমাদের জন্য অনেক কিছু। মামা মামি যে ভাগ্নেদের এতো ভালবাসতে পারে তা উনাদের থেকেই শেখা। আমাদের তিন ভাই কে কখন আলাদা চোখে দেখে নাই। ভালো থাকুক তারা সারা জীবন আশীর্বাদ করি।

লিখন এখন ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ছাত্র। বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজে সে লেখাপড়া করে। যথেষ্ট মেধাবী একটা ছেলে। ভাল ছাত্র, ভাল ফুটবল খেলে এবং অনেক ভাল ডিবেটার।

গতকাল ওর জন্মদিন ছিল। সকালেই লিখনের ফেসবুকে উইশ করলাম শুভ জন্মদিন জুনিয়র। সংগে এই ছবি 🤪।।

IMG-20221212-WA0000.jpg

লিখন যখন ৬ বছরের

সকালেই মামি ফোন দিয়ে বললেন তোমরা রাতে চলে এসো। লিখন কে কেকে কাটতে বললাম রাতে কিন্তু লিখন তোমাদের ছাড়া কেক কাটবে না।

আমি বললাম হ্যা আমি চলে আসবো। মামি আবার বলল কি খাবা রাতে। আমি বললাম কিছু খাব না। কারন মামি একটু অসুস্থ ছিলো। কিন্তু কে শোনে কার কথা শেষমেশ আমার কাছ থেকে শুনেই ছাড়লো।

পরে রাত এ গেলাম মামার বাড়ি। মামার বাসা টা আমার বাসার ঠিক পিছনের গলি। আমরা যাওয়ার পর কেক কেটে ফেললাম।

কেক কাটার মুহুর্তের কিছু স্থির চিত্রঃ

IMG_20230620_114628.jpg

IMG_20230620_114556.jpg

IMG_20230620_114456.jpg

IMG_20230620_114438.jpg

কেক কাটা হয়ে গেলে বসে সবাই কিছুক্ষন গল্প করলাম। পরে একটু তাড়াতারি করছিলাম। মামি কে বললাম খেতে দিয়ে দেন। কারন আমার ছোট পিসি মনির ছেলে সাগর এর বাস রাত ১১.৪০ মিনিটে ছিলো। সাগর এসেছিল সরকারী একটা চাকুরির পরিক্ষা দিতে। পরে মামি খাবার দিলেন।

খাবারের কিছু স্থির চিত্রঃ

IMG_20230620_114422.jpg

IMG_20230620_114347.jpg

IMG_20230620_114401.jpg

IMG_20230620_114331.jpg

খাবার আইটেম ছিলো সাদা পোলাও, মুরগির কারি, আলু ভাজি, পায়েস, দই আর কোমল পানীয়।

মামির হাতের রান্না কিন্তু অনেক মজার। বিশেষ করে খিচুড়ি, বিরিয়ানী এবিং পোলাও।

আমারা খাবার শেষ করে সাগরকে সিএনজি তে উঠায় দিলাম কল্যানপুর এর উদ্দেশ্যে রাত ১১ টায়।

অনেক দিন পর সবাই এক সংগে অনেক ভালো একটা সময় কাটালাম।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

বিষয়লিখিনের জন্মদিন
ফটো ক্রেডিট@amitroy
ডিভাইসরেডমি নোট ৮প্রো
লোকেশনমিরপুর - ১২, ঢাকা
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার মামাতো ভাই লিখনের জন্মদিনটা বেশ ভালোভাবেই পালন করলেন আপনারা। আপনার মামী তাকে বলেছিল রাতে কেক কাটার জন্য, কিন্তু সে আপনাদেরকে ছাড়া কেক কাটবে না বলেছিল। এরপর আপনার মামি আপনাদেরকে ফোন করে বলেছিল রাতে চলে যাওয়ার জন্য। তারপরে সবাই মিলে উপস্থিত হওয়ার পর কেক কেটেছিল আপনার মামাতো ভাই। আপনার মামি তো দেখছি বেশ মজাদার এবং লোভনীয় খাবার তৈরি করেছিল। মুহূর্তটা বেশ ভালোই কাটিয়েছিলেন সবাই মিলে দেখে বুঝতে পারছি।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। মামা মামি আমাদের অনেক ভালবাসেন। আর লিখন আমাদের ছাড়া কিছুই করে না। অনেক ভাল সময় কেটেছে আমাদের।

প্রথমে আপনার মামাতো ভাইকে জানাই তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আপনার মামাতো ভাই লিখনের জন্মদিনে আপনারা সবাই মিলে কেক কেটে ছিলেন এবং খুব ভালো মজা করেছিলেন, সে সাথে দেখছি খাওয়া-দাওয়া ও ভালো হয়েছিল। আপনার মামার বাসা যেহেতু আপনার বাসার ঠিক পেছনের গলিতে ছিল, তাই আপনারা রাতে চলে গিয়েছিলেন সেখানে। আপনার মামাতো ভাই তো আপনাদেরকে ছাড়া কেক কাটতে চেয়েছিল না। তাই আপনার মামী আপনাদেরকে বলেছিল যাওয়ার জন্য। আর আপনাদের সবার জন্য বেশ মজাদার খাবার তৈরি করেছিল। খুব মজা করে খেয়েছিলেন বুঝতে পারছি।

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, আপনার মন্তব্য অনেক অর্থবহ। হ্যা ভাই মামাতো ভাই আমাদের অনেক ভালিবাসে সংগে মামা মামিও। আসলে তাদের এই ভালবাসার জন্য আমরা ধন্য। খাওয়া দাওয়া সহ সময় টাও অনেক ভালো কেটেছে আমাদের।