নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমিও ভালো আছি।
গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম। অনেক ভোরে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে চট্রগ্রাম পৌছাই দুপুরে ১২ টা ৩০ মিনিটে।
কাজ শেষ করে ঠিক সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিটের বাস এ চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। শরীর টা ক্লান্ত থাকাই বাস এ উঠে আমি একটু ঘুম দেই। ঠিক ৭ টা ৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে আশেপাশে দেখছিলাম।
ঠিক রাত ৭ টা ৫১ মিনিটের দিকে আমাদের বাস এর সাম্নের গ্লাস এ বাহিরে থেকে পাথর ছুরে মারে। বিকট শব্দে যারা ঘুমিয়ে ছিলো সবাই উঠে যায়। চালক সাহেব গাড়ি ব্রেক করতে নিয়েছিলেন পরে তাকে বললাম ভাই বাস ব্রেক কইরেন না এখানে। পরে বাস একটু সামনে একটা তেলের পাম্প এ গিয়ে থামালেন।
লোকেশন: লালপোল, ফেনী, চট্রগ্রাম।
আমি নিচের ডেকের একদম সামনের সিট এ বসে ছিলাম যার কারণে কিছু কাচ আমার শরিরেও এসে পরে।
নিচে নেমে চালক সাহেব এর মাথা ঝেরে দিলাম এবং সুপারভাইজার এর ও। চালকের চুলের মধ্যে অনেক কাচ ঢুকে যায়। আস্তে আস্তে সব কাচ ঝেরে আমরা আবার সেখান থেকে যাত্রা শুরু করি।
বাসের কিছু ফটো:
লোকেশন: লালপোল, ফেনী, চট্রগ্রাম।
আমাদের বাস এর চালক সাহেব অনেক সাহসী ছিলেন যার কারনে এতো বড় একটা বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছি। বাস এর গতি প্রায় ঘন্টায় ১০০ কি: মি: বেগে ছিলো। হঠাৎ সামনে থেকে এভাবে ঢিল এসে পরলে সাভাবিক ভাবেই যে কেউ ভয় পেয়ে গাড়ির কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু আমাদের চালক সাহেব না ঘাবড়ে গাড়ি নিজের কন্ট্রোলে রেখে একটা ভালো জায়গায় থামালেন। তখন সময় রাত ৯ টা ১৫ বাজে। ১০ টা ৫ এ হোটেল থেকে বের হয়ে ঢাকা আস্তে আস্তে প্রায় রাত ১২ টা ৩০ মিনিট।
সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য দারালাম কুমিল্লার মায়ামী রিসোর্ট ৩ এ।
লোকেশন: কুমিল্লা, চট্রগ্রাম।
তবে এটা থেকে বোঝা যায় যে কোন সময় বিপদ আস্তে পারে কিন্তু মোকাবেলা করার মতো সাহস থাকতে হবে।
ঈশ্বরের কৃপায় আর চালক সাহেবের সাহসিকতায় আমরা সবায় ভালো আছি। তবে আমাদের সবারই সাবধানে থাকাটা শ্রেয়।
আজ এই পর্যন্তই থাক, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
হ্যাঁ আসলেই চালক সাহেব এখানে তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে কেননা হঠাৎ করেই যখন এমন অবস্থার সম্মুখীন হল তখন সে ভয় না পেয়ে সামনের দিকে গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে এসেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন। যদি তিনি ভয় পেতেন তাহলে যে কোন ধরনের দুরঘটনা ঘটতে পারতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit