বিভীষিকাময় তিনটি ঘন্টা ।

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।


ভাইয়া /আপুরা কেমন আছেন?আশাকরি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে গতকাল, রোজ- শুক্রবার,১৭/০৬/২০২২ ইং তারিখে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের বিভীষিকাময় তিনটি ঘন্টা এবং কিছু মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মহানুভবতা তুলে ধরার চেষ্ট করছি। আমার এই ঘটনার মাধ্যমে আপনাদের কতটা আকৃষ্ট করতে পারবো জানি না।কিন্তু আমার সাথে ঘটে যাওয়ার মূহুর্তগুলো 'আমার বাংলা ব্লগ ' পরিবারে প্রকাশ করতে মনটা ছটফট করছিল।তাই প্রকাশ করলাম।

PXL_20220617_104027809.jpg

সকল ১১ টায় আমার বড় বোনের বাসার উদ্দেশ্যে নিজেদের বাসা থেকে গাছের কাঁঠাল ও বাজার থেকে আম কিনে রওনা দেই।আম যেকোনো সময় কিনে নেওয়া যেতো।কিন্তু গাছের কাঁঠাল যে দু-তিন দিনের বেশি থাকবে না।আর গাছের কাঁঠাল পেরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নেওয়া যে কি কষ্ট, যে বহন করে সেই টের পায়। কিন্তু বোন জামাই কাঁঠাল খেতে চেয়েছে।নিজেদের গাছের কাঁঠাল না নিয়ে গেলে আব্বা-মা ও কষ্ট পায়। আর কি করার যত কষ্ট হউক রওনা দিলাম। সকল ১১.৩০ মিনিটে মুক্তারপুর ব্রিজের কাছে গিয়ে পৌঁছি।এরপর মুক্তারপুর ব্রিজের এপার থেকে দুপুর ১২.১৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ বাস কাউন্টার এর কাছে পৌঁছি।

PXL_20220617_110542820.MP.jpg

PXL_20220617_103941552.jpg

এর পর 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসে উঠে ঢাকা রায়েরবাগে এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।এরই মধ্যে যেহেতু দিনটি ছিল শুক্রবার জুম্মার দিন।তাই জুম্মার নামাজের জন্য আযান দেওয়া হয় আর আমি যেহেতু গাড়িতে তাই চিন্তা করলাম কি আর করার বাসের মধ্যে একটু আল- কোরআন তেলওয়াত করি।যেহেতু শুক্রবার আর শুক্রবারে জুম্মার নামাজের আগে সূরা কাহাফ পড়লে এর অনেক ফজিলত আছে। তাই সূরা কাহাফ পড়া শুরু করিলাম এবং তাড়াতাড়ি যেতে পারলে নেমে নামাজ পড়বো।আল-কোরআন পড়তে পড়তে কখন যে রায়েরবাগ চলে আসি যেন খেয়াল নেই, এমন সময় রায়েরবাগ থেকে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সময় বললাম আমিতো এখানে নামবো,গাড়ির কন্টাক্টারকে বললাম আপনাকে না উঠার সময় বললাম, আমাকে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিবেন। ড্রাইভার গাড়ি থামালো।তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নামলাম। যেহেতু একহাতে আমের ব্যাগ ও আরেক হাতে কাঠাল নিতে হবে,তাই হাতে থাকা গুগলের পিক্সেল ৪এ স্মাটফোনটি তাড়াতাড়ি প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। যেহেতু সময় তখন দুপুর ১.১০ মিনিট তাই রিকশায় গেলে আপার বাসায় যেতে ৫ মিনিট লাগবে এবং বাসায় এ সব রেখে জুম্মার নামাজ গিয়ে পড়তে পারবো। তাই তাড়াতাড়ি রিকশা নিলাম এবং বোনের বাসায় গিয়ে বাড়ি থেকে আনা আম ও কাঁঠাল রেখে নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। তখন মসজিদের ঘড়িতে লক্ষ্য করলাম দুপুর ১টা ২০ মিনিট দেখলাম এবং নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকবো এমন সময় চিন্তা করলাম মোবাইলটা বন্ধ করে নেই।পকেটে হাত দিয়ে দেখি মোবাইলটা পকেটে নেই।

আমার মাথার উপর যেন আসমান ভেঙে পরলো।মসজিদে না ঢুকে আরেক পকেটে থাকা বাটন মোবাইলটা বের করে আমার স্মার্টফোনটিতে কল দিতে থাকলাম আর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডেের দিকে যেতে থাকলাম। স্মাটফোনটাতে ফোন বাজঁছে কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না। তাই ভেবেছিলাম বাস্তায় বা বাসস্ট্যান্ডে পরতে পারে।তাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এপাশ ওপাশ সবদিকেই লক্ষ্য করে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে পোঁছলাম।আর যাওয়ার পথে হাতে থাকা বাটন মোবাইলটি দিয়ে আমার স্মার্টফোনটিতে কল দিচ্ছি তো দিচ্ছি। কিন্তু কল কেউ রিসিভ করছে না।কল দিতে দিতে এদিকে আমার হাতে থাকা বাটন মোবাইলে লক্ষ্য করলাম চার্জ ও শেষ হয়ে আসছে। তাই তাড়াতাড়ি বাসায় আমার বউকে কল দিলাম এবং সবকিছু খুলে বললাম এবং এ ও বললাম আমার হাতে থাকা বাটন মোবাইলটা যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই তুমি, আমার স্মার্টফোনটিতে কল দিতে থাকো।আমার বউ ও কল দিতে থাকলো আমি ও। কল দিতে দিতে একসময় আমি দেখলাম,আমার স্মার্টফোনটি ওয়েটিং দেখাচ্ছে।এমন সময় আমার বউ বাসা থেকে কল দিয়ে বলল তোমার ফোনটি একটি বয়স্ক লোক রিসিভ করেছে। তুমি তোমার ঐ নাম্বারে এখনই কল কর। সাথে সাথে আমি আমার ঐ নাম্বারে ফোন করলাম।তখন ফোনটি বন্ধ পেলাম।

আবার তখন বাসায় কল দিলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম তুমি যখন কল করছ ঐ লোক রিসিভ করে কি বলছে। বউ বললো আমি ওনাকে বলেছি ফোন আমার স্বামীর এবং যেকোনোভাবে পড়ে গেছে এবং আপনি পেয়েছেন।আমার স্বামীর মোবাইলটা খুবই দরকারী এবং সে হারানোর পর থেকে মোবাইলটা খুবই খোঁজাখুঁজি করছে। লোকটি বলল আপনার স্বামীকে বলেন আমাকে বলেন কল দিতে আমি তাঁকে মোবাইলটি দিয়ে দিচ্ছি। আমি আবার কল দিলাম। এবার ও মোবাইল বন্ধ।এমনসময় আমার হাতে থাকা বাটন মোবাইলটিও চার্জের কারনে বন্ধ হয়ে গেল। বাসস্ট্যান্ডের পাশে থাকা এদিকে ওদিকে ছুটোছুটি করলাম আমার হাতে থাকা বাটন মোবাইলটি চার্জ দেওয়া যায় কিনা।না হলে কিভাবে আমার ঐ স্মার্টফোনে কল দিবো আর ঐ লোককে খোঁজবো।কোন দোকানে চার্জ না দিতে পেরে।পাগলের বেশে বোনের বাসায় ফিরে এলাম।

বোন বলল তুই না নামাজ পড়তে গেলি এবং নামাজ না পড়ে চলে আসলি।তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো।আমি সব খুলে বললাম এবং বললাম তাড়াতাড়ি আপনাদের চার্জারটা আমাকে দেন আমার এই মোবাইলে চার্জ দিতে হবে এবং আপনার মোবাইলটা দেন আমার স্মার্টফোনটিতে কল দিতে হবে।বড়বোনের মোবাইল নিয়ে কল দিয়েই চললাম। মোবাইলটা বারবার বন্ধ বলছে। একটু চিন্তা করলাম যেহেতু এখন ও জুম্মার নামাজ শেষ হয়নি।তাই হয়তোবা ঐ লোকটি নামাজে তাই মোবাইলটা বন্ধ করে রাখতে পারে। কিন্তু মনতো আর মানে না তাই ফোন দিয়েই চললাম।

মনের মধ্যে নানান চিন্তা-ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে। এই মুহূর্তে ফোনটা হারালো। এখন তো এত টাকা দিয়ে একটি ভালো স্মার্টফোন আমার পক্ষে কেনা সম্ভবও নয়। তাছাড়া কিছুদিন হল 'আমার বাংলা ব্লগে' লেখালেখি করছি এবং লেভেল -৩ শেষ করেছি। সামনে লেভেল -৪ এর পরীক্ষা।আমার প্রায় অনেক কাজ করি ঐ স্মার্টফোনটি দিয়ে এবং সবসময় ডিসকোডে থাকতে হবে। আবার সংসারের জন্য নিজেকেও অন্য কাজ করতে হয়।তাই সবসময় ডিসকোডে থাকা এবং কাজের ফাঁকে কিছু লিখে পোস্ট করা আর সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার জন্য যে একটা স্মার্টফোনের কতটা দরকার মনের মধ্যে ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে অজস্র পানি ঝরে পরছে।

বোনের বাসায় যেন নিস্তব্ধতা নেমে এলো। বড়বোন বললো,কোন বাস দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা রায়েরবাগ এসেছো।আমি বললাম 'নিউ সিটি বন্ধন'। আপু বললো তোর কাছে টিকিটটা আছে। আমি বললাম, হা আছে।আপু বলল,আমাকে দে।আপু টিকিট নিয়ে টিকিট থেকে বাসের অভিযোগ নম্বরে কল দিলো।আপু বললো যদি 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসে কিছু পরে আর বাসের কোন স্টাফ পায় তবে তা নাকি পাওয়া যায়। আপা দুই বার ট্রাই করলো কিন্তু অভিযোগ নাম্বারের ফোন রিসিভ করছে না কেউ। আমি বললাম আপু বাদ দেন আর আপার নাম্বার দিয়ে আমার স্মার্টফোনে কল দিতে থাকলাম।

দুপুর ২ টা বেজে গেছে। এখন তো নামাজ শেষ। কিন্তু আমার ফোনটা যে এখন ও বন্ধ বলছে। তাহলে কি আমার মোবাইল থেকে সিমটি খুলে ফেলে দিল নাতো।এমন সময় আপার মোবাইলে একটা কল আসলো। 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসের অভিযোগ নম্বরে কল ছিল। ওনারা জিজ্ঞেস করছিল কেনো কল দিয়েছি।আমি ওনাদের সব খুলে বললাম এবং এও বললাম তাড়াহুড়ো করে আপনাদের বাস থেকে নামার সময় প্যান্টের পকেটে ঢুকনোর সময় আমার স্মার্টফোনটি সম্ভবত আপনাদের গাড়িতে পরে যায়। তখন ওনারা আমি বাস থেকে কয়টায় নেমেছি এবং আমরা স্মার্টফোনের নাম ও মডেলটি জিজ্ঞেস করছিল এবং বলল আমাকে একটু সময় দেন আমি দেখছি।এভাবে দেখতে দেখতে বিকেল ৩ টা বেজে গেল।
আপা খাবারের জন্য ডাকলো। আমি আপাকে বললাম, আপা আমার পেটে খাবার ঢুকবে না।এমন সময় আমার বউ বাসা থেকে আমাকে কল দিয়ে বলল তোমার মোবাইলটি এখন চালু আছে। আমি আবার কল দিলাম আবার বন্ধ শুনতে পেলাম। এবার আমি বাস কাউন্টারের ঐ অভিযোগ নম্বরে কল দিলাম এবং মোবাইলটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম।অভিযোগ নম্বর থেকে আমাকে পুনরায় আমার স্মার্টফোনের নাম ও মডেল জিজ্ঞেস করল।আমি আবার বললাম। অভিযোগ নম্বর থেকে বললো ৫ মিনিট পর আমরা আপনাকে জানাচ্ছি। ৩ মিনিট পর অভিযোগ নম্বর থেকে আবার কল আসলো।

তখনও ওনারা আমার স্মার্টফোনের নাম ও মডেল জিজ্ঞেস করল। আমি তাদের পুনরায় বললাম।এবার আমাকে জানানো হলো আমাদের 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসে একটি স্মার্টফোন পাওয়া গিয়েছে এবং আপনি আমাদের যেভাবে স্মার্টফোনের নাম ও মডেল নম্বর বলেছেন। সম্ভবত আপনারই হতে পারে।আপনি একটি আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসের অফিস থেকে নিয়ে যেতে পারবেন। আমার মনে যেন প্রানের সঞ্চার ফিরে এলো। যেন পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার কাছে এসে পরেছে। তাড়াতাড়ি আপাদের বাসা থেকে বের হয়ে পরলাম। আপা খাবারের জন্য অনেক অনুরোধ করলো।আমি বললাম, আপা আমার পেটে খাবার ঢুকবে না, তাড়াতাড়ি গিয়ে আমরা মোবাইলটা আগে নিই। বের হয়ে বাসে উঠলাম রাস্তা যেন শেষ হচ্ছে না। মনটা এমন ছটফট করছে যেন উড়ে চলে যাই। অবশেষে বিকেল ৪.২০ মিনিটে 'নিউ সিটি বন্ধন'বাস কাউন্টারের অফিসে পৌঁছি।এরপর বাস কাউন্টারের অফিসে গিয়ে অফিসের স্টাফদের আমার স্মার্টফোন হারানোর ঘটনাটি বলি।ওনারা আমার স্মার্টফোন আমার সামনে নিয়ে আসে এবং বলে এটি কি আপনার মোবাইল এবং বলে মোবাইল লক করা,লকটি খুলুন এবং আমি তাদের লকটি খুলে দেখাই এবং মোবাইল মেমোরিতে আমার কোন ছবি আছে কিনা জিজ্ঞেস করে।আমি মেমোরি থেকে আমার ছবি দেখাই।পরে ওনারা আমাকে আমার স্মার্টফোনটি আমার হাতে দেয়।তখন এমন মনে হলো যেন পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার কাছে এসে পরেছে। যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।


PXL_20220617_110604723.jpg

PXL_20220617_104016298.jpg

পরিশেষে, গতকাল ১৭/০৬/২২ইং রোজ-শুক্রবার,দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পযন্ত তিনটি ঘন্টায় আমার জীবনের মধ্যে যে বিভিষিকাময়ভাবে কেটেছে
তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।তারপরও আল্লাহর তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আমার পাশে বসা লোকটি 'নিউ সিটি বন্ধন' বাসের ড্রাইভারকে আমার স্মাটফোনটি দিয়ে যায় এবং আমার অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বাস কতৃপক্ষের মাধ্যমে হারানো স্মার্টফোনটি ফিরে পাই।আসলে তিনটি ঘন্টায় আমার মনের মাঝে যে অজস্র কষ্ট ও যন্ত্রণা বিরাজ করছিল তা পুরোপুরি তুলের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি আমার এ কষ্টের মাঝে এবং যাদের মাধ্যমে আমার অন্তরের জমানো কষ্টটুকু দূর হয়েছে তাদের মহানুভবতা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। জানি না এত অল্প সময়ের মধ্যে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা আপনাদের কতটা তুলে ধরতে পেরেছি।কিন্তু আমি আমার মন দিয়ে চেষ্টা করেছি।

received_1883410901849616.jpeg

received_417164483669748.jpeg

received_354527213483094.jpeg

received_761588121642006.jpeg

received_1008070190069550.jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া, আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় তিনটি ঘন্টা পড়ে প্রথমের দিকে আমার খুবই খারাপ লাগছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন আপনি আপনার স্মার্টফোনটি ফিরে পেলেন তখন আমার খুবই ভালো লাগছিল। আপনার এই তিন ঘন্টার বিভীষিকার কাহিনী আমি হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে ফেলেছি কিন্তু এই তিন ঘন্টা যখন আপনার উপর বয়ে চলেছে তখন হয়তো আপনার কাছে তিন যুগের মতো মনে হয়েছে। আর সেই চিন্তা করে আমার আপনার জন্য খুবই খারাপ লেগেছে। যাইহোক ভাইয়া মহান আল্লাহ তায়ালা যা করেন আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন। যাদের মাধ্যমে আপনি এই স্মার্টফোনটি ফিরে পেয়েছেন তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে মঙ্গল কামনা করছি। আপনি হয়তো বিশ্বাস করবেন না ভাই, স্মার্ট ফোনটি হারিয়ে আপনার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরেছে কথাটা জেনে আমার চোখ দিয়েও অশ্রু গড়িয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ফোনটি ফিরে পাওয়ার জন্য ভীষণ আনন্দ লাগছে। স্মার্টফোনটি পেয়ে আপনি আপনার কাজে পুরোদমে মনোনিবেশ করবেন এই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।আসলে ভাইয়া আমাদের মাঝে আজও কিছু ভালো মানুষ আছে বলেই মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কষ্টের মাঝেও সুখের হাসি ফুটে উঠে।

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আপনি অবশেষে স্মার্টফোন ফেরত পেয়েছেন। আসলে এখনকার দিনে ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক জরুরি বিষয় থাকে এর মধ্যে। আসলেই খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে কিছু সময় পার করেছেন বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে নতুন উদ্যোমে আবারও সৃজনশীল পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকতে পারি।