আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
হ্যালো বন্ধুরা ?
আমি আনিসুর রহমান।আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাসির গল্প চিঠি চালাচালির এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি,গল্পের এই পর্বটিও আপনাদের ভালো লাগবে।
আজ সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটার উদ্দেশ্য বের হলাম।শীতের সকাল তাই খুব একটা সকাল বেলা বাসা থেকে বের হওয়া হয় না।অনেকদিন পরে হাঁটতে বের হলাম,তাই সকালবেলার ফ্রেস বাতাসের স্বাদ পেলাম।সাথে আমার এক প্রতিবেশীও হাঁটতে বের হয়েছিল।কিছুক্ষণ হাঁটার পরে দুইজন একসাথে বসে কিছুটা আড্ডা দিলাম।
গল্প করার এক সময় চিঠি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে কথা বলার সময় প্রতিবেশী হাসতে হাসতে বলে উঠলেন,চিঠি চালাচালি করা ভালো।তবে সেটা যাতে হাতে হাতে হয়।অন্য কোনো পদ্ধতিতে হলে কিন্তু বিরাট সমস্যা। তখন দেখা যাবে দাতেঁর ডাক্তারের কাছে দৌঁড়াতে হবে।যেভাবে চিঠি চালাচালি করতে গিয়ে দৌড়াতে হয়েছিল আমার বন্ধুকে।
আমি প্রতিবেশীর কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম, আপনার কথার আগামাথা আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না।আমি আরও বললাম,চিঠি চালাচালি হাতে হাতে না করে যে অন্য কোনো উপায়ে যে করা যায়,আমার এর আগে জানা ছিল না।আর আপনি যে বললেন,চিঠি চালাচালি অন্য কোন পদ্ধতিতে করলে দাঁতের ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হবে,সেটাও তো একেবারেই বুঝতে পারছি না।
প্রতিবেশী আমার কথার শুনে হালকা মুচকি হেসে বলল, আসলে হয়েছে কি,আমার এক বন্ধু তার পাশের ফ্ল্যাটের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতো।তখন মোবাইলের যুগ আসেনি।তাই একজন আরেকজনকে চিঠি পাঠাতো।আর চিঠিটা কীভাবে পাঠাতো জানেন?আমি জিজ্ঞেস করলাম, কিভাবে ভাই।প্রতিবেশী বলল, চিঠির ভিতরে শক্ত কিছু দিয়ে অর্থাৎ চিঠি দিয়ে সেই শক্ত জিনিসটা প্যাচিয়ে তারপর ঢিল ছুড়তো।
যেমন ধরেন আপেল বা এই জাতীয় কিছু।একদিন মারলো ঢিল।ঠিক এই মূহুর্তে প্রেমিকার পিছনে এসে দাড়াঁলো তার মা।ব্যস,আপেল প্যাচানো ছুড়ে মারা প্রেমিকার মার নাকের নিচে লাগে।আর তাতেই কেল্লা ফতে,সাথে সাথে দুটো দাঁত নড়বড়ে হয়ে গেল।সে এক বিশাল ইতিহাস।অন্যদিন বলবো নে ভাই।
আজ এ পযর্ন্তই।অন্য দিন এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।আর লিখার মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাবে আপনাদের মতামত দিবেন।
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"চিঠি চালাচালি" গল্পের এই দ্বিতীয় পর্ব টি পড়ে অনেক হাসি পেলো ভাই। চিঠি দিয়ে প্যাচানো আপেলের আঘাতে প্রেমিকার মার দুটো দাঁত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেক হাস্যকর ছিল।🤣🤣 এই চিঠি চালাচালির মধ্যে এসে নিজের দাঁতের ক্ষতি করে বসলেন তিনি। পরবর্তী পর্বে কি হয় তাই দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব দুঃখজনক ঘটনা কিন্তুু হাস্যকর।আগেরকার দিনে চিঠি ছিলো মানুষের একমাত্র অবলম্বন। আর এই চিঠি চালাচালি করতে গিয়ে কতোই না ঘটনা আছে অনেকেই জীবনে।খুব হাসি পাচ্ছে ভাইয়া আপনার পোস্ট টি পড়ে।আপেলে মুড়ানো চিঠির ডিলে মেয়ের মায়ের দাঁত কি না নরভরে করে দিলো🤪সত্যি হাস্যকর ঘটনা এটি।বেচারা মেয়ের মা না জানি দাঁতের ব্যাথায় কাতর হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া হাস্যকর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit