সুস্বাদু ও মজাদার "চিকেন তন্দুরি " রেসিপি।।

in hive-129948 •  last year  (edited)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।


হ্যালো বন্ধুরা


কেমন আছেন?


আমি আনিসুর রহমান। আমার ইউজার আই ডি @anisshamim।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি “আমার বাংলা ব্লগ” এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছি।সৃজনশীলতা লক্ষ্যে আজও আমি আমার পোস্টে কিছু ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি।আর সেই হিসেবে আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।রেসিপিটি হচ্ছে চিকেন তন্দুরি । আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।




উপকরণের তালিকা

ক্রমিক নং উপকরণের নাম পরিমাণ
মুরগির গোস্ত ৪ পিছ
তন্দুরি মসলা ১ প্যাকেট
চিনি পরিমাণ মতো
টক দই ৩ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
সয়াসস ১ চা চামচ
সয়াবিন তেল পরিমাণ মতো
লবন স্বাদমতো
লেবু ১ টির ১/২ অংশ

উপকরণের ছবি



রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ



প্রথম ধাপ



প্রথমে লেবুটিকে দুই টুকরো করে এক অংশ নিয়ে লেবুর রস বের করে একটি কাপে নিয়ে নিবো।

দ্বিতীয় ধাপ



এরপর চার পিছ মুরগির গোস্ত নিয়ে প্রতিটি পিছ মুরগির গোস্ত আবার ছুরির সাহায্য হালকা করে কেটে নিবো,যাতে মসলা ভালো করে গোস্তে মিশে যায়।

তৃতীয় ধাপ



এরপর একটি বোল নিয়ে এতে মুরগির গোস্ত রেখে তার মধ্যে লেবুর রস দিয়ে নিবো।

চতুর্থ ধাপ




এরপর এতে টক দই দিয়ে নিবো।

পঞ্চম ধাপ




এরপর চিনি দিয়ে নিবো।

ষষ্ঠ ধাপ




এরপর সয়াসস দিয়ে নিবো।

সপ্তম ধাপ




এরপর সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।

অষ্টম ধাপ




এরপর এতে তন্দুরি মসলা দিয়ে নিবো।

নবম ধাপ



এরপর মুরগির গোস্তের সাথে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মেখে নিবো।

দশম ধাপ



এরপর রেপিং পেপার দিয়ে বোলের ওপরে আটকিয়ে নিবো।

একাদশ ধাপ




এরপর তা ফ্রিজে ৩-৪ ঘন্টার জন্য রেখে দিবো।

দ্বাদশ ধাপ



এরপর ৩-৪ ঘন্টা পরে ফ্রিজ থেকে নামিয়ে বোলের ওপরের রেপিং পেপার খুলে নিবো।

ত্রেয়দশ ধাপ



এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে এতে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।

চর্তুদশ ধাপ



এরপর তেল গরম হলে মসলা মাখা পিছগুলো ফ্রাইপ্যানে দিয়ে নিবো।

পঞ্চদশ ধাপ



এরপর এপিঠ ওপিঠ করে ভালো করে ভেজে নিবো।এখানে দুই পিছ করে ভাজা হয়েছে।পরের দুই পিছ একইভাবে ভেজে নিবো।

শেষ ধাপ



এরপর ভাজা কমপ্লিট হলে তা একটি প্লেটে নামিয়ে নিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু ও মজাদার চিকেন তন্দুরি রেসিপিটি।

পরিবেশন



পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে চিকেন তন্দুরি রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা চিকেন তন্দুরি রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের উৎসাহমূলক মন্তব্য আমাকে সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।



ফটোগ্রাফির বিবরণ


Photographer @anisshamim
Device Google Pixel 4a

আমার পরিচিতি


9550.jpg


আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।দেশকে খুবই ভালোবাসি।দেশের জন্য নিজের যেকোনো কিছু বির্সজন দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই চিত্রাঙ্কন করা,কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



আল্লাহ হাফেজ


Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার তৈরি চিকেন তন্দুরি রেসিপিটি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিকেন তন্দুরি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের খাবারগুলো খেতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

কয়েকদিন আগে আমরা বাসায় টুনা মাছের বারবিকিউ পার্টি করেছিলাম। তবে নেক্সট টার্গেট ছিলো চিকেন তান্দুরি। আজকে দেখছি আপনি লুচির সাথে চিকেন তান্দুরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। আর খুব শীঘ্রই আমরাও বানিয়ে আপনার মতই সবার সাথে শেয়ার করব। ধন্যবাদ আপনাকে সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আর আপনার তৈরি করা চিকেন তন্দুরি রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রহিলাম।

চিকেন তন্দুরি আমার বেশ পছন্দের । দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে চিকেন তন্দুরি বাসায় তৈরি করে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সহজ ও সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার চিকেন তন্দুরি দেখে সত্যি জিভে জল চলে আসলো। চিকেন তন্দুরি কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে।আমার কাছে চিকেন তন্দুরি খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার হাতে নিজে তৈরি করা দেখে আরো ভালো লাগলো। আপনি দারুণ ভাবে উপকরণ এবং রান্নার ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

চিকেন তন্দুরি দেখে তো লোভ লেগে গেল। আসলে সকাল বিকেলের এই ধরনের নাস্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে এগুলো তৈরি করতে একটু সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আপনি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ওয়াও! এককথায় দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। চিকেন তন্দুরি আমার খুব পছন্দ। যদিও রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয় মাঝেমধ্যে। তবে এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করা হয়নি এখনো। তাই ভাবছি এই রেসিপিটা বাসায় ট্রাই করতে হবে। চিকেন তন্দুরি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। লুচি দিয়ে খুব মজা করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এক কথায় বলতে গেলে এসব খাবার গুলো হলো লোভনীয় খাবার। তবে সব সময় খেতে ভালো না লাগলেও কিছু কিছু সময় গুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর করে চিকেন তন্দুরি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি তৈরি প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে এ জাতীয় রেসিপি মাঝে মধ্যেই খাওয়া হয়। আর সবসময় খেতে যদিও ভালো না লাগে, তবে সবসময় খরচের দিক দিয়ে খাওয়াও সম্ভব নয়।কারণ যেখানে প্রতিদিনের খরচ চালাতেই যখন অনেকেই হিমসিম খেতে হচ্ছে।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

চিকেন তন্দুরি এবং পুরি বা লুচি এককথায় অসাধারণ ছিল ভাই। দেখেই তো লোভ হচ্ছে হা হা। এর আগে চিকেন তন্দুরির রেসিপি টা দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন রেসিপি টা ভাই। অনেক সুন্দর পরিবেশন এবং উপস্থাপন করেছেন। এটা একদিন ট্রাই করতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

চিকেন তান্দুরি আর সেই সাথে লুচি, এটাতো চমৎকার একটা খাবার মাঝে মাঝে খাওয়া হয় কিন্তু বাসাতে কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সুস্বাদু একটি রেসিপি আপনাদেরকে উপহার দিয়েছেন।

যদিও এ জাতীয় খাবার সচরাচর রেস্তোরাঁয় খাওয়া হয়, তবে বাসায় তৈরি করে খেতে পারলে খুবই ভালো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ভাই আপনার চিকেন তান্দুরি দেখে তো লোভ লেগে গেল ।দারুণ বানিয়েছেন ।আমিও বাসায় মাঝেমধ্যে বানাতাম ।অনেকদিন হয় বানানো হয় না ।তবে আপনার রেসিপিটি কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপের উপস্থাপন বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

একটা বিষয় খুব খেয়াল করি আমি। সেটা হচ্ছে যে আপনি বেশ মজাদার কিছু রেসিপি শেয়ার করেন প্রায় সময়। তবে আপনার রেসিপি গুলো খুবই কষ্টের এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এতই ভালো লেগেছে আপনার সুস্বাদু মজাদার চিকেন তন্দুরি রেসিপি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালোই হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

হা আপু রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর ও চমৎকার মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

আপনি খুব লোভনীয় একটি চিকেন তন্দুরি রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

চিকেন তান্দুরি আমার অনেক পছন্দ। তবে বাসায় কখনো একটা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

একটা সময় ছিল যখন আমি চিকেন তন্দুরি রেসিপি অনেক ভালো করে করতে পারতাম। অনেকদিন করে খাওয়া হয়না দেখে রেসিপিটি প্রায় ভুলে গেছিলাম আমি। আপনার রেসিপিটি দেখে পুনরায় সবকিছু মনে পড়ে গেল ভাই। আপনার রেসিপিটি দেখেতে বেশ লোভনীয় লাগছে । আগে শীতকাল আসলে এই রেসিপিটি সাধারণত করে খাওয়া হত।