সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিত্রাণ, এক এক সময়ে

গত তেরো বছর ধরে প্রায় সব বড় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে থাকার পরে আমি বুঝতে পেরেছি যে এই ধরনের জিনিসের জন্য এটি অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। আমি 2005 সালে প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ধারণা শিখেছিলাম এবং এটি অর্কুট দিয়ে শুরু হয়েছিল তার সোনালী দিনে। প্রচুর গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায় যা একে অপরের সাথে প্রচুর তথ্য, পুরানো সময়ের গেম এবং স্কার্প ভাগ করেছে। অনেক বন্ধু খুঁজে পেয়েছে এবং হারিয়েছে।

তারপর 2005 সালে ফেসবুক আসে এবং 2006 সালে সবার জন্য উন্মুক্ত হয় এবং আমি একটি আমন্ত্রণ পেয়ে যোগদান করি। এটি প্রাথমিকভাবে নিস্তেজ ছিল এবং অর্কুট অনেক বেশি আনন্দদায়ক এবং রঙিন ছিল। এক বছর বা তার পরে, এয়ারটেল তাদের প্রিপেইড সংযোগে বিনামূল্যে ফেসবুক অফার করেছে। মনে রাখবেন, মোবাইল ইন্টারনেট সত্যিই ধীর ছিল এবং মোটেও সস্তা ছিল না। লোকেরা হঠাৎ করে ফেসবুকের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে এবং অর্কুট তার মুকুট হারিয়ে ফেলে। কোথাও টুইটার এসেছিল যা আমি মোটেও বুঝতে পারিনি, তবে যাইহোক যোগ দিয়েছি। অর্কুট গুগল প্লাস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, ফেসবুক ক্রোধে ছিল, টুইটার ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছিল, এবং আমি তাদের প্রত্যেকের সাথে সমানভাবে ছিলাম।

এই সব সময় আমি ভাবছিলাম কিভাবে আমি চলতে রাখা. আমি এমন লোকদের দেখতে পাচ্ছি যারা বহু বছর ধরে কোনো পোস্ট করেননি, এমনকি যুগ যুগ ধরে একটি চ্যাটও করেননি। আমার স্ট্যাটাস বার্তা এবং ফটোগুলিতে লাইক ছিল, বিভিন্ন প্রকৃতির মন্তব্য এবং প্রায়শই পোস্টগুলিতে ট্যাগ ছিল যা কিছু অর্থবোধ করতে পারে, যদি না হয় তবে হাসি আনুন। এমনকি আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার কিছু সামাজিক নেটওয়ার্কিং বন্ধুদের সাথে দেখা করেছি এবং আমার অনেক সহপাঠী এবং সহকর্মীকেও যুক্ত করা হয়েছে।

যখনই আমি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার খুলি, আমার কাছে তথ্যের একটি অসীম স্ক্রোল ছিল যা আমার প্রয়োজন বা নাও থাকতে পারে। আমি একটি ভাল উদ্ধৃতি দেখব এবং এটি ভাগ করব, কেউ নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছে এবং আমি এটি পছন্দ করব, কেউ বিয়ে করেছে এবং আমি একটি গ্রাহককে অভিনন্দন লিখব, কেউ একটি বড় কেনাকাটা করেছে এবং আমি তাদের মঙ্গল কামনা করব, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং আমি শীঘ্রই আমার সুস্থ হয়ে উঠার শুভেচ্ছা পাঠাবে এবং এটি চলল।

আমি সত্যিই এটা প্রয়োজন যদি আমি বিস্মিত. আমি মতামত তৈরি করতে শুরু করি যার আমার একেবারেই প্রয়োজন নেই। সামাজিক-রাজনৈতিক সমীকরণ ও নেতিবাচক পোস্টগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি দিনে কয়েক ঘন্টা পড়তাম, আমি যা চাই তা দেখছিলাম, যা পছন্দ করি তা করছি, কোনও স্ট্রিং নেই, তাহলে আমার থেকে কিছু খাওয়ার মতো মনে হচ্ছে কেন?

আমি এটি বেশ দেরিতে বুঝতে পেরেছিলাম, এবং এটি আমি অনুভব করছিলাম তথ্য উপচে পড়েছিল। আমার প্রয়োজন নেই যে অনেক তথ্য আছে, এবং সব সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট এটি ট্রাকলোড দেওয়া হয়.

প্রায়শই, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার জীবন কীভাবে অনেক ঘটছে এবং আমার কাছে এটি সহজ। আমি অনেক ভ্রমণ করি, আমি ঠিক লিখি, তারা কীভাবে আমার সপ্তাহান্তে ভ্রমণে ঈর্ষা করে বা আশ্চর্য হয় যে আমি কীভাবে পড়তে এবং লিখতে সময় পাই, কীভাবে আমি দুঃসাহসিক কাজ করে জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করি, লোকেরা প্রায়শই তাদের বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছিল, আবেগগত বা কর্মজীবন, এবং আমি সবার জন্য সেখানে ছিলাম। তারা আমার প্রোফাইলে যা দেখেছিল তা তারা খুব কমই জানত। কেউ জানে না আমার মনে কি চলছে বা আমি এই মুহূর্তে কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আমি কি এমন কিছুর সাথে লড়াই করছি যা আমি হারাবো নাকি কঠিন সময় পাচ্ছি বা কোন টার্মিনাল অসুস্থতায় ভুগছি। কেউ চিনতে পারে না।

2010 সালে S40 Nokia ডিভাইসে প্রাথমিকভাবে যোগদান করার পর আমি কখনই Whatsapp-এ ফিরে আসিনি কারণ এটি জনপ্রিয় ছিল না এবং যখন এটি জনপ্রিয় হয়েছিল, তখন হাজার হাজার ফরোয়ার্ড করা বার্তা কোনো সীমা ছাড়াই আদান-প্রদানের কারণে আমি এটিকে সম্পূর্ণ সময়ের অপচয় লক্ষ্য করেছি। ফেসবুকের সাথে, এটি সর্বদা চালু এবং বন্ধ ছিল, কিন্তু কিছু সময় থেকে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি এটি রাখতে চাই কারণ আমি এটি রাখতে চাই। এমনকি ইনস্টাগ্রামে, আমি অন্যান্য ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজে বের করে এবং বিভিন্ন উপায়ে দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শিখে কিছু উত্পাদনশীল কাজ করেছিলাম (বা অন্তত আমি মনে করি)। আমি যে পরিতৃপ্তির ফাঁদে পড়েছি তা বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগেছিল। আমার ফটোগ্রাফি উন্নতি করছে এবং ইনস্টাগ্রামের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। আমি যা করছিলাম তা হল খাবার, এলোমেলো ফুল এবং আমি যে জায়গাগুলিতে গিয়েছিলাম তার ফটোগুলি ভাগ করা এবং একই রকম অন্যদের ফটোগুলিকে পছন্দ করা৷

তাই অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া এক এক করে ছেড়ে দেব তাদের কোনো ঘোষণা না করেই। এখনও কিছু লোক আছে যারা যত্ন নিতে পারে বা জিজ্ঞাসা করতে পারে কি এবং কেন। ব্যাখ্যা করতে খুব ক্লান্ত.

আমি ইনস্টাগ্রাম দিয়ে শুরু করেছি, যা সবচেয়ে কঠিন ছিল কারণ এটি আমার তিনটি আগ্রহ, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ এবং লেখালেখি করেছে। আমি কেবল অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করেছি যাতে কখনও ফিরে না যাই।

তারপর এক সপ্তাহ পর, আমি ফেসবুকে চলে আসি, যা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। যদিও, আমি এখনও আমার প্রোফাইল ডাউনলোড করার অনুরোধ করিনি যেহেতু আমার কিছু বিষয়বস্তু আছে যা আমি ধরে রাখতে চাই। হয়তো কিছুক্ষণ পরে আমি এটিকে কিছুক্ষণের জন্য সক্রিয় করব এবং সংরক্ষণাগার প্রস্তুত হয়ে গেলে, আমি অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণ মুছে দেব।

ফেসবুকের কিছুদিন পর টুইটার থেকে বিদায় নিলাম। এটা সবচেয়ে সহজ ছিল. ফোন থেকে অ্যাপটি মুছে ফেলা হয়েছে এবং এটি চলে গেছে।

আমি এখন গুডরিডস, লিঙ্কডইন, ব্লগার, ইউটিউব, কোরা এবং সাউন্ডক্লাউড রাখছি। এইগুলি বজায় রাখা বরং সহজ বা বলুন সময়সাপেক্ষ। আমি আশা করি আমি এগুলি থেকে চিরতরে দূরে থাকতে পারি এবং নিজের জন্য কিছু করতে পারি (বা শান্তিপূর্ণভাবে কিছুই করতে পারি না)।

চিয়ার্স!