"আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজ আমরা নিজেরাই করলাম"

in hive-129948 •  last year 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৬ শে জানুয়ারি,শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার হয়তো অনেকে জানেন যে, আমাদের পাড়ায় ইয়াং জেনারেশন দের উদ্যোগে আমরা সরস্বতী মন্দির নির্মাণ করছি। আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দির নির্মাণটা আমাদের ইয়াং জেনারেশনের স্বপ্ন। বিশেষ করে আমরা যারা ছাত্র আছি তারা সবাই আমাদের পাড়ার এই সরস্বতী মন্দির করার কাজে ওতপ্রেত মিশে আছি। এই মন্দির করাতে আমাদের যেহেতু প্রথম ধাপের বাজেট খুব কম ছিলো তাই দুইদিন রাজমিস্ত্রিদের দিয়ে কাজ করিয়েছিলাম প্লিন্থ লেভেল পর্যন্ত। তারপর আমরা নিজেরাই কয়েকদিন পরে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজ করেছিলাম।

আমরা প্লিন্থ লেভেল পর্যন্ত রাজমিস্ত্রিদেরকে দিয়ে কাজ করানোর পরে কয়েকদিন ধরে কিউরিংয়ের কাজ করেছিলাম। তারপর কিউরিং এর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিজে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজ আমরা নিজেরাই করবো। কারণ কামলা দিয়ে করাতে গেলে গেলে তাদেরকে টাকা দিতে হবে বা বালি কিনে ভরাট করতেও কয়েক হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। তাই আমরা মাটি ভরাট করার আগের দিন খেলার মাঠে গিয়ে সবাই মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

যেহেতু শীতের দিনে খুব সকালে উঠতে সবারই সমস্যা হয় তাই আমরা দুপুরের দিকে মাটি দিয়ে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির ভরাটের প্ল্যান করি। পরের দিন আমি আমাদের পুকুরের চালায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটি পোস্ট লিখছিলাম। সেই সময় আমার কাকাতো ভাই এসে বলল যে এখন তো প্রায় দুপুর হয়ে গেছে তাহলে চলো যাই গিয়ে সবাই মিলে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজ আরম্ভ করি। তখন আমি বললাম যে, আমার পোস্ট লেখা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে তুমি যেতে লাগো আমি কয়েক মিনিটের ভেতরে চলে আসছি।

তারপর আমার কথা শুনে আমার কাকাতো ভাই আমাদের বাড়িতে কেদাল আর ডালি নিয়ে মন্দিরের সামনে চলে গেল। আমিও আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট সম্পূর্ণ করে কয়েক মিনিটের ভিতরে এই মন্দিরের সামনে গিয়ে দেখি অনেকে এসে কাজে যুক্ত হয়ে গেছে। ‌ সত্যি বলতে সবার এতটা আগ্রহ দেখার পরে মনের ভিতর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছিল। কিছু কিছু সামাজিক কাজে পাড়ার ছেলেপেলেদেরকে আমি ডাক না দিলে অনেক সময় আসে না।

কিন্তু আজকে আমি ডাকার আগেই সবাই এসে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে আমরা মন্দিরের বারান্দা ভরাটের কাজ আরম্ভ করি। যেহেতু আগে থেকে মন্দিরের মাটি ছিল না বললেই চলে তাই কাজটা আমাদের জন্য অতটাও সহজ ছিল না। কারন আমরা যারা এই মাটি ভরাটের কাজ করতে এসেছিলাম তারা কেউই প্রতিনিয়ত এসব কাজ করি না।

তারপরেও সবার কাজ করার মনোভাব অনেক কঠিন কাজকে সহজ করে তোলে। প্রথমে আস্তে আস্তে আমরা মন্দিরের বারান্দা ভরাটের কাজ সম্পন্ন করলাম। আমাদের এই বারান্দা ভরাটের কাজ সম্পূর্ণ করতে মোটামুটি প্রায় ২ ঘণ্টার মতো সময় লেগে গিয়েছিলো। বারান্দা ভরাট সম্পূর্ণ করে তারপর মন্দিরের ভেতরের অংশ ভরাট আরম্ভ করলাম। মন্দিরের ভেতরে অংশে অবশ্য আগেকার মাটি কিছুটা পরিমাণ ছিলো।

তারপরেও বারান্দা ভরাট করতে আমাদের যে, মাটি লেগেছে তার দ্বিগুণ মাটি লাগবে সম্পূর্ণ ভরাট করতে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে, একদিনে আমরা বারান্দা ভরাট করবো আর একদিনে ভেতরের অংশ ভরাট করবো। কিন্তু বারান্দা ভরাট করার পরেই সবার সাথেই শুরু হয়ে গেল ভেতরের অংশ ভরাট এর কাজ। সবাই মিলে এভাবে একসাথে কাজ করার মজাই আলাদা।

শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের ভেতরের অংশ ভরাট করতে আমাদের প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগে গিয়েছিলো। মন্দিরের মাটি ভরাট কাজ সম্পূর্ণ করার পরে সবাই তো ভীষণ খুশি। কারণটা ছিল আমরা দুই দিনের কাজ একদিনেই সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলাম। আসলে সবাই মিলে যদি মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করা যায় তাহলে কাজ ভিষণ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। সত্যি বলতে সবার এরকম কাজের প্রতি মনোভাব দেখে আমি ভীষণ খুশি ছিলাম। কারণ আমি চাচ্ছিলাম যে ঢাকায় আসার পূর্বেই শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজটা সম্পূর্ণ করতে। যাইহোক শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের মাটি ভরাটের কাজটি সম্পন্ন করতে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১৫ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

এটা খুবই একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন, আপনারা যুব সমাজ একটা ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করেছেন এবং এটা তৈরি করা আপনাদের একটা স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনারা কষ্ট করে যাচ্ছেন খুবই ভালো লাগলো আপনাদের এই উদ্যোগ দেখে।

হুম ভাই। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile