হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২রা মার্চ, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পর বেশ ভালোই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। গত বছরে ছোট ভাই অর্ঘ্যকে নিয়ে গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। এর আগে কখনো অবশ্য আমি এই গাজীপুর গিয়েছিলাম না এটাই আমার প্রথম গাজীপুর যাওয়া ছিলো।
মূলত গাজীপুরের ইকু গবেষণা কেন্দ্রে আমাদের গ্রামের এক দাদা বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি চাকরি করে তাই আমরা তার কাছে গিয়েছিলাম। যদিও আমাদের কোন কাজ ছিল না শুধুমাত্র তার সাথে দেখা করা আর গাজীপুরে একটু ঘুরে দেখায় এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো। গতবছরে আমার পিসিমণি ছেলে অর্ঘ্য ঢাকাতে আসার পর ওকে নিয়ে বেশ ভালোই ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। যদিও সেই সময়টায় আমার মিড টার্ম পরীক্ষা চলছিল তারপরেও ছোট ভাই ঢাকাতে এসেছে তাকে নিয়ে ঘুরে না বেড়ালে কি হয়!
আর ছোট ভাই অর্ঘ্যর অনুরোধেই মূলত আমাদের গাজীপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও আমার পরের দিন মিড টার্ম পরীক্ষা ছিল তারপরও ওর অনুরোধ ফেলাতে পারিনি। আমরা দুই ভাই মিলে ঢাকার আগারগাঁও থেকে সরাসরি গাজীপুরের বাসে উঠলাম। আমি যেহেতু গাজীপুরে কখনো যাইনি তাই প্রথমে দেখে আমার গাজীপুরের বাসগুলো খুঁজে পেতে একটু ঝামেলা হচ্ছিলো।
তারপর বাস স্টপেজ থেকে শুনে আমরা গাজীপুরের একটি বাসে উঠলাম। যদিও আমরা আমাদের মোবাইল থেকে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়েছিলাম।আগারগাঁও থেকে যে বাসগুলো যায় সেই বাসগুলো কুড়িল বিশ্ব রোড হয়ে গাজীপুরে যায়। মোটামুটি দুই ঘণ্টার ভেতরে আমরা গাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যাই। যেহেতু আমরা সকালের খাবার খেয়ে বের হয়েছিলাম দুপুরে কিছু খেয়েছিলাম না তাই আমরা গাজীপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমেই একটি হোটেলে গিয়ে খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি খায়।
তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের চাকরিরত বিমল দাদাকে ফোন করি। বিমল দাদা আমাদেরকে রিক্সা নিয়ে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সামনে চলে আসতে বলে।তারপর গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি রিক্সা নিয়ে আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সামনে যায়।
তারপর বিমল দাদা ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের সামনে এসে আমাদেরকে নিয়ে ভেতরের দিকে যায়। গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের এরিয়াটা অনেক বড়। এ খুব গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরের দিকে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেক জাতের ইক্ষু লাগানো রয়েছে। এখানে প্রতিটি জাতের আলাদা আলাদা নাম ও নাম্বার দিয়ে ইক্ষু সংরক্ষণ করা রয়েছে। আর এই সকল ইক্ষু গুলো নিয়েই এখানে গবেষকরা গবেষণা করে।
যদিও এটা ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র তারপরেও এখানে দেখলাম বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে। আমরা যে সময়টাতে গিয়েছিলাম সেই সময়টাতে বোরো ধানের সিজন ছিলো। গাজীপুরে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরে অনেক জায়গা তার বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই ধানের ক্ষেত। আর ভেতরের বাকি জায়গা জুড়ে রয়েছে ইক্ষু ক্ষেত আর বিভিন্ন জাতের গাছ।
বোরো ধানের ভেতরেও অনেক রকম জাত রয়েছে। আমি দেখলাম যে প্রতিটি ধানের ক্ষেতে আলাদা আলাদা কোডের ধান। প্রতিটি ধানের ক্ষেতের সাথে আলাদা আলাদা নেমপ্লেট। ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের ধানের ক্ষেতের পাশে একটি তালগাছ ছিল দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। এই তালগাছের সাথে অবশ্য কোন নেমপ্লেট ছিল না, কিন্তু তালগাছটা আমরা সবাই চিনি। যাই হোক ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরে বিমল দাদার সাথে অনেক ঘুরেছিলাম আরো ফটোগ্রাফি এবং ঘুরাঘুরির গল্প রয়েছে পরবর্তীতে অন্য একটি পোস্টে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৪ ই এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গাজীপুর ইক্ষু গবেষণা গিয়ে আপনারা মূলত সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ।যা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। গাজীপুর যাওয়ার সময় গাজীপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমেই একটি হোটেলে গিয়ে খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছেন । রেসিপিটি অনেক লবণীয় ছিল ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু কাছে বিরিয়ানিটা বেশ দারুন টেস্ট ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কাজিন যেহেতু ঢাকায় এসেছিল, তাই তাকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করা অবশ্যই দরকার ছিলো। যদিও পরের দিন আপনার পরীক্ষা ছিলো বলে, আপনার কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। যাইহোক বসুমতি বাস তো গাজীপুর যায় কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে। তাছাড়া প্রজাপতি এবং পরিস্থান বাস আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যায়। আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের অনেক বাস পাওয়া যায়। যাইহোক আপনাদের এলাকার বিমল দাদা গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রে চাকরি করে বলে,আপনারা সেখানে গিয়ে চমৎকার সময় কাটাতে পেরেছেন। আমিও মোটামুটি কয়েক মাস আগে ইক্ষু বা আখের ক্ষেত দেখেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই প্রথমবারের মতো গাজীপুর গিয়েছিলাম তো তাই আর কি একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে গাজীপুর ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit