হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬শে ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গত পরশুদিন রাতে আমি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। গ্রামের বাড়িতে আসার পরে সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে। আসলে গ্রামীণ পরিবেশ আমি সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি। গ্রামীণ প্রকৃতিতে বুক ভরে বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস নিতে পারছি এখন। আমি যখন বাড়িতে থাকি তখন যদি নিজের এলাকায় বা আশেপাশের এলাকায় সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় তাহলে সেখানে চলে যায়। এরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। গতকালকে আমি আমাদের পাশের একটি এলাকায় মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সুন্দর মুহূর্তগুলো আমি এখন আপনাদের সামনে শেয়ার করবো।
আমি গতকালকে যে, জায়গাটিতে গিয়েছিলাম এই জায়গাটির নাম হচ্ছে সেনগ্রাম। এখানে একটি পুরাতন কালিবাড়ি মন্দিরে আজ কয়েক বছর হচ্ছে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়। এখানে মহানাম যজ্ঞ শুরুর প্রথম বছর থেকে আমি যাই। আমি ঢাকাতে থাকতে শুনেছিলাম যে এই জায়গাটিতে মহানাম যজ্ঞ চলছে তাই ঢাকা থেকে মন স্থির করেছিলাম যে, বাড়িতে যাওয়ার পর মহানাম যজ্ঞ শুনতে যাবো। গতকাল ছিলো মহানাম যজ্ঞের শেষ দিন। আমি এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেখানেই যাই না কেন আমাদের পাড়ার ছেলেপেলেদের নিয়ে একসাথে যায়।
সবাই মিলে এরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একসাথে যাওয়াটা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আমরা মোটামুটি গতকালকে বিকাল চারটার দিকে বাড়ি থেকে দুইটা মোটরসাইকেল নিয়ে ছয়জন গিয়েছিলাম। মোটামুটি আধা ঘন্টার ভিতরেই আমরা এই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে পৌঁছে যায়। এই জায়গাটিতে এসে দেখি অনেক ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটেছে। আসলে আজকে শেষ দিন তো তাই ভক্তবৃন্দ অনেক বেশি হয় শেষ দিনে।
আমরা বেশ কিছু সময় মহানাম যজ্ঞ কীর্তন শোনার পরে প্রসাদ নেয়ার জন্য আনন্দবাজারে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ভক্তবৃন্দরা আনন্দবাজারে ভক্তি ভরে প্রসাদ আচ্ছাদন করছে। আমরাও বসে আনন্দবাজার থেকে ভক্তি ভরে প্রসাদ খেয়ে নিলাম। গতকালকের দিনের বেলার ছিলো সাদা ভাত, পালং শাকের ঘন্ট, মুগের ডাল, চাটনি আর মিষ্টান্ন। প্রতিবারের মতো প্রসাদের বেশ স্বাদ হয়েছিলো এবারেও। এরকম সুন্দর প্রসাদ খেয়ে সত্যি মন ভরে গেছিলো। তারপর আমরা প্রসাদ খাওয়া দাওয়া করে একটু হাঁটা চলার জন্য বাইরের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কালকে রাতের চাঁদটা ভীষণ সুন্দর লাগছিল দেখতে।
তারপর আমরা কিছু সময় ঘোরাঘুরি করার পরে আবার কীর্তনের আসরে গিয়ে বসলাম। সন্ধ্যার পরে কীর্তনের আসরে প্রচুর পরিমাণে ভক্তবৃন্দ হয়। এভাবে আসরে বসে হরিনাম সংকীর্তন শুনতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমাদের পাড়ার এই ছেলেপেলের গ্রুপটা যেখানেই কীর্তনে শুনতে যায় না কেন সবাই আসরে বসেই হরিনাম কীর্তন শোনার চেষ্টা করি। কলিযুগের জীবের মুক্তির জন্য হরিনাম সংকীর্তন একমাত্র অবলম্বন।
আমরা যে, যে ধর্মেরই হই না কেন আমাদের উচিত প্রত্যেকের ধর্ম সুন্দরভাবে পালন করা। আমরা যত বেশি ধর্মের পথে থাকবো তত বেশি আমাদের পাপ কাছ থেকে দূরে থাকবো। আমরা মহানাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে একটি করে দলের গান শুনি দুই ঘন্টা তারপরে আবার উঠে বাইরের দিকে প্রকৃতিতে একটু ঘুরে আসি। কারণ প্রতিটি দলের গান দুই ঘন্টা করে হয় তারপর আবার নতুন দল এসে হরি হরিনাম সংকীর্তন গান ধরে।
গতকালকে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত একটি ভালো দলের হরিনাম সংকীর্তন গাছ ছিলো তাই আমাদের ইচ্ছা ছিল যে রাত দশটা পর্যন্ত এই দলের হরিনাম সংকীর্ত্তন গান শুনে বাড়িতে যাবো। তারপর আমরা সবাই মিলে আসরে বসে রাত দশটা পর্যন্ত এই ভালো দলের হরিনাম সংকীর্তন গান শুনি। এই দলের গান শেষ হয়ে গেলে বাড়িতে যাওয়ার আগে আবার আনন্দবাজার থেকে খিচুড়ি আর কপির তরকারি প্রসাদ প্রসাদ আহার করি।
তারপর প্রসাদ নেয়া শেষ করে বাইক নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। গতকালকে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের হরিনাম সংকীর্তনে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৩ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit