হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২শে ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভাষার মাসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা রইল। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের একমাত্র বাংলা ব্লগিং কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে নিজের কাছে গর্বিত মনে হয়। আমরা এই কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমাদের মায়ের ভাষাতে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি। আমি কয়েকদিন আগে ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু সুন্দর মুহূর্ত এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল যে, বাংলাদেশের সব থেকে বড় মন্দিরে গিয়ে কিছু সুন্দর সময় অতিবাহিত করার। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ঢাকার স্বামীবাগে বাংলাদেশের সব থেকে বড় মন্দির করছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। কিছুদিন আগে অবশ্য আমার বাবা এবং ইন্ডিয়ান কাকা ঢাকার স্বামীবাগের এই ইসকন মন্দিরে এসে ঘুরে গিয়েছিল এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করে গিয়েছিল আর সেসব সুন্দর মুহূর্ত বাড়িতে এসে আমাদের সাথে শেয়ার করেছিল।
আমাদের মেস থেকে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে দূরত্ব ১২ কিলোমিটার মতো। হঠাৎ করে একদিন সন্ধ্যার দিকে মন চাইলো যে, ইসকন মন্দিরে গিয়ে ঘুরে আসি। তারপর মোহাম্মদপুর থেকে বাসে করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরের দিকে রওনা দিলাম। বাসা থেকে ইসকন মন্দিরে বাসে করে যেতে মোটামুটি দেড় ঘন্টা মত সময় লাগলো। ঢাকার ভিতরে প্রচন্ড জ্যাম থাকার কারণে অবশ্য সময়টা অনেক বেশি লাগে।
স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরের সামনে গিয়ে প্রথমে মন্দিরের ভিতরে কোন পাশ দিয়ে ঢুকবো সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারপর মন্দিরের একজন মাতাজির কাছে শুনে ইসকন মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। আমি যে সময়টাতে গিয়েছিলাম সে সময়টা সন্ধ্যার সময়। আর সন্ধ্যার সময় ইসকন মন্দিরে ভগবানের আরাধনা করা হয় আর হরিনাম সংকীর্তন চলে।
প্রথমে এই মন্দিরে ঢোকার সময় প্রণাম করে নিলাম আর দেখলাম যে মন্দিরে অনেক লোক একসাথে হরিনাম সংকীর্তন করছে। সত্যি বলতে এমন দৃশ্য দেখার পরে বুকটা ভরে যাচ্ছিলো আর নিজের মনের কাছেও অনেক আনন্দ লাগছিলো। সবাই একসাথে হরিনাম সংকীর্তন করছে আর যার যার মতো নৃত্য করছে। আমি প্রথমেই শ্রী শ্রী মা কালীর মন্দিরে গিয়ে সেখানে প্রণাম করে তারপর হরিনাম সংকীর্তনে যোগ দিলাম।।
অনেক সময় হরিনাম সংকীর্তন করার পরে ভাবলাম যে, এসেছি যতক্ষণ এখন চারপাশে একটু ঘুরে দেখি এখানকার পরিবেশ। তারপর মন্দিরের এরিয়াতে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলাম। মন্দিরের ভেতরে দেয়ালে দেখলাম যে, শ্রীমদ্ভাগবতগীতা শিক্ষার একটি ব্যানার টানানো রয়েছে। বর্তমানে আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গীতা শিক্ষাটা বেশ জরুরী। প্রত্যেক ধর্মেরই মানুষের উচিত তাদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে অবগত হওয়া।
তারপর আমি মন্দিরের ভেতর থেকে বাইরে বের হয়ে আসলাম। বাইরে এসেই মন্দিরের ডিজাইন টা দেখে আমি রীতিমতো অবাক। সত্যি বলতে এত সুন্দর ডিজাইনের মন্দির বাংলাদেশে আর হয়তো দ্বিতীয়টি নেই। যদিও এর আগে অনলাইনে দেখেছিলাম তার পরেও বাস্তবে মন্দিরের ডিজাইনটি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। এখনো অবশ্য মন্দিরে কাজ চলমান রয়েছে। স্বামীবাগ ইস্কন মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাংলাদেশের সর্বকৃষ্ট মন্দির হবে এটা।
যে জায়গাটিতে মন্দির করছে তার পাশেই দেখলাম যে, মন্দির নির্মাণের জন্য ডোনেশন বুথ রয়েছে। এ বিষয়টা আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে এখানে প্রতিনিয়ত অনেক ভক্তবৃন্দ আসে তারা এই ধরনের সন বুথে নিজের ইচ্ছায় যে যা পারে দান করে যায়। ভগবানের মন্দির নির্মাণে দান করাটা সত্যি অনেক পুন্যের কাজ। বাংলাদেশের সব থেকে বড় মন্দিরে এসে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পেরে মনের ভিতরে বেশ ভালো লাগছিল।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৩০ শে জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অজানা অচেনা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার খুবই ভালো লাগে ভাইজান। ঠিক তেমনি একটি মন্দির সম্পর্কে আমাদের মাঝে বেশ অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনার মাধ্যমে কিন্তু আজকে দেখার সুযোগ হলো। ভালো লাগলো আপনার আজকের এই অসাধারণ পোস্ট, যেখানে অনেক তথ্য বহন করেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Twitter post link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইসকন মন্দিরগুলোতে গেলে সত্যিই মন-মানসিকতা অনেক বেশি ভালো হয়ে যায়। আমিও যখন সময় সুযোগ পাই তখন মন্দিরে গিয়ে বসে থাকি। এইতো কয়দিন আগে মায়াপুর গিয়ে পৃথিবীর সব থেকে বড় ইসকন মন্দির দেখে আসলাম। তবে বাংলাদেশেও যে এত বড় একটা ইসকন মন্দির রয়েছে, সেটা তো আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। যদিও এখন আন্ডার কনস্ট্রাকশন রয়েছে, তবে আশা করি একদিন অবশ্যই পুরো মন্দিরটা তৈরি হয়ে গেলে অন্য একটা পোস্ট আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। সেই অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমারও ইচ্ছা আছে দাদা পৃথিবীর সবথেকে বড় মন্দির মায়াপুরে যাওয়ার। আসলে দাদা মন্দিরে গেলে মন এমনিতেই অনেক ভালো হয়ে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন ভাই পুরোপুরি এই মন্দিরটা সবার জন্য খুলে দিয়েছে। কখনো এই দেশে ঘুরতে আসলে অবশ্যই এই জায়গা দিয়ে ঘুরে যাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit