হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩০ শে এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গতকালকে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে এসে গ্রামীন প্রকৃতিতে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করছি। আমি যখনই সময় পাই ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসি গ্রামীন প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য। কিছুদিন আগে আমাদের মহাশ্মশানের মহানাম যজ্ঞের ভিতরে বাড়িতে এসেছিলাম বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। মহাশ্মশানে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগের পরের দিন আমাদের পাড়ায় প্রতিবছর দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে দোলযাত্রার উৎসব করেছিলাম। আমি আজকে আমাদের দোলযাত্রা উৎসবের নগর কীর্তন করার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বছরে অনেকগুলো ধর্মীয় আসার অনুষ্ঠান বা উৎসব হয়ে থাকে। এগুলোর ভেতরে দোল পূর্ণিমাতে দোলযাত্রা উৎসব বা হোলি উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবকে অনেকেই বসন্ত উৎসব, দোলযাত্রা উৎসব, হোলি উৎসব, রঙের উৎসব ইত্যাদি বলে থাকে। এই দোলযাত্রার দিনে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণের শাশ্বত প্রেম উদযাপন করা হয়। আমাদের পাড়ার যুব সমাজের উদ্যোগে আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও দোলযাত্রার উৎসব পালন করেছিলাম। আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে দোলযাত্রা উৎসবে প্রথম ধাপ হলো নগর কীর্তন।
আমি দোলযাত্রা উৎসবের দিনে খুব সকালেই আমাদের শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনে চলে যায় নগরকীর্তন শুরু করার জন্য। আমরা ইয়াং জেনারেশনের ছেলে কয়েকজন ছিলাম আর ছোট ছোট বাচ্চারা মিলে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির থেকে নগর কীর্তন আরম্ভ করি। আমরা যখন নগর কীর্তন আরম্ভ করে তখন আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র সাত আট জন। আমাদের নগর কীর্তন এর বেশিরভাগ সদস্য ছিলো শিশু-কিশোর কিশোরীরা।
নগর কীর্তনের আরম্ভর সময়ে সদস্য সংখ্যা কম হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তারপর যখন আমরা মন্দিরের সামনে থেকে নগর কীর্তন নিয়ে আমাদের পাড়ার ভেতরের বাড়িতে প্রবেশ করি তখন আস্তে আস্তে আমাদের নগর কীর্তন এর দলের লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। প্রতিবছর আমাদের পাড়ায় বেশ ভালই ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলে উপস্থিত থাকে দোলযাত্রার এই উৎসবে।
কিন্তু এবারে সবাই ছুটি না পাওয়ার কারণে অনেকেই তাদের কর্মস্থল থেকে আসতে পারে নাই। প্রতি বছর অবশ্য এমনটা ঘটে না আমাদের সাথে। আমাদের পাড়ায় ইয়াং জেনারেশনে ছেলেপেলেই প্রায় ২০ জনের উপরে। কিন্তু আজকে নগরকীর্তন করার সময় এক জেনারেশনের ছেলেপেলে ছিলাম পাঁচ ছয় জন মতো। গ্রামের নগর কীর্তন গুলোতে যত বেশি মানুষ হয় ততই বেশি মজা হয়।
দোলযাত্রার উৎসবে প্রতিবছর এভাবেই আমরা প্রতি বাড়িতে গিয়ে নগরকীর্তন দিয়ে থাকি। আমাদের পাড়ায় মোটামুটি ৫০ বাড়ি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আছে। প্রতি বাড়িতেই আমরা ঘরে পাঁচ থেকে সাত মিনিট করে নগর কীর্তন করি। আমরা আস্তে আস্তে বেশ কয়েকটা বাড়িতে নগর কীর্তন করার পর আমাদের দলে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোর কিশোর কিশোরীরা যুক্ত হলো। যে নগরকীর্তন আমরা সাত আট জন মিলে শুরু করেছিলাম সময়ের সাথে সাথে বেরিয়ে প্রায় ২৫ জন মত হয়ে গিয়েছিলাম।
আমরা প্রতি বাড়িতে নগরকীর্তনে গেলে সেই বাড়ি থেকে ধূপতি এবং একটি প্রদীপ উঠানে এনে দেয় তারপর আমরা সেই ধূপতি এবং প্রদীপকে কেন্দ্র করে ঘুরে ঘুরে হরিনাম সংকীর্তন করি। এবারে দোলযাত্রা আর উৎসবে নগর কীর্তনের সময় শিশু-কিশোর কিশোরীদের হরিনাম সংকীর্তন এর প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনারা এই ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, আমরা ৫-৬ জন ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলে বাদে আর সবই শিশু কিশোর কিশোরীরা রয়েছে।
এবারে দোল যাত্রার উৎসবে আমাদের দুই পাড়ায় নগর কীর্তন করতে প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় লেগে গিয়েছিলো। আমরা আর সম্পূর্ণ পাড়ানগর কীর্তন করে আবার শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে ফেরত আসি। তারপর শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির থেকে আমরা নগর কীর্তন সমাপ্ত করি। সবাই মিলে দোলযাত্রার দিনে নগরকীর্তনে অনেক মজা করেছিলাম। এই দোলযাত্রা উৎসবের নগর কীর্তনের মুহূর্ত আমাদের সবার কাছে এই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৫ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দোলযাত্রা উৎসবের প্রথম ধাপ নগর কীর্তন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গ্রামের কচি-কাচাদের নিয়ে আপনারা বড় কয়েকজন তিনঘন্টা ধরে পাড়ার প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে কীর্তন করেছেন! ৬/৭ জন থেকে বেড়ে ২৫ জন হয়েছিল। নিশ্চয়ই সবাই আনন্দের সাথেই নগর কীর্তন করেছেন।দোলযাত্রা সম্পর্কে জানলেও, তার প্রথম ধাপ নগর কীর্তন সেটা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বহু দোলযাত্রা উৎসবে ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে গ্রামে নগর কীর্তন করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নতুন একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম ভাইয়া। আপনাদের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমার তেমন বেশি একটা ধারণা ছিল না। তবে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানার সুযোগ পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের পাড়ার দাস বাড়িতে এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে নাচানাচি করত ধূপ জ্বালাতো এবং ঢোল বাজাত। তবে এত বেশি ধারণা আমার কিন্তু কখনো ছিল না আস্তে আস্তে অনেক কিছু জানতে পেরেছি দোলযাত্রাসহ অনেক অনুষ্ঠান সম্পর্কে। খুব ভালো লাগলো ভাই আপনার সুন্দর এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা দিতে দেখে। সুন্দর একটা মুহূর্ত কিন্তু দেখতে পারলাম পোস্টের মধ্য দিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দোল যাত্রার উৎসবে নগরকীর্তনে আমরা অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit