হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরীফ ভ্রমণ - শেষ পর্ব ।

আমরা সিলেটের হযরত শাহজালাল রঃ মাজারে গিয়ে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। যদি ওই জায়গাটিতে দেখার মত খুব একটা বেশি কিছু নেই তারপরেও এই জায়গাটি অনেক সুন্দর। আমার কাকাতো ভাই আর পলাশ কাকা একসাথে ছিল আর এদিকে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে ছিলাম। আমরা প্রথমে ঘুরতে ঘুরতে একটি কক্ষের দিকে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক মোমবাতি জ্বালানো করা রয়েছে।

যারা মাজার পূজারী তারা অবশ্য এখানে এসে মোমবাতি প্রজ্জালন করে। এই মোমবাতি প্রচলন কক্ষের সামনেই রয়েছে একটি জলাশয়। এই জলাশয় টা আমার কাছে সত্যিই বেশ দারুন লেগেছে। এখানে অনেক বড় বড় গজার মাছ রয়েছে। আমি গজার মাছের থেকে বড় মাছ এখন পর্যন্ত নিজের চোখে দেখি নাই।

এখানকার এই পুরো জলাশয় টি স্টিলের রেলিং দ্বারা ঘেরা রয়েছে। জলাশয়ের ভেতরে নামা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। অনেকেই দেখলাম রুটি জাতীয় খাবারে নিয়ে গজার মাছ গুলোর খাওয়াচ্ছে। খাবার জাতীয় কিছু দিলে গজার মাছ অনেক কাছে চলে আসে। যাইহোক আমরা পুকুরের পাশ দিয়ে যেসব কক্ষগুলো আছে সেগুলোও দেখলাম অনেক ভালো লাগলো।

তারপর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল হাঁটতে হাঁটতে ভেতরের কবরস্থানের দিকে চলে গেলাম। অবশ্য সে জায়গাতে ক্যামেরা অন করা নিষেধ ছিল তাই ছবি তুলতে পারিনি। আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেখানকার পরিবেশটা অনেক থমথম। আমরা ভেতরে আরো একটি জায়গায় গিয়েছিলাম সেটা হলো হযরত শাহজালাল মাজারের অলৌকিক কুপে।

হযরত শাহজালাল রঃ মাজারের রাতের দৃশ্যটা আর আসলেই অনেক সুন্দর লাগে। আমি এর আগেও একবার এসেছিলাম তবে দিনের বেলায় এসেছিলাম। হযরত শাহজালাল রঃ মাজারের কূপের ভেতরে লাল কৈ দেখতে পাওয়া যায় যা সত্যিই চমৎকার। তবে সবাই এই কৈ দেখতে পারে না। যাইহোক আমরা ভেতরের অনেক দৃশ্য দেখে হযরত শাহজালাল রঃ মাজার থেকে প্রস্থান করলাম।

তারপর আমরা হযরত শাহজালাল রঃ মাজারে সামনের চায়ের দোকান থেকে চা কিনলাম। এখানে অনেক ব্র্যান্ডের এবং প্রকারের চা পাওয়া যায়। আমরা এখান থেকে কেনাকাটা শেষ করে সুনামগঞ্জে আমার পিসিমণির বাসায় গিয়েছিলাম। সিলেটের হযরত শাহজালাল রঃ মাজার ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।

আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে
সিলেট ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE@bangla.witness as witness