হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫ শে এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ঢাকাতে থাকি কিংবা গ্রামে থাকি ঘর বন্দী জীবন আমার একদম ভালো লাগে না তাই তো সবসময় চেষ্টা করি ঘুরে বেড়ানোর। সব সময় ঘরের ভিতরে আবদ্ধ থাকলে মনে হয় যেনো পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন আছি। সপ্তাহখানেক আগে এই গ্রাম থেকে ঢাকাতে এসেছি ঢাকা আসার পরে মনটা খুব একটা ভালো নাই কারণ গ্রামের মতো ঘোরাঘুরি রাকাতে এসে করতে পারিনা। গ্রামীন পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। ঢাকাতে এসে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা করলেও যানজটের ভয়ে ঘুরে বেড়ানো হয়ে ওঠে না। তবে মাঝেমধ্যে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য হলেও ঘোরাফেরা করা দরকার আছে। তারপরেও সন্ধ্যার পরে আমাদের বড় ভাই আমি আর রাহুল রিক্সা বিলাস করার উদ্দেশ্যে রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে।
ঈদের পরে কয়েকদিন পর্যন্ত ঢাকা শহর অনেকটা ফাঁকা থাকে কারণ স্টুডেন্টরা তখনো বাড়িতেই থাকে। আমরা মোহাম্মদপুর থেকে একটি রিকশাতে তিনজন উঠে পিলখানা সামনের পাতাম রেস্তোরাঁর সামনে নামলাম। তারপর রিক্সাওয়ালাকে রিক্সা ভাড়া দিয়ে হঠাৎ করে এই তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে, পাতাম রেস্তোরাঁতে ভেতরে গিয়ে বসে সময় কাটাবো। কারণ পাতাম রেস্তোরাঁটা কোন ইনডোর রেস্তোরাঁ নয় এটা রাস্তার পাশেই ধানমন্ডি লেকের সাথেই খোলামেলা পরিবেশে অবস্থিত।
যাইহোক অনেকবার এই পাতাম রেস্তোরাঁ আসার ইচ্ছা থাকলেও এর আগে কখনো আসা হয়েছিল না। আজকে হঠাৎ করে এই তিনজনের সিদ্ধান্তের উপর পাতাম রেস্তোরাঁর ভিতরে ঢুকলাম। এই রেস্তোরাঁটা খোলামেলা পরিবেশে হওয়ার কারণে অনেক লোকজন এসে এখানে নিরিবিলি সময় কাটায়। আমরা যখন ভিতরে প্রবেশ করলাম দেখলাম তেমন একটা বসা জায়গা নেই সব চেয়ার-টেবিল বুক রয়েছে। তারপর একটু অপেক্ষা করতেই চেয়ার টেবিল পেলাম আমরা সেখানে বসলাম।
তারপর নিজেরা কিছু সময় গল্প গুজব করলাম। এখানকার প্রাকৃতিক বাতাস আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। তারপর আমি আমাদের বড় ভাইকে বললাম যে, ভাই এখান থেকে কিছু একটা খাইতে পারলে ভালো হতো। তখন ভাই বলল যে কি খাওয়া যায়! আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বললাম যে, তাহলে চা-কফি খায় প্রথমে।
তারপর আমাদের বড় ভাই পাতাম রেস্তোরাঁর কাউন্টারে গিয়ে তিনটা ব্ল্যাক অর্ডার করে নিজেই আমাদের টেবিলে নিয়ে আসলো। আহ্ বেশ মজা করেই নিরিবিলি প্রকৃতিতে বসে ব্লাক কফি খেলাম খুব ভালো লেগেছিল ব্ল্যাক কফি। আমরা আস্তে আস্তে কফি খেলাম আর নিজেরা নিজেদের মতো গল্প গুজব করলাম। এখানে বসে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
আমরা অবশ্য প্রথমে উপরের দিকে বসে ছিলাম কারণ নিচে লেকের সাথে সিট পেয়েছিলাম না। আমরা নিজেদের ভিতরে গল্পগুজব করার সময় বারবার লক্ষ্য করছিলাম যে, যদি লেকের সাথে কোন টেবিল পেতাম তাহলে সেখানে গিয়ে বসলে হয়তো আরো বেশি মজা হতো। তারপর লেকের সাথে একটি টেবিল ফাঁকা হওয়াতে সেখানে গিয়ে বসলাম। উপরের দিকে অবশ্য একটু বাতাস বেশি কিন্তু লেকের সাথে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা বেশি।
তারপর আমরা লেকের সাথে বসে চিন্তা ভাবনা করতে থাকলাম যে এখান থেকে কি খাওয়া যায়! আমরা তিনজন মিলে খাবারের মেনু থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, চিকেন বটি কাবাব আর লুচি খাবো। আমরা এক প্লেট চিকেন বটি কাবাব অর্ডার করলাম আর সাথে অনেকগুলো লুচির অর্ডার করলাম। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেলো। তারপর ঝটপট খাবারের কয়েকটি ছবি তুলে চিকেন বটি কাবাবার লুচি খাওয়া শুরু করলাম। আহ্ সত্যিই ভীষণ সুন্দর টেস্ট ছিলো। এরকম সুন্দর পরিবেশে বসে এ ধরনের খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।
তারপর আমরা পাতাম রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া শেষ করে সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলাম। আমরা যখন বের হয়েছিলাম তখনই তিনজন মিলে বলেছিলাম যে, বাইরে গিয়ে লাচ্ছি খাবো। তাই আমরা পাশে এই ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে একটি দোকান থেকে তিনজন মিলে বেশ মজা করে লাচ্ছি খেলাম। তারপর সেখান থেকে একটি রিক্সা ভাড়া করে আবার রিক্সা বিলাস করতে করতে বাসায় চলে আসলাম। তিনজন মিলে এভাবে বাইরে ঘোরাফেরা করে আসার পরে মনে ভেতরে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit