"শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা"

in hive-129948 •  2 days ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৭ ই নভেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000141826.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি গত বছরে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব‌ও ৪র্থ পর্ব, সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক- ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব, সুনামগঞ্জের লাকমাছড়ার পথে ও "সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-১ম পর্ব, ২য় পর্ব, শেষ পর্ব, "সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শুরু" ও টাঙ্গুয়ার হাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য, টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টায়ারের উদ্দেশ্যে, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে-১ পর্ব, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটে পৌঁছালাম, "ডিঙি নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে", রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের সৌন্দর্য, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের গহীনে মায়াবী সৌন্দর্য, "রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করলাম", সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে পৌঁছালাম", সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র স্নানের প্রস্তুতি, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের স্নানের আনন্দ ও সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করে নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে, সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করলাম, "সিলেট হাইটেক পার্কে রাত্রিযাপন", সিলেটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা, সিলেটের বিছনাকান্দির পথে, সিলেটের অপরূপ সৌন্দর্য , সিলেটের মায়াবী দৃশ্য, হৃদয়ের শান্তি সবুজ প্রকৃতি, সিলেটের বিছনাকান্দি পৌঁছালাম, সিলেটের বিছনাকান্দির পর্যটন কেন্দ্রে", সিলেটের বিছনাকান্দি ভ্রমণ শেষ করলাম", বিছনাকান্দি থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা, বিছনাকান্দি থেকে জাফলং যাত্রার- ২য় পর্ব, সিলেটের জাফলং পৌঁছালাম, সিলেটের জাফলং ভ্রমণ, হযরত শাহজালাল রঃ মাজার শরীফ ভ্রমণ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষ করে পিসিমনির বাসায় এসে দুই দিন রেস্ট নিয়ে আবার রাতারগুল ও সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র দেখার জন্য ও ভ্রমণ করেছিলাম। তারপর পিসিমনির বাসায় এসে আরও দুইদিন রেস্ট নিয়ে আমরা শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে বের হয়েছিলাম আপনাদের সাথে "শ্রীমঙ্গলের চা বাগান ও রাবার বাগানের পথে", শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড়ের পথে, লাল পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির দর্শন, "শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড়ে চা-বাগানের সৌন্দর্য" শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের "শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা" শেয়ার করবো।

20230905_103159.jpg

আমরা শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড় ভ্রমণ শেষ করে সমতল ভূমির চা বাগান দিয়ে রাধানগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। এই রাধানগরে আছে বাংলাদেশের অন্যতম ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান। তবে আমাদের গ্র্যান্ড সুলতান ফাইভ স্টারে যার কোন ইচ্ছা নেই।‌ আর এসব ফাইভ স্টারে যেতে হলে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। ‌ আর আমরা যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাজেট ট্যুর দিই সেহেতু এসব জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্য মোটেও উচিত না।

20230905_103145.jpg

যাই হোক আমরা সমতলভূমির চা বাগানের ভেতরের সুন্দর রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম বেশ ভালই লাগছিলো। শ্রীমঙ্গল যে এতটা সুন্দর সেটা এখানে না আসলে কখনোই উপলব্ধি করতে পারতাম না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জায়গায় আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করলে বিভিন্ন রকম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয় এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়। সিলেটের শ্রীমঙ্গলে এসে জানতে পেরেছিলাম যে, বাংলাদেশের চা গবেষণায় ইনস্টিটিউট এখানে অবস্থিত।

20230905_103742.jpg

যেহেতু শ্রীমঙ্গল চায়ের জন্য অনেক পরিচিত তাই বাংলাদেশের চা গবেষণায় ইনস্টিটিউট এখানে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা মোটামুটি ১৫ মিনিট মতো বাইকের ড্রাইভ করার পরেই চলে আসলাম গ্রান্ড সুলতানের সামনে। গ্রান্ড সুলতান যে, অনেক সুন্দর সেটা বাইরে থেকে দেখলেই বোঝা যায়। গ্রান্ড সুলতানে যেতে হলে আগে থেকেই অনলাইনে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। আর সেই দুঃসাহস আমরা করতে যায়নি 😎 কারণ এটা ফাইভ স্টার হোটেল।

20230905_103733.jpg

আর ফাইভ স্টার হোটেল মানেই খরচা আছে হেব্বি। যাইহোক আমরা গ্রান্ড সুলতানের সামনেই রাজু রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। অনেক ছোট একটি রেস্টুরেন্ট যা বুঝলাম শুধুমাত্র চায়ের জন্য এটা পারফেক্ট। একটা লিস্টে দেখলাম বিভিন্ন রকমের চায়ের মূল্য দেওয়া আছে। আমাদের যেহেতু ইচ্ছা ছিল যে শ্রীমঙ্গলে এসে সাত রঙের চা খাব আমরা কোন কিছু না ভেবেই সাত রঙের চা অর্ডার করলাম।

20230905_105318.jpg

সাত রঙের চা বানাতে একটু সময় লাগে তাই আমাদেরকে রেস্টুরেন্ট থেকে বললো যে, আপনারা কিছু সময় অপেক্ষা করুন তারপর টেবিলে আপনাদের চা দিয়ে যাচ্ছি। তারপর আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজন মিলে কিছু সময় গল্প গুজব করলাম আর ভ্রমণ প্লানিং নিয়ে আলোচনা করলাম। কয়েক মিনিট পরেই আমাদের সেই বহুল কাঙ্খিত সাত রঙের চা টেবিলে চলে আসলো। এতদিন চা খাতাম কাপে কিন্তু আজকে গ্লাসে খেতে হবে কারণ এটা সাত রঙের চা।

20230905_105420.jpg

জীবনের প্রথম সাত রঙের চা খাব তার আগে ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। তারপর সাত রঙের চায়ের গ্লাস মুখে নিতেই জীবনের ভুল ভেঙ্গে গেল। তখন বুঝলাম এটা শুধু দেখতে আর নামেই সুন্দর তাছাড়া চায়ের যে, আসল টেস্ট সেটা একটুও পায়নি। যখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খেয়েছিলাম না তখন পর্যন্ত এটার প্রতি একটা আকর্ষণ ছিল। কিন্তু শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খাওয়ার পরে এটার প্রতি আর কোন আকর্ষন নেই। তবে আমরা দুই বন্ধু মিলে এটা নিয়ে বেশ হাসি তামাশা করেছিলাম।

আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে
শ্রীমঙ্গলের ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।



ছবির বিবরণ


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

অনেকবার শুনেছি সিলেটে সাত রঙের চা পাওয়া যায়। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজকে সেই সাত রঙের চা দেখতে পেলাম। কুষ্টিয়াতে ৩ রঙের চা খেয়েছি। সাত রঙের চা এখনো খাওয়া হয়নি।কোনদিন সুযোগ হলে সিলেটে গিয়ে সাত রঙের চা খাবো।আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমি আবার কুষ্টিয়া গেলে তিন রঙের চা খেয়ে দেখব কেমন লাগে। অবশ্যই যদি সেরকম সুযোগ আসে সিলেটে গিয়ে সাত রঙের চা খেতে হবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময় শুভকামনা রইল।

শ্রীমঙ্গলের এই সাত রঙের চা অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমি অনেকের কাছেই শুনেছি এই চায়ের কথা। তবে যতটুকু শুনেছি চা টা দেখতে যত আকর্ষণীয় খেতে তেমন ভালো না। আপনিও সেটাই বলছেন। খেতে ভালো না হলেও জনপ্রিয়তার কারণে সবাই এটা টেস্ট করে। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার ছবি দেখলেই বোঝা যায় শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য কত সুন্দর। চা বাগান ঘিরে পোস্ট করা প্রতিটি ব্লগই আমি পড়েছি। আজ তো সাত রঙের চা বিষয়টা কি সেটা জানবার জন্য মন দিয়ে পড়লাম। দেখে তো বেশ আকর্ষণীয় লাগলো কিন্তু খেতে যে ভালো না সেটা শুনে বেশ হতাশ হয়ে পড়লাম। ভেবেছিলাম চমৎকার খেতে হবে হয়তো।

চায়ের দেশে গিয়ে চা খাওয়া টা অনেক বেশি মজাদার। আপনি দেখছি শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা খেয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে শ্রীমঙ্গলের চা অনেক বেশি জনপ্রিয়।চা গুলো দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল। কোন একদিন আমি ও গিয়ে চা খাওয়ার চেষ্টা করবো।

শ্রীমঙ্গল নামক এই জায়গাটির বিভিন্ন রকম চায়ের বাহার এবং চা বাগানের কথা আপনি পোস্ট না করলে জানতেই পারতাম না ভাই। আমরা দার্জিলিং আসামের কথা জানি। দার্জিলিং গেলে সারি সারি চা বাগান দেখতে পাই। সেখানে বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলের চা বাগান দেখে এবং তার এত রকমের চায়ের বাহার দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার বেড়ানোর পোস্টগুলি খুব ভালো লাগে।

কমিউনিটির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন কিছু টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে এবং সেগুলোর স্ক্রিনশট কমেন্টে শেয়ার করতে হবে।

https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important

  ·  5 hours ago (edited)

ভাই রবিবারে টাস্কগুলো পূরণ করেছিলাম কিন্তু কোথায় স্ক্রিনশটগুলো দিবে বিষয়টা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারছিলাম না। এজন্য গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে বিষয়টা বুঝে টাক্স গুলো কমপ্লিট করে পোষ্টের নিচে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে শুরু করেছি।