হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৭ শে নভেম্বর, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রায় এক বছর হলো পিসিমণির বাসায় আসা হয় না। গত বছরের আগস্ট মাসে আমি আমার বন্ধু রাহুল আর আমার কাকা পলাশ পিসিমণির বাসায় এসেছিলাম সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য। আমরা পিসিমনির বাসায় বেশ কয়েকদিন থেকে সিলেটের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছিলাম। গতবছর সিলেট ভ্রমণ করে যাওয়ার পরে কিছুদিন আগে সিলেটে ভ্রমণ করতে এসেছিলাম তবে পিসিমণির বাসায় আসার সময় হয়নি। অনেকদিন ধরেই পিসিমণির বাসায় আসতে খুব ইচ্ছা করছিলো তাই সেই ইচ্ছায় পূরণ করলাম।
কয়েকদিন আগে ভিডিও কলে পিসিমনির সাথে কথা বলার সময়ে আমার ছোট ভাইয়ের দীপ্ত আমাকে বলে যে, দাদা তোমার আর আমার জন্মদিনে বারে একসাথে পালন করবো। আর তাই তুমি এখনই আমাদের বাসায় চলে এসো। আজব ব্যাপারটা হচ্ছে আমার ভাই দীপ্ত আমার থেকে অনেক ছোট হলেও আমার জন্মদিনের তারিখ আর দীপ্ত ভাইয়ের জন্মদিনের তারিখ একই দিনে। দুই বছর আগে সিলেটে এসে একসাথে জন্মদিন পালন করেছিলাম সেটা ওর খুব মনে আছে। আর তাই প্রতিবছর জন্মদিন আসলেই আমাকে আসতে বলে। যদিও কত বছর আবার ব্যস্ততার কারণে জন্মদিনের সময়ে আসতে পেরেছিলাম না।
তবে এবারে কয়েকদিন আগেই পিসিমণি আর দীপ্ত ভাইকে বলেছিলাম যে, এবার জন্মদিনের আগে তোমাদের বাসায় যাবো। আবার এই কথাটা শোনার পরে আমার পিসিমনি এবং দীপ্ত ভাই দুজনেই অনেক খুশি হয়েছিল। যখন আসার কথা বলেছিলাম তখন জন্মদিনের দেরি আর ১২ দিন মতো ছিলো। তখন থেকেই দীপ্ত ভাই আমার আসার দিন গননা শুরু করেছিলো। গতকালকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমার পিসেমশাইকে ফোন দিয়ে বললাম যে, বাসের টিকিট বুকিং করতে। এরপর পিসেমশাই টিকিট বুকিং করার পরে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হলো যে, রাত সাড়ে দশটার দিকে বাস ছাড়বে।
আমি আমার মত সারাদিনের কাজ সেরে রেডি হয়ে নিই। তারপর সন্ধ্যার সময়ে ছোট ভাইদের জন্য তাকদুমের আউটলেটে গিয়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ট্রাক কিনলাম। ছোট ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে অনেক সুন্দর একটা পছন্দের খেলনা কিনতে পরে বেশ ভালই লাগছিলো। বাইরে থেকে আমার রুমে আসতে আসতে সাতটা বেজে গিয়েছিলো। তখন আমার ফোনে চার্জ কম ছিল তাই ফোনটা চার্জে দিয়ে তাড়াতাড়ি নিজে খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে নিই। তারপর রাত আটটার দিকে আমার বাসা থেকে বের হলাম সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যে।
মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে গুলিস্তান পর্যন্ত এসে তারপর রিক্সা নিয়ে সায়দাবাদের নূর বাস কাউন্টারে গেলাম। সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে রাত সাড়ে দশটার বাসে উঠলাম। এত দূরের বাস জার্নি আমার কাছে অনেক বিরক্তিকর। কারণ বাস, মাইক্রো এগুলোতে জার্নি করা আমার একদম পছন্দ হয় না। সারারাত বাস জার্নি করার পর সকাল প্রায় ছয়টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাইতে চলে আসি। তারপর বাস থেকে নেমে রিক্সা ভাড়া করে পিসিমণির বাসায় আসলাম। অনেকদিন পরে পিসিমনির বাসায় আসতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখে ছোট ভাই দ্বীপ ও দীপ্ত ভীষণ খুশি হয়েছে।
আগামী কয়েক দিন পিশিমনির বাসাতেই থাকবো সবার সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৭ শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পিসিমণিদের সাথে ভাইপো ভাইঝিদের আলাদাই একটা আত্মিক টান থাকে। তাই পিসিমনির বাসায় এলে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। আশা করব আগামী বেশ কিছুদিন আপনি আপনার পিসিমনির বাড়ি এবং ভাই দীপ্তর সাথে খুব মজা করে কাটাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিদি পিসিমনির বাসায় এলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। কোথাও বেড়াতে যেতেও ভালো লাগে। আর মাঝে মাঝে বেড়াতে গেলে বেশ মজা হয় এবং দারুন সময় কাটানো যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit