"মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি"

in hive-129948 •  4 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৮ ই নভেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000140155.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্ট গুলোর ভেতরে মেট্রোরেল অন্যতম। প্রায় দুই বছর হলো মেট্রোরেল চালু হয়েছে। গত বছরে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পরে দুই দিন ভ্রমণ করেছিলাম। ঢাকা শহরের ভেতরে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ ঢাকা শহরে পাশ থেকে ওপাশে সবচেয়ে দ্রুত এবং কম সময়ে ভ্রমণ করার জন্য মেট্রো রেল সব থেকে উপযোগী। যাইহোক কিছুদিন আগে বন্ধু রাহুলের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে একদিন থেকে পরের দিন সকালে বন্ধুরা হলে বিল্ডিং প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন করে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছিলাম। আমি এখন আপনাদের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করবো।

1000135903.jpg

বন্ধু রাহুল যে, কোম্পানিতে চাকরি করে সেই কোম্পানির কয়েকটি রানিং প্রজেক্ট পরিদর্শন করি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই এরকম প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। তারপর প্রজেক্ট গুলো দেখা শেষ করে বন্ধুরা রাহুলকে বললাম যে, এখন আমি বাসায় চলে যাবো। তখন বন্ধু রাহুল বললো যে, পাশে মেট্রোরেল আছে সেটাতে গেলেই সব থেকে বেশি ভালো হবে। আমার কাছে উত্তরার এই এলাকাটি নতুন ছিলো।

1000135904.jpg

যদিও আমরা ছিলাম উত্তরা মধ্যম স্টেশনের পাশেই। কিন্তু বন্ধু রাহুল বলল যে, এই স্টেশনে অনেক ভিড় হয় তাই পরবর্তী স্টেশনে গেলে সব থেকে বেশি ভালো হবে। প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন শেষে বন্ধু রাহুল আমাকে নিয়ে মেট্রোরেলে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনে পর্যন্ত পৌঁছায় দিলো। আমিও লক্ষ্য করলাম যে, উত্তরা মধ্যম স্টেশনের সামনে অনেক মানুষের সমাগম।

1000135906.jpg

অন্যদিকে উত্তরা দক্ষিণ ষ্টেশনে পৌঁছানোর পরে দেখি আমি বাদে তেমন কেউই আর স্টেশনে নেই। শুধুমাত্র কয়েকজন পুলিশ সিকিউরিটি গার্ড আর হেল্প ডেক্সে একজন রয়েছে। যেহেতু টিকিট কাউন্টার আর অটোমেটিক টিকিট বুথ অফ ছিল তাই আমি দায়িত্ব রত একজন পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কিভাবে টিকিট কাটবো! পুলিশ সদস্য আমাকে বললো যে, হেল্প ডেক্স থেকে টিকিট কাটা যাবে।

1000135908.jpg

তারপর আমি হেল্প ডেক্স থেকে ৬০ টাকা দিয়ে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে ফার্মগেট স্টেশন পর্যন্ত টিকিট কাটি। যাইহোক টিকিট টা কেটে বেশ ভালো লাগছিল কারণ প্রথমে টেনশনে পড়ে গেছিলাম যে হয়তো স্টেশন থেকে যেতে পারবো না। কারণ প্রথমে টিকিট বুথ আর কাউন্টার বন্ধ দেখে এমনটা মনে হয়েছিলো।

1000135910.jpg

টিকিট ক্রয় করার পরে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে চেকআপ করে উপরের তলায় গিয়ে মেট্রোরেলের জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করি। আমি সহ কয়েকজন যাত্রী মেট্রোলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম ফাঁকা স্টেশন বেশ ভালই লাগছিলো। যাইহোক কিছু সময় অপেক্ষা করার পরেই মেট্রোরেলে উঠলাম। অনুভূতিটা ঠিক আগের মতই ছিলো তবে কৌতুহল ছিলো না। কারণ আগেও বেশ কয়েকবার মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছিলাম।

1000135911.jpg

মেট্রলে উঠার পরে দেখলাম যে, সিট ফাঁকা নেই। তাই দাঁড়িয়েই যেতে থাকলাম ফার্মগেটের উদ্দেশ্যে। আমার কাছে মেট্রোরেলে বসে ভ্রমণ করা থেকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করায় সব থেকে বেশি মজা লাগে। কারণ দাঁড়িয়ে ভ্রমন করলে মেট্রোরেলের গ্লাস দিয়ে বাইরে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। মোটামুটি ২০ মিনিটের ভিতরে ফার্মগেট স্টেশনে পৌঁছে যায়। অনেকদিন পরে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পেরে বেশ ভালই লাগছিলো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৭ শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ঢাকা মেট্রো আমিও গিয়ে চড়েছিলাম। আমি উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলাম। যতদূর মনে পড়ছে আমারও ষাট টাকা নিয়েছিল। আপনি দারুণভাবে শেয়ার করলেন ভাই। ঢাকা মেট্রো পরিষেবা যথেষ্ট ভালো। আমার তো সবদিক থেকে আন্তর্জাতিক পরিষেবা গুলির সাথে তুল্যমূল্য লেগেছিল।

আপনিও ঢাকা মেট্রোতে উঠেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ দাদা ঢাকা মেট্রো পরিষেবা অনেক ভালো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ঢাকা মেট্রোরেলে ভ্রমণের অনুভূতিটি পরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। উত্তরা উত্তর থেকে ফার্মগেট যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আজ আপনি আমাদের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রথমে আপনারা প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন তারপর উত্তরা থেকে ফার্মগেট মেট্রোরেলে ভ্রমন করেন।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় আপনার অনুভূতি সাথে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ প্রথমে প্রজেক্টগুলো পরিদর্শন করে তারপর ঢাকা মেট্রোতে করে এসেছিলাম। মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বন্ধুদের সাথে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি দেখছি আপনার বন্ধু রাহুলের সাথে উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মেট্রোরেল ভ্রমণের মাধ্যমে আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন। আসলে মেট্রোরেল ভ্রমণ করার মাধ্যমে কোথাও গেলে অনেক বেশি মজা লাগে। যাইহোক, আপনারা সুন্দর ভাবে মেট্রোরেলের মাধ্যমে আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।

হ্যাঁ ভাই মেট্রো রেল ভ্রমণ করতে বেশ ভালো লাগেনি। আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

মেট্রো স্টেশনে এরকম ফাঁকা থাকলে তো ভালোই লাগে। তবে কখনো এত ফাঁকা থাকতে দেখিনি আমি। বেশ ভালো লাগলো আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেখে। উত্তরার দিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো ভালোই লাগে দেখতে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

মেট্রো রেলের উত্তরা, দক্ষিণ স্টেশনটা বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে। অনেক সুন্দর বক্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

মেট্রোতে আমি বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছি। এটা অন‍্যরকম একটা অনূভুতি দেয়। সবকিছু যেন শৃঙ্খলা অনুযায়ী হয়। আপনার বন্ধুর অফিসের প্রজেক্ট গুলো দেখতে যাওয়ার সময় মেট্রোতে গিয়েছেন। সবমিলিয়ে বেশ লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

এটা সত্যি বলেছেন ভাই মেট্রোলে সবকিছুই শৃঙ্খলা অনুযায়ী হয়। আর এটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

মেট্রোরেলে আমি কোন সময় সিট ফাকা দেখি না।এত এত মানুষের ভিড়।একজনের উপর আরেকজন উঠে যেতে হয়।গত ৪-৫ মাস ধরে একটা নামে মেট্রোরেল ব্যবহার করছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি একবারও বসার সুযোগ পাইনি।এমনকি শান্তি ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে যাবারও সুযোগ পায়নি।তবে মেট্রোরেল আশাতে আমাদের ঢাকা বাসের জনগণের অনেক সুবিধা হয়েছে।অনেক সময় বেঁচে যাচ্ছে আমাদের।আজকে আপনার মেট্রো রেলের ভ্রমণ কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর এই অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমিও বেশ কয়েকবার মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছি শুধুমাত্র একবার সিটে বসার সুযোগ পেয়েছিলাম তারপর আর কখনো পায়নি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।