"রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করলাম"

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। সবুজ চলো রাশিয়া আর সবুজ গাছের রয়েছে গভীর মিতালী। সৃষ্টিকর্তা যেনো তার অপার মহিমায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এমন একটা জায়গা যেখানে প্রকৃতিপ্রেমীরা আসলে এখানকার মায়ায় পড়ে যায়।

সবুজ জল আর ঘন অরণ্যের ভিতরে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ডিঙ্গি নৌকা গুলো মাত্র দেড় ঘন্টার প্যাকেজে যায়। তবে প্যাকেজের বাইরে এদেরকে বেশি টাকা দিলে বেশি সময় বেড়ানো যায়। এমন সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানীয় দেড় ঘন্টা সময় সত্যি বলতে খুবই অল্প।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকটি ভাসমান দোকান দেখতে পেলাম। ডিঙ্গি নৌকার এসব ভাসমান দোকান গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিলো। সত্যি বলতে আমাদের এলাকার মানুষের মত তাদের জীবন জীবিকা আতোটা সহজ নয়। আমার কাছে মনে হলো এ অঞ্চলের বেশিরভাগ কিশোর নিজেরা কর্ম করে। এসব অঞ্চলে শিক্ষিত মানুষের হার অনেক কম।

পৃথিবীর দ্বিতীয় লন্ডন বলা হয় সিলেটকে। তারমানে এটা নয় যে, সিলেটের সব মানুষ বড়লোক বা অনেক টাকা পয়সা আছে। সিলেটের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মানুষ খুবই দরিদ্র। সত্যি বলতে সিলেট ভ্রমণ যদি না করতাম তাহলে হয়তো এতটা জানতে পারতাম না। কোন অঞ্চলে ভ্রমন করলে সেখানকার মানুষের জীবন জীবিকা সম্পর্কেও বেশ ভালো ধারণা হয়ে যায়।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের কিছু কিছু জায়গায় ঘন অরণ্য আবার কিছু কিছু জায়গায় শুধুই জলরাশি। আমাদের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট পুরো ভ্রমণের সময়টাতে আকাশে বেশ ভালোই মেঘের আনাগোনা ছিলো। আমরা দেড় ঘন্টা মতো রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতরের বেশ ভালই সৌন্দর্য উপভোগ করে সেখান থেকে রওনা দিলাম।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের এমন মায়াবী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সবার মন অনেক ফুরফুরা ছিলো। আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভেতরে যত সময় ঘুরে ছিলাম ততো সময় আমাদের সবার মুখে গান ছিলো। অরণ্যের ভিতরে এরকম সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে গান গাওয়ার মজাই আলাদা।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট থেকে রওনা দেওয়ার ২০ মিনিটের ভেতরেই মাজার ঘাটে চলে আসলাম। যখন আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করে মাঝার ঘাটে আসলাম তখন মনের ভেতরে একটুও কেমন কেমন লাগছিলো ইচ্ছা করছিলো আরো কিছুটা সময় যদি রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট কাটাতে পারতাম অনেক ভালো লাগতো। আবার যদি কখনো সময় সুযোগ হয় অবশ্যই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ করবো।

আজকে এ পর্যন্তই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ কাহিনী সম্পূর্ণ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরে বেশ ভালই লাগছে।

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE@bangla.witness as witness