হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ ই এপ্রিল, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ করেই আমার ফোনের চার্জার দিয়ে চার্জ হচ্ছিল না। কিন্তু অন্য ফোনের চার্জার দিয়ে চার্জ হচ্ছিলো কিন্তু অনেক সময় লাগছিলো। আবার আমার চার্জার দিয়ে অন্য ফোনে চার্জ হচ্ছিলো। সমস্যাটা আমার ফোনের নাকি আমার চার্জারের বুঝে উঠতে পারছিলাম না। গত সপ্তাহের আগে সপ্তাহে ঢাকাতে এসেছি তারপর ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে ফোন নিয়ে কোথাও যেতে পারি নাই। গতকালকে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন আর ফোনে চার্জার গিয়েছিলাম যমুনা ফিউচার পার্কে। সেখান থেকে নতুন একটি চার্জার এডাপ্টার কিনেছি। আজকে যমুনা ফিউচার পার্কে কাটানো মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজকে দশটার দিকে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ১১ টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম যমুনা ফিউচার পার্কের উদ্দেশ্যে। আমাদের বাসা থেকে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড কাছে হওয়াতে হেঁটে হেঁটেই গেলাম রোদের ভেতরে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বিআরটিসি'র বাস গুলো যমুনা ফিউচার পার্ক হয়ে কুড়ির বিশ্বরোড পর্যন্ত যায়। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বিআরটিসি'র বাস ডিপোতে গিয়ে বাসে উঠলাম। বাস অনেক সময় লেট করে ছাড়তে ছাড়তে প্রায় ১১:৪০ বেজে গিয়েছিলো।
তারপর প্রচন্ড গরমের ভেতরে বাসে করে যমুনা ফিউচার পার্কের উদ্দেশ্যে যেতে থাকলাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা বাসের ভেতরে বসে থাকার পরে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সামনে পৌঁছালাম। আজকে বাসে ওঠার সময় অবশ্য আমি একটি ভুল করেছিলাম সেটা হচ্ছে ঠান্ডা পানি সাথে নিয়ে বাসে উঠছিলাম না। বর্তমানে গরম আর রোদের যে প্রকোপ তাতে করে ঘর থেকে বের হলেই সাথে ঠান্ডা পানি রাখা বেশ জরুরী।
ঢাকা শহরে প্রায় দুই বছর আসা হলেও যমুনা ফিউচার পার্কে অবশ্য কখনো যাওয়া হয়নি। তবে মোবাইলে যমুনা ফিউচার পার্কের অনেক ভিডিও দেখেছি। অনেকেই বলে যে, যমুনা ফিউচার পার্ক নাকি এশিয়া মহাদেশের ভিতরে সব থেকে বড় শপিং মল। আমি জানিনা কথাটা কতটুকু সত্য তবে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এর আগে অবশ্য বসুন্ধরা শপিংমলে একদিন গিয়েছিলাম সেখানেও অনেক জায়গা নিয়ে তবে যমুনা ফিউচার পার্কের থেকে কম মনে হল জায়গা।
আমি অবশ্য প্রথমে কিছুই চিনে উঠতে পারছিলাম না তারপরে সেখানকার সিকিউরিটি গার্ডের শুনে ভিতরে ঢুকেছিলাম। যমুনা ফিউচার পার্কে শপিংমলের চতুর্থ তালাতে যতো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দোকান। কিন্তু এত দোকানের ভেতর আমার কাঙ্খিত দোকানটি আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমি যে দোকানটি খুজছিলাম সে দোকানটির ফেসবুকে পেজ এবং গ্রুপ দুটিই আছে। তাদের বিজনেস সিস্টেমটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কাস্টমারদের সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করে এবং অনেক ভালো মানের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় এখান থেকে।
আমি চতুর্থ তালাতে গিয়ে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তারপর আই ফিউচার বিডির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলাম। তারপর তাদের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে শেষ পর্যন্ত তাদের দোকান খুঁজে পেলাম। তবে তাদের দোকান খুঁজে পেতে আমার আধা ঘন্টার উপরে সময় লেগে গিয়েছিলো। যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরে অবশ্য পুরো জায়গা জুড়ে এয়ারকন্ডিশন থাকার কারণে ভেতরের পরিবেশটা বেশ ভালই লাগছিলো। কারণ বাইরে পুকুর রোদে পরিবেশটা অনেক বেশি উত্তপ্ত ছিলো।
সত্যি বলতে আই ফিউচার বিডির দোকানে যাওয়ার পরে তাদের ব্যবহার দেখে সত্যি আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। তারপর তাদের কাছে স্যামসাং এর ২৫ ওয়াটের চার্জার অ্যাডাপ্টারের দাম জিজ্ঞাসা করলাম। তারা আমাকে জানালো যে স্যামসাংয়ের ২৫ ওয়াটের এডাপ্টার এর দাম পনেরশো টাকা পড়বে। আজকে সকালে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সার্ভার ইস্যু থাকার কারণে নগদ টাকা তুলে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম না। সেজন্য আমি দোকানদার ভাইকে বললাম যে, বিকাশে পেমেন্ট করবো। তখন ভাই বলল যে, আচ্ছা ঠিক আছে আপনি বিকাশে পেমেন্ট করেন সমস্যা নেই।
তারপর ফোন চার্জে দিয়ে চেকআপ করে দোকানদার ভাইদের সাথে কথাবার্তা বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। যমুনা ফিউচার পার্ক বাইরে এসে ঠান্ডা জল কিনে বিআরটিসি'র বাসে উঠলাম বাসায় আসার জন্য। আসার সময় অবশ্য ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল প্রচন্ড গরমে। প্রায় দেড় ঘন্টা আব আছে বসে থাকার পরে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমে একটি ফ্রুট জুস কর্নারে গিয়ে ঠান্ডা বেলের শরবত খেয়ে বাসায় আসলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৮ শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ফোনের চার্জ না হওয়ার বিষয়টা বেশ বিরক্তিকর যত দ্রুত সম্ভব এটা ঠিক করতেই হবে। অবশেষে আপনি খুব কষ্ট করে এই গরমের মধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে এটি কিনে এনেছেন। ঢাকার মধ্যে চলাচলে একটাই অসুবিধা কত অল্প হলেও টাইম অনেক বেশি লাগে। আজকে প্রচুর গরম পড়েছে। অবশেষে আপনার কাজটা হয়েছে এটাই অনেক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই বন্ধু ফোনে চার্জ না হওয়ার বিষয়টা সত্যি অনেক বেশি বিরক্তিকর। আর ঢাকার ভিতরে অল্প পথ হলেও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাইতে অনেক বেশি সময় লেগে যায় যানজটের কারণে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে তাহলে মোবাইলে চার্জার নিয়ে বেশ ভালো ঝামেলায় পড়েছেন। পরীক্ষা শেষ করে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েছেন মোবাইলের চার্জার কেনার জন্য। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আসলেই যমুনা ফিউচার পার্ক সবচেয়ে বড় শপিং মল। এই গরমের মধ্যে বাইরে বের হওয়ার সময় পানির বোতল নিয়ে বের হওয়া উচিত। আপনার মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু এই গরমের সময়ে বাইরে কোথাও বের হওয়ার আগে পানির বোতল নিয়ে বের হওয়া উচিত। আমি বাইরে থেকে কিনে নিয়েছিলাম বেশ ভালই করেছিলাম। চার্জারের সমস্যাটা আর সমাধান করতে পেরে বেশ ভালো লাগছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হঠাৎ করেই ফোনে চার্জ না হলে খুবই বিরক্তিকর লাগে।কারন ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানো কঠিন হয়ে যায়, যাইহোক আপনি আপনার সুবিধার্থে নতুন চার্জার কিনে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আশা করি এই চার্জার ভালো সার্ভিস দেবে,আর ব্যবহার ভালো পেলে সেই দোকানে যেতেও ভালো লাগে।ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিদি নতুন চার্জার কিনে নিয়েছি যাতে সমস্যা আর না হয়। আমি যে দোকান থেকে চার্জারটি কিনেছি সেই দোকানদারের ব্যবহার অনেক ভালো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে প্রথম প্রথম বড় মার্কেটে গেলে দোকান খুঁজে বের করতে একটু প্রবলেম হয়। বসন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক গুলোকেতে প্রচুর দোকান। যায়হোক অবশেষে আপনার কাংখিত দোকান পেয়ে চার্জার কিনতে পেরেছেন,শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই বড় মার্কেটে গেলে দোকান খুঁজে বের করতে একটু সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। এর আগে বসুন্ধরা শপিংমলে গিয়ে যেমনটা অবাক হয়েছিলাম এবারে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়েও ঠিক তেমনটাই অবাক হয়েছি এমনকি তার থেকেও বেশি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit