"মাধবপুর লেইক ভ্রমণ- ১ম পর্ব"

আমাদের আজকের ভ্রমণ কেন্দ্র হলো মাধবপুর লেইক। এটা অবস্থিত মৌলভীবাজার জেলার কোমলগঞ্জ উপজেলায়। আমার জানামতে প্রায় ৬০ বছর আগে চা বাগানে টিলায় বাঁধ দিয়ে এই লেইক তৈরি করা হয়। মাধবপুর লেইকের আয়তন ৫০ একর মতো আর এর দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এমন কৃত্রিম লেইক তৈরি করা হয়েছিল মূলত চা বাগানের সেচের কাজ চালানোর জন্য। তাতে শুকনো মৌসুমে চা বাগানে সেচ প্রদান করা যায়।

আমি আর আমার বন্ধু রাহুল কোমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ শেষ করে মাধবপুর লেইক ভ্রমণ করার জন্য দুপুরের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। লাউয়াছড়া উদ্যান থেকে মাধবপুর লেকের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। আমরা মাধবপুর লেইকে যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছিলাম। আমরা বাইকে করে খুব অল্প সময়ের ভেতরেই মাধবপুর লেইকে পৌঁছে গিয়েছিলাম।

আমরা যখন মাধবপুর লেইকে পৌছালাম তখন দুপুরের প্রচন্ড রোদ। এত পরিমান রোদ আর গরমের ভেতরে ভ্রমণ করাটা সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার ছিলো। মাধবপুর লেইকে ঢুকতে টিকিট কাটতে হয়। আমাদের সাথে বাইক ছিল কিন্তু বাইক নিয়ে ভেতরে ঢোকার কোন উপায় ছিল না। তবে আমরা টিকিট কাউন্টারে কথা বলে বাইক তাদের তত্ত্বাবধানে রেখে গিয়েছিলাম।

মাধবপুর লেইকে ঢুকতে দুইটা টিকিটের মূল্য ৪০ টাকা নিয়েছিল আর বাইক রাখার জন্য ৫০ টাকা দিতে হয়েছিল। আমরা টিকিট কাটার পরে লেকের ভেতরে ঢোকার আগেই বাইরে থেকে লেবু ড্রিঙ্কস খেয়েছিলাম। কারণ দুপুরের প্রচন্ড রোদ আর গরমে বারবার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো। অতিরিক্ত রোদ গরমে হালকা হালকা ঠান্ডা লেবু ড্রিঙ্কস খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা না খাওয়াই উত্তম।

এত সুন্দর আর এত বড় একটা লেক দেখে সত্যি মনের ভিতর ভীষণ ভালো লেগেছিল। মাধবপুর লেইকের পাড়ের গাছে দেখলাম যে, একটা সাইনবোর্ড লাগানো আছে সেখানে লেখা আছে এই লেইক থেকে ফুল ছেঁড়া, মাছ ধরা, গোসল করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। যারা ট্রাভেলার তাদের এসব নির্দেশনা গুলো মেনে একটু আদর করা উচিত। আমরা যেখানেই ট্রাভেল করতে যাই সেখানকার কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মত ট্রাভেল করার চেষ্টা করি।

আমি আর আমার বন্ধু রাহুল গল্প করতে করতে লেইকের পাড় ধরে সামনের দিকে হাঁটতে থাকলাম। আমরা দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম তাই মাধবপুর লেইকে ট্রাভেলার খুবই কম ছিলো। প্রচন্ড রোদে চার পাশে উত্তপ্ত হলেও মাধবপুর লেইকের ভিতরে ঠান্ডা ছিলো। এখানে লেকের চারপাশ দিয়ে বসার জায়গা আছে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল অনেকটা সময় বসে গল্প করেছিলাম।

আজকে আমি মাধবপুর লেইক ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করলাম পরবর্তী অন্য কোনদিন মাধবপুর লেইক ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো।

ছবির বিবরণ

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।

আমি কে !

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।

VOTE@bangla.witness as witness