"মধ্যরাতে বাইক নিয়ে মাওয়ার উদ্দেশ্যে"

in hive-129948 •  2 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২১ শে ডিসেম্বর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো


1000152961.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর প্রতিদিন সবার নতুন নতুন পোস্ট পড়তে এবং কমেন্ট করতে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার বাংলা ব্লগ মানেই ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। কিছুদিন আগে নড়াইল বাইক ট্যুর দিয়েছিলাম তারপর ইউনিভার্সিটি লেখাপড়া আর ব্যস্ততার কারণে ঘোরাফেরা করা বন্ধ ছিলো। ‌ কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই বন্ধু রাহুল আর ছোট ভাই জীবন আমাদের বাসায় আসলো। ওরা দুজন মাঝেমধ্যেই আমাদের বাসায় আসে থাকে আবার চলে যায়। সত্যি বলতে একসাথে এভাবে সপ্তাহের দুই একটা দিন ওদের সাথে সময় কাটালে ভীষণ ভালো লাগে। সেদিন রাতে হঠাৎ করেই বাইক নিয়ে মাওয়া গিয়েছিলাম। এখন আমি সেদিনের মাওয়া যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



20241213_231132.jpg

ভ্রমণ পিপাসুরা সব সময় ভ্রমণ করে বেড়ায়। আমরা ভ্রমণ পিপাসু কিনা জানিনা তবে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে বেড়াতে ভীষণ পছন্দ করি। আমাদের গ্রুপে যারা আছে সবাই ভ্রমণ অনেক পছন্দ করে। কয়েকদিন আগে বন্ধু রাহুল আর ছোট ভাই জীবন আমাদের বাসায় এসেছিল। তারপর কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিলাম বাইক নিয়ে মাওয়া যাবো। আমাদের কাছে দুইটা বাইক ছিল আমরা মানুষ ছিলাম চারজন। আমার রুমমেট পাপ্পু ভাই ছিল, বন্ধু রাহুল, ছোট ভাই জীবন ও আমি।

20241214_002203.jpg

আমরা যখন মামা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে দশটা বাজে। তারপর দ্রুত শীতের পোশাক পড়ে দুইটা বাইক নিয়ে চার জন রওনা দিলাম মাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে মাওয়ার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। আমাদের কাছে ৫০ কিলোমিটার পথ খুব একটা বেশিও না আবার কমও না। ঢাকা শহরের জ্যাম পার হলে এক্সপ্রেসওয়েতে গেলে খুব অল্প সময়ের ভেতরেই বাইক নিয়ে মাওয়া যাওয়া সম্ভব।

20241213_235353.jpg

অনেক শীত আর কুয়াশার ভিতরে খুব দেখে শুনে বাইক ড্রাইভ করে মাওয়া পৌঁছালাম। আমার রুমমেট এর ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য অবশ্য আমি বাইক ড্রাইভ করেছিলাম। মাওয়া পৌঁছায়ে আমরা বন্ধু মহল মায়ের দোয়া নামের একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। মাওয়া আসা মানেই ইলিশ মাছ খাওয়া। এই রেস্টুরেন্টে অবশ্য এবারই প্রথম। এর আগে যে কয়েকবার এসেছিলাম প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়েছিলাম।

20241214_001338.jpg

আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্রথমে দুইটা ইলিশ মাছ কিনলাম। এই দুইটাই ইলিশ মাছের দাম নিয়েছিলো বারোশো টাকা। এখন পর্যন্ত যতবার মাওয়া এসেছি ততবার ইলিশ খেয়েছি। সত্যি বলতে এখানকার ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা মানেই পেট পুরে খাওয়া। আমরা মাছ দুটি নিয়ে কাটতে দিলাম আর বললাম যে, সুন্দর করে লেস ভর্তা তৈরি করতে।

20241214_001020.jpg

আর আমাদের খাবারের মেনুতে রাখলাম বেগুন ভাজি রেসিপি। ইলিশ মাছ এবং বেগুন কেটে আমাদের সামনেই ভাঁজতে থাকলো। আমরা চারজন গিয়েছিলাম তাই চার পিস বেগুন নিয়েছিলাম প্রতি পিস বেগুনের দাম ২০ টাকা করে নিয়েছিল। যাইহোক সেখানে দাঁড়িয়ে মাছ ভাজি করা এবং বেগুন ভাজি করা দেখলাম ফটোগ্রাফি করলাম এবং ভিডিওগ্রাফি করলাম।

20241214_000959.jpg

ইলিশ মাছ ভাজি বেগুন ভাজি এবং লেজ ভর্তা করতে যেহেতু একটু সময়ের প্রয়োজন তাই আমরা রেস্টুরেন্টের পাশেই একটা টি স্টল ছিল সেখানে গিয়ে রং চায়ের অর্ডার দিলাম। সবাই মিলে চা স্টলে বসে অনেক মজা করে চা খেলাম। তারপর যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের খাবার রেডি হলো ততক্ষণ আমরা চা স্টলে বসে গল্প করলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: ঢাকা



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000153011.jpg1000152985.jpg1000152962.jpg

image.png

রাতে বাইক ভ্রমণ করতে বেশ ভালো লাগে। তবে বেশি একটা না হলেও মোটামুটি আমিও সন্ধ্যা টাইমটা ঘুরাঘুরি করে থাকি। যাইহোক আপনার হে সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন তাই অনেক কিছু দেখার অজানা সুযোগ হলো।

হ্যাঁ ভাই রাতে বাইকে ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গরমের সময় মধ্যরাতে বাইক নিয়ে মাওয়াতে গিয়ে এইভাবে দারুন সময় কাটানোর মজাই আলাদা। যাই হোক শীতের সময়ে কখনো যাওয়া হয়নি তোমরা দেখছি দারুন সময় কাটিয়েছিলে। এরকম আবার যেতে হবে ।অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

গরমের সময় একরকম মজা হয় আর শীতের সময় অন্যরকম মজা হয়। সত্যি বলতে আমি কয়েকবার গিয়েছি প্রতিবারই আমার কাছে ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।

ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বাইক ভ্রমণ মানে সে এক অন্যতম আনন্দিক মুহূর্ত। আপনি যে কতটা ভ্রমণ পিপাসু আপনার পোস্টগুলো পড়লে বোঝা যায়। এই শীতের মধ্যে বাইক চালিয়ে মাওয়া ভ্রমণ করেছেন। সেখানে গিয়ে ভীষণ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

এতো ঘুরাঘুরি করতে দেখলে আমাদেরও তো ঘুরতে ইচ্ছে করে নাকি?

বাইক লাভাররা বাইকে ভ্রমণ করতেই সব থেকে বেশি পছন্দ করে। একটু সুখের জন্য শীতের ভিতর বাইক চালিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। হ্যাঁ জানি তুমিও তো ঘুরতে খুব পছন্দ করো। ভগবান চাইলে এভাবে তুমিও ভ্রমণ করতে পারবে।

ভাইয়া তাহলে তো অনেক রাত্রে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। দুটি বাইকের চার জন গেলেন মাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে আপনি এমনিতে ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করেন সেটা আমরা সবাই জানি। বারোশো টাকা দিয়ে দুইটি ইলিশ মাছ কিনে ফ্রাই করে খেলেন ওইখানে। তবে সাথে বেগুন পিস ও খেলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।

হ্যাঁ আপু আমি এমনিতে ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মাওয়া ঘাট তো ইলিশের জন্য বিখ্যাত। সেখানে যারা যায় সবাই ইলিশ খাওয়ার চেষ্টা করে। এই ইলিশ আবার বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। লেজ ভর্তা সুনাম আগেও শুনেছিলাম। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাই মাওয়া ঘাট ইলিশের জন্য অনেক বিখ্যাত। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি তো দেখি বাইক নিয়ে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ান ভাই। বাইক নিয়ে ঘুরতে আমারও বেশ ভালো লাগে। কিন্তু সব সময় শরীর সঙ্গ দেয় না।। আপনাকে দেখে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছ খেয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগছে। আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম সেই জায়গাটি ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত। ইলিশ মাছের ছবি দেখে তো আমারই লোভ বেড়ে যাচ্ছে। সকলে মিলে খুব সুন্দর আনন্দ করেছেন বুঝতে পারছি।।

হ্যাঁ দাদা সব সময় চেষ্টা করি বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার জন্য। কারণ বাইক নিয়ে ভ্রমণ করতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

একঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে আসার জন্য এমন সময় অতিবাহিত করা একান্ত জরুরি। সত্যি দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা ভাই। মধ‍্যরাতে একেবারে মাওয়া চলে যাওয়া ইলিশ খাওয়ার জন্য। এ যেন অন‍্যরকম একটা অনূভুতি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই আমি জীবন থেকে বের হয়ে আসার জন্য এরকম একটু বাইরে বের হওয়াটা জরুরি। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।