হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাহাড়ি কলা খাওয়া।
আমরা এখানে পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরের হাটতে হাঁটতে সেখানকার পাহাড়ীদের দোকান পেয়েছিলাম। আর সেই দোকান থেকে আমরা প্রথমে পাহাড়ি পেঁপে খেয়েছিলাম তারপর কলা খেয়েছিলাম। পাহাড়ি যে কোন ফলের স্বাদ অনেক সুন্দর হয়। এর আগে আমাদের গ্রুপের অনেকেই এই সব জায়গাতে ভ্রমণ করেছিল এবং পাহাড়ি ফল খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিল। আর আমি মূলত সেখান থেকে জানতে পেরেছিলাম পাহাড়ি যে কোন ফলের টেস্ট অনেক সুন্দর হয়।
এবারে বান্দরবানে ভ্রমণ করার আগেই বন্ধু রাহুলকে মাঝেমধ্যে বলতাম যে, পাহাড়ে গেলে পাহাড়ি ফল খাব। আমার কাছে মাঝেমধ্যেই বলতো যে, পাহাড়ি কলা নাকি অনেক সুস্বাদু হয়। আর আমি বন্ধু রাহুলকে বলতাম যে, আমাদের এলাকার কলায় সব থেকে বেশি ভালো। যাইহোক এবারে বান্দরবানে এসে পাহাড়ি কলা খেয়ে আমার সেই ভুল ধারণাটা ভেঙে গিয়েছে। কারণ পাহাড়ি কলা অনেক সুন্দর সুস্বাদু ও মিষ্টি হয়।
আমাদের অঞ্চলের যে কোন ফলের চাষ বা সবজির চাষ বা ফসলের চাষ করতে গেলে অনেক ধরনের কীটনাশক ইউজ করে। কিন্তু পাহাড়ি এলাকাতে কোন ধরনের কীটনাশক ইউজ করে না বললেই চলে। এখানে প্রাকৃতিকভাবেই সবকিছু হয়ে থাকে। আর অর্গানিক জিনিসের টেস্ট সব সময় অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।
যাই হোক আমরা কলা খাওয়া শেষ করে পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতর পাকা রাস্তা ইটের রাস্তা এবং মাটির রাস্তা সবই রয়েছে। প্রথমের দিকে যখন হেঁটেছিলাম তখন পাকা রাস্তা ছিল তারপরে এখন ইটের হেরিং রাস্তা। আমরা যে পাহাড়ে অবস্থান করছিলাম এইবার থেকে কিছুটা দূরেই অন্য একটি পাহাড়ে ইংরেজি অক্ষরে বড় বড় করে লেখা ছিল বান্দরবান।
আপনারা যখন বান্দরবান শহরের ভেতরে প্রবেশ করবেন মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাবেন তখন বাম পাশে তাকালেই এই লেখাটি দেখতে পাবেন। অনেক বড় পাহাড়ের উপরে এরকম লেখা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা যে পাহাড়ে ছিলাম সেই পাহাড় থেকে আসলে পাশের বড় পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ বড় পাহাড়ের ওই এরিয়াটা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের বাইরে ছিল।
আমরা ইটের রাস্তা দিয়ে হাঁটা শেষ করে তারপর পাহাড়ি মাটির রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু করি। পাহাড়ি এ ধরনের রাস্তা দিয়ে হাটা অনেক বেশি কষ্টের উঁচু-নিচু রাস্তা দিয়ে অনেক সাবধানে হাঁটতে হয়।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পাহাড়ে হাটা বেশ কষ্টসাধ্যকর ব্যাপার আগের দিনও বলেছিলাম আপনার পোস্ট করে। তার আগের পোস্টে দেখেছিলাম আপনি পাহাড়ি পেঁপে খেয়েছেন। আজকে আপনি পাহাড়ি কলা খাওয়ার গল্প লিখেছেন। পাহাড়ে যে কোন জিনিসই খেতে খুব সুন্দর। এবং এ কথা আপনি ঠিকই বলেছেন ওরা যেহেতু সেরকম কোন কীটনাশক ব্যবহার করে না তাই ওখানকার ফল মূল সবজি বা মাংসও খেতে অন্যরকম হয়। আপনার বেড়ানোর অনুভূতি পড়ে ভালই লাগলো। আসলে আমিও খুব ভ্রমণ প্রিয় মানুষ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit