"গ্রামে শীতের রাতের পিকনিক"

in hive-129948 •  4 days ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৭ শে জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো


1000166815.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের নিজের গ্রামের প্রতি আলাদা একটি টান থাকে সেই টান আমার নিজেরও রয়েছে। গ্রামীণ প্রকৃতি থেকে শুরু করে সবকিছুই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকে গ্রামে বড় হয়েছি তাই গ্রামের সবার সাথেই অনেক সুন্দর সম্পর্ক বন্ধুত্ব অনেক কিছুই রয়েছে। পড়াশুনার খাতিরে গ্রাম থেকে শহরের পাড়ি জমিয়েছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য। তারপর আর পার্মানেন্ট ভাবে কখনো গ্রামে থাকা হয়নি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ঢাকাতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি। ঢাকাতে লেখাপড়ার মাঝেও সময় করে প্রায়ই ছুটে আসি চিরচেনা গ্রামে। আমি গ্রামে আসলে বন্ধু-বান্ধব ছোট ভাই বড় ভাই এদেরকে নিয়ে পিকনিক করি। সবার সাথে এভাবে পিকনিক করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। গ্রামে এসে পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20250107_214649.jpg

যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের বন্ধু বান্ধবদেরকে নিয়ে অনেক পিকনিক করতাম। আর সবাইকে নিয়ে এভাবে পিকনিক করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগতো। সেই ছোটবেলার পুরনো ঐতিহ্য এখনো ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। তাই মাঝেমধ্যে এই গ্রামে আসলে সবাইকে নিয়ে একসাথে পিকনিক করি। এভাবে পিকনিক করলে সত্যিই অনেক বেশি মজা হয়। পিকনিকে আমরা কতটা ভালো খাবার খাচ্ছি সেটা বড় বিষয় না। এই বিষয়টা হচ্ছে আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে আনন্দ করছি এবং সময়টা উপভোগ করছি।

20250107_214657.jpg

আমরা বেশিরভাগ পিকনিকগুলোর জন্য জন প্রতি ১০০ টাকা অথবা ২০০ টাকা করে নিয়ে থাকি। এই টাকার ভেতরে আমাদের অনেক সুন্দর পিকনিক হয়ে যায়। কিছুদিন আগে যখন বাড়িতে এসেছিলাম তখন হঠাৎ করেই আমি আর শ্যামলদা পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নিলাম। তারপর সবাইকে জানিয়ে দিলাম যে, রাতে আমরা পিকনিক করবো।

20250107_232544.jpg

আমরা যে কয়জন পিকনিক করি সবার থেকে ২০০ টাকা করে নিলাম। তারপর টাকা উঠায়ে পিকনিকের বাজার করতে গেলাম। আমি আর শ্যামলদা গিয়েছিলাম পিকনিকের বাজার করতে। পিকনিক কিংবা বাড়ির বাজার করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তারপর সবকিছু বাজার করে এনে সবাই মিলে রাতে রান্নার কার্যক্রম আরম্ভ করলাম।

20250107_230325.jpg

আমাদের বড় পুকুর পাড়ের মাচার পাশে আমরা রান্নার আয়োজন করেছিলাম। শীতের দিন হওয়ার কারণে আমরা সন্ধ্যার পরেই পিকনিক শুরু করেছিলাম।আমাদের পিকনিকের সাধারণত আমি সবথেকে বেশি রান্না করে থাকি। আর যেদিন আমি একটু ব্যস্ত থাকি সেদিন অন্য একদাদা রান্না করে। পিকনিকে রান্নার কার্যক্রমটা অবশ্য একলা সামলানো যায় না সবাই মিলে সাহায্য করলে ভীষণ ভালো হয়।

20250107_232712.jpg

পিকনিকে রান্না করার সময়ে মজার মজার গল্প হাসি তামাশা এগুলো ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। শীতের রাতের পিকনিক গুলোতে সব থেকে বেশি সুন্দর সময় অতিবাহিত করা যায়। আমাদের রান্নার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে সবাই মিলে গোল হয়ে বসে খাওয়া-দাওয়া আরম্ভ করি। আমাদের রেসিপিগুলো খাইতে অতি চমৎকার হয়েছিল। এভাবে একসাথে বসে খাওয়ার যে, অনুভূতি সেটা সত্যিই অসাধারণ। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো কিছু সময় গল্পগুজব করে তারপর যার যার বাড়িতে চলে আসি।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৭ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000166823.jpg1000166821.jpg1000166822.jpg

শহরে ছোটবেলা পিকনিক করেছি সে পিকনিকের কথা এখনো মনে পড়ে। তবে বড় হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের ঢাকায় যে পিকনিক গুলো করা হয় সেগুলোতে সেরকম ইন্টারেস্ট পাইনা। আপনাদের গ্রামের পিকনিক দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনাদের সাথে আমিও এ পিকনিকে অংশ নেই। পিকনিকের পরিবেশটি ও দারুণ লাগছে।

শীতের দিনে এমন হঠাৎ করে পিকনিকের আয়োজন করতে বেশ ভালই লাগে। সকলে মিলে এমন ধরনের পিকনিক করলে সময়টা খুব আনন্দে কেটে যায়। আর আপনারা তো মাত্র ২০০ টাকা নিয়ে ভীষণ সুন্দর পিকনিক আয়োজন করেছেন দেখছি। এত কম টাকায় এত সুন্দর আয়োজন সাধারণত করা সম্ভব হয় না।

বয়সের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। আমরা যার যার জায়গা থেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কেউ কেউ হয়তো গ্ৰাম ছেড়ে শহরে চলে আসে আর এভাবেই সময়ের ব্যবধানে সব কিছু হারিয়ে যায়। কিন্তু অনেক দিন পর যখন সেই সময়টা একটু উপভোগ করা যায় তখন খুব ভালো লাগে। এটা শুধু আনন্দ,কে কি খেলো,কত টাকা দিয়েছে তা কখনো মেটার করে না। সবাই একসাথে আনন্দ করা যায় এটাই বড়। আপনাদের পিকনিক দেখে খুব ভালো লাগলো। আমিও এবার গ্ৰামে গিয়ে পিকনিক করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

কোনদিন এভাবে তো পিকনিক করি নাই তবে বাড়ির মানুষেরা পিকনিক করে এটা আমি জানি। অনেক সুন্দর করে আপনি এই আনন্দের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। অনেক জন মিলে পিকনিক করছেন দেখলাম। আর পিকনিকের সময় তো মজার মজার গল্প হবে বন্ধুদের আড্ডা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ভালো লাগলো ভাই।

গ্রামে শীতের রাতের পিকনিক খেয়েছেন দেখছি। আপনার পিকনিক খাওয়া দেখে আমার পিকনিক খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। আমি ও গত বছর আপনার মতো এ রকম বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করেছিলাম। আসলে শীতের রাতে পিকনিক খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর অনেক মজাও হয়।

ছেলেবেলা ফাইনাল এক্সামের পর বাড়িতে গেলে সবাই মিলে পিকনিক করতাম।তবে আমরা ছোট ছিলাম তখন তাই দিনে পিকনিক করতাম।আজ আপনার পিকনিকের অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।খাবার রান্নার সময় কতো রকমের হাসি আনন্দ হলো।আর খাবার গুলো খুবই মজার হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

পিকনিক মানে আনন্দ। আসলে গ্রামের থাকলে সবাই মিলে এরকম আনন্দ উপভোগ করার একটি সুযোগ থাকে। তবে আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হই। বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। এবং সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

নিজের গ্রামের প্রতি আলাদা একটা টান থাকে সবার।আপনারা সবাই মিলে পিকনিক করেছেন জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আর পিকনিকের খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। নিশ্চয় অনেক মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং করার জন্য ঢাকায় গিয়েছেন এবং এখন আপনি ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করছেন জেনে ভালো লাগলো।শুভকামনা আপনার জন্য আপনি আপনার লক্ষ্য পূরণ করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করুন। গ্রামের পিকনিক দারুণ ব্যাপার।কি খাচ্ছি এটা বিষয় নয় কতোটা আনন্দ করছি তৃপ্ত হচ্ছি বন্ধুদের নিয়ে এটাই মূখ্য বিষয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার পিকনিক দেখে। ধোয়া ওঠা খাবারের ফটোগ্রাফি দারুণ লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

কতদিন হয়ে গেল এমন আয়োজন আর হয়না আমাদের জীবনে। কত হাসি আনন্দের কথার মধ্য দিয়ে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতাম। যেন আমি সেই স্মৃতিগুলো খুঁজে পেলাম আপনার এই পোস্ট দেখে। অনেক সুন্দর পিকনিক করেছেন আপনারা।

এভাবে লাস্ট পিকনিক করেছি মনে হয় চার বছর আগে। ভোটের সময় বন্ধুরা মিলে খুব সুন্দর আয়োজন করেছিলাম। পিকনিক মানে মনের আনন্দ ফুর্তি বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা আর খাওয়া-দাওয়া। অনেক ভালো লেগেছে সুন্দর করে আপনাদের পিকনিক টাকে উপস্থাপন করেছেন দেখে।

শীতের রাত্রে বন্ধু-বান্ধব এবং ছোট ভাইদেরকে নিয়ে এরকম জমজমাট পিকনিক আয়োজন করার মজাই আলাদা। আর এরকম পিকনিক আয়োজন করার মুহূর্তটাই হলো জীবনের সবথেকে সেরা একটি মুহূর্ত। ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে। একই সাথে আপনাদের সকলকে একত্রে শীতের রাত্রে পিকনিকের খাবার খাওয়ার দৃশ্যটি দেখে সত্যি দারুন ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শীতের রাতে গ্রামীন পরিবেশে পিকনিক করার মজাই আলাদা। যেটা এই বছর অনেক বার করা হয়েছে। তুমিও আমাদের সাথে ছিলে নিজের এলাকায় পরিচিত জনের সাথে পিকনিক করা দারুন ছিল। ভালো লাগলো দেখে।

শীতকালে পিকনিক দেওয়ার মজাই আলাদা। আর আমাদের এদিকেও দেখে অনেকে শীতকালে পিকনিক দেয়। এবং সবাই মিলে টাকা দিয়ে পিকনিক করলে ওই পিকনিকের মধ্যে আলাদা একটা মজা থাকে। আপনারা দেখছি বড় পুকুরের পাশে মাচার পাশে পিকনিক করেছেন। নিশ্চয় এ শীতের মধ্যে মজা করে পিকনিক করে মজার খাবার খেলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।

ভাই কিছুদিন আগে শীতের মধ্যে আমরাও পিকনিক দিয়েছি। এবং বাড়ির ছেলেগুলো টাকা দিয়ে পিকনিক করে বাড়ির সামনে মাসার উপর বসে খেলাম। আপনারা দেখছি সবাই পিকনিক করেছেন। আর বন্ধু বান্ধব সবাই মিলে এরকম পিকনিক করলে খেতেও বেশ মজা লাগে। পিকনিকের পোস্ট অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।

পিকনিক করার জন্য গ্রাম-ই উপর্যুক্ত।আপনারা সবাই মিলে শীতের রাতে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন।এতে সম্পর্কগুলি আরো বেশি মজবুত হয়, ধন্যবাদ দাদা।