"স্বামীবাগ ইস্কনের গোবিন্দাস্ রেস্টুরেন্টের খাওয়া"

in hive-129948 •  10 months ago  (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৫ ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000062707.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসেছি এখানে আসার পরে গ্রামীন প্রকৃতিতে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। এতদিন ধরে ঢাকা শহরে আছি কিছুতেই আমার মন বসে না, সব সময় মন ছুটে আসে এই গ্রামীন প্রাকৃতিক পরিবেশে। যাইহোক কিছুদিন আগে ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়েছিলাম কিছু সনাতন ধর্মীয় বই কেনার উদ্দেশ্যে। আমি সনাতন ধর্মীয় বই কেনা শেষ করে, স্বামীবাগের ইসকনের গোবিন্দা রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম।

20240130_192055.jpg

আমি ইস্কনের রেস্টুরেন্টের খাবার ভীষণ পছন্দ করি। এর আগে বেশ কয়েকবার খেয়েছি প্রতিবারই আমার কাছে এই খাবারগুলো বেশ ভালো লেগেছে। তবে এর আগে যতবার ইসকনের রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়েছি তত বাড়ই সিলেট শহর থেকে। তাই এবার ইচ্ছা ছিল যে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে গেলে অবশ্যই রেস্টুরেন্টের খাবার খাবো। তাইতো সনাতন ধর্মীয় বই কেনা শেষ করেই দোকানদার প্রভুর কাছে থেকে লোকেশন শুনে চলে গেলাম ইসকনের রেস্টুরেন্ট এর দিকে।

20240130_192249.jpg

স্বামীবাগের এই ইসকনের রেস্টুরেন্টের নামটি আমার কাছে এ বেশ দারুণ লেগেছে। আমি ইসকনের রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকিয়ে দেখলাম যে, অনেক দর্শনার্থী এবং ভক্তরা এসে এখানে খাবার খাওয়া দাওয়া করছে আর এখানকার প্রভুরা যত্ন সহকারে সবাইকে খাওয়াচ্ছেন। এখানে কিন্তু ভাইরে দর্শনার্থী বা ভক্তদের ফ্রি খাওয়ানো হয় না তবে খুব অল্প টাকার ভেতরে বেশ ভালো মানের খাবার খাওয়া যায়। আমি ইস্কনের রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে এই ম্যানেজার প্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম যে রাতের জন্য কি কি খাবার পাওয়া যাবে তিনি আমাকে বলল যে, উপরের চার্ট টানানো আছে যেটা ভালো লাগে প্রথমে অর্ডার করতে হবে টাকা দিয়ে।

20240130_192454.jpg

তারপর আমি বেশ কিছু সময় খাবারের লিস্ট এর চার্টের দিকে লক্ষ্য করে কয়েকটি খাবার সিলেক্ট করলাম। যেহেতু এখানে আমি প্রথমবার খাচ্ছি তাই আমার ভেতর কোন খাবারটি ভালো হবে বা কোন খাবারটি খারাপ হবে এ বিষয়ে একটু হেজিটেশন কাজ করছিল খাবার সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে। প্রথমে আমার খাবার সিলেক্ট করার ভিতরে ছিল ৩০ টাকার ভাত ৭০ টাকার ছানারসা এবং ৩০ টাকার মিষ্টান্ন। আরো অবশ্য অর্ডার করতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু একা একা খেতে পারব কিনা সেটা নিয়ে একটু কনফিউশন ছিলাম।

20240130_192514.jpg

আমি খাবারগুলো টাকা দিয়ে অর্ডার করার পরে ম্যানেজার প্রভু আমার হাতে একটা স্লিপ ধরিয়ে দিলো এবং আমাকে বলেছে ওই পাশে এই স্লিপটা দিলে ভেতর থেকে খাবার দিয়ে দেবে। তারপর আমি স্লিপটি নিয়ে অন্য পাশে গিয়ে খাবার বন্টন করা প্রভুদের কাছে দিলাম তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই প্রভুরা আমার খাবারগুলো রেডি করে আমার কাছে দিয়ে দিলো। আমার ভাগ্য ভালো যে, আমি যে টাইমে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে খাওয়ার লোকের সংখ্যা কম ছিল তাই আমাকে খাবার পেতে বেশি সময় দেরি করতে হয়নি। তখন আমি খাবারগুলো নিয়ে আমার টেবিলে বসে গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য।

20240130_192713.jpg

তারপর ভগবানের কাছে প্রসাদ নিবেদন করে খাওয়া শুরু করলাম। আহ্ স্কুলের রেস্টুরেন্টের খাবার মুখে দিতেই চমৎকার তৃপ্তি অনুভব করতে পারলাম। আমি মোটামুটি এই তরকারি দিয়ে অর্ধেক আবার শেষ করার পরেই ভাবলাম যে, এত কষ্ট করে এসেছি এত কম খাব কেন! তারপর আবার আরেক প্রভুকে ডাক দিয়ে বললাম যে আমাকে একবাটি ৪০ টাকার চাটনি এবং আর একটা ৪০ টাকার পাটিসাপটা পিঠা দিন। তারপর সেই প্রভু চাটনি এবং পাটিসাপটা পিঠা ইনি আমার টেবিলে দিলো।

20240130_193714.jpg

আমি অনেকটা সময় নিয়ে আস্তে আস্তে তৃপ্তি সহকারে সকল খাবার গ্রহণ করলাম। স্বামীবাগের ইসকনের রেস্টুরেন্টের প্রতিটা খাবার আমার কাছে সত্যিই অসাধারণ লেগেছে। আমার ইচ্ছা আছে আবার যদি কখনো স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে যায় তাহলে গোবিন্দাস রেস্টুরেন্টের এই খাবার আবার খাবো। মাত্র ২০০ টাকার ভেতরে এত সুন্দর মানের খাবার ইসকনের হোটেল ব্যতীত ঢাকার কোথাও পাওয়া যাবে না এটা আমি মোটামুটি গ্যারান্টি সহ বলতে পারি। এক কথায় এই খাবারগুলো আমার মুখে লেগে আছে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩০ শে জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

দাদা তো দেখি প্রভু প্রভু হয়ে গেছে ৷ আজকে প্রথম দেখলাম যে মন্দিরে ও রেস্টুরেন্টে থাকে ৷ যা হোক বিষয়টা ভালো লাগলো যে দূর দুর থেকে ভক্ত দর্শনার্থীদের জন্য রেস্টুরেন্টে বিষয়টা একদম ভালো ৷ আপনিও দেখি অনেক প্রসাদ খেয়েছেন ৷ সবমিলে স্বামীবাগ ইস্কনের গোবিন্দাস্ রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়া গল্প টা বেশ ভালোই লাগলো ৷ তবে শেষে পাটিসাপটা পিঠা দেখে জিভে জল এসে গেছে ৷ হিহিিহ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ৷

দাদা হয়তো আমি প্রভু না তবে নিজের ধর্ম পালনে চেষ্টা করি সব সময়। ইসকনের গোবিন্দাস হোটেলের খাবার বেশ সুস্বাদু। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

ইসকন মন্দিরের ভিতরে যে রেস্টুরেন্ট গুলো থাকে, ওইগুলোর খাবার দাবার আসলেই অনেক বেশি ভালো হয়। তবে আমাদের এখানে ইসকন মন্দিরের ভেতরেই খাবার খেতে দেয়, সেগুলো টোকেন সংগ্রহ করে খেতে হয়। আর আপনাদের ওইখানকার ইসকন মন্দিরের মত এখানে আলাদা আলাদা খাবার পাওয়া যায় না, পুরোটা একটা প্যাকেজের ভিতরে থাকে। তবে এখানে অনেক ইসকন মন্দিরও রয়েছে যেখানে ফ্রি খাবার দেওয়া হয় ২৪ ঘন্টা। সত্যি কথা বলতে, এই খাবারগুলো এত বেশি টেস্টি হয় যেটা অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।

হ্যাঁ দাদা আমিও শুনেছি যে ইন্ডিয়াতে অনেক ইসকন মন্দিরে ফ্রি খাবার দেয়া হয় আর সেই খাবারগুলো টেস্ট অনেক সুন্দর হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক শুনেছেন ভাই, আমাদের এইখানে অনেক ইসকন মন্দিরে ফ্রি খাবার দেওয়া হয় এবং সেই খাবারগুলোও অনেক টেস্টি হয়।

Posted using SteemPro Mobile

যদি কখনো ভারতে যাওয়ার সুযোগ হয় তবে এই খাবারগুলো খেয়ে টেস্ট করে দেখব অবশ্যই।

Posted using SteemPro Mobile

ওকে ভাই, ভারতে আসার সুযোগ হলে অবশ্যই এই খাবারগুলো টেস্ট করে দেখবেন।

Posted using SteemPro Mobile