"বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-অন্তিম পর্ব"

in hive-129948 •  9 months ago  (edited)


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৫ই জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ভ্রমণবিলাসী একজন মানুষ সবসময় ভ্রমন করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে কোন জায়গায় ভ্রমন করার মাঝে আলাদা একটি আনন্দ খুঁজে পায়। আমার ইচ্ছার রয়েছে এ জীবনে যতটা দিন বেঁচে থাকব ততদিন ভ্রমন করে যাবো। আমার কাছে মনে হয় সমগ্র মানব জীবনেই ভ্রমণ। গত বছরে এর আগের বার যখন আমি বাড়িতে এসেছিলাম তখন বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির মাজারে আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য বেড়াতে গিয়েছিলাম। এর আগে আমি একটি পোস্টে বাউল সম্রাট ফকির লালনের সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-১ম ও ২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম । আর আজকে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ-অন্তিম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20231103_185142-01.jpeg

আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য গরম গরম চটপটি খাওয়ার পরে ভাবলাম যে কালী নদীর পাশ দিয়ে একটু ঘুরে আসি। বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির মাজারটি কালী নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। যদিও এটি খুব ছোট একটা বদ্ধ নদী তারপরেও নদী তে নদীই। এই কালী নদীর পাড় দিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় বসার জায়গা করা আছে বাউল সম্রাট লালন ফকিরের মাজারে যারা ঘুরতে আসেন তারা এই নদীর পাড়ে বসে সুন্দর সময় অতিবাহিত করে।

20231103_191542-01.jpeg

কালী নদীর এপার থেকে ওপারের শহরের আলোগুলো বেশ সুন্দর দেখা যাচ্ছিলো। আমি যে সময়টাতেই বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘুরতে আসি তখন ঐ চেষ্টা করি কালি নদীর পাড়ে বসে কিছুটা সময় কাটানোর। মনে আছে যখন আমি কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন আমাদের ম্যাচে এক দাদা ছিল তার সাথে এসে মাঝে মাঝেই বাদাম কিনে কালী নদীর ঘাটে বসে বাদাম খেতাম। নদীর পাড়ে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আনন্দই আলাদা হয়।

20231103_185045-01.jpeg

বাউল সম্রাট লালন সাঁইজির এই ভাস্কার্য কালী নদীর পাড়ের সাথে তৈরি করা হয়েছে। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির এই ভাস্কর্যটি একটি বড় বট বৃক্ষের নিচে অবস্থিত। রাতের আলোতে বট বৃক্ষের নিচের এই ভাস্কর্যটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল আমার কাছে। আমরা অনেকটা সময় নদীর পাড়ে ঘুরে ঘুরে এইসব জায়গাগুলো দেখছিলাম। আমি প্রথমের যে, ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি বাউল সম্রাট ফকির লালন সাজির সেই ভাস্কর্যটিও এই কালী নদীর পাড়েই তৈরি করা হয়েছে।

20231103_184953.jpg

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারের নদীর পাড়ের যে, জায়গাগুলো আছে যে জায়গা গুলো আছে সেখানে ঘোরা শেষ হওয়ার পরে আবার মেন রাস্তার সাথে চলে আসলাম।‌ মেইন রাস্তার উপরে আসার পরে লক্ষ্য করলাম রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান এক দোকানদার ঘটি গরম বিক্রি করছে। ঘটি গরম খাবারটি আমার কাছে বেশ প্রিয়। আগে যখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন গড়াই নদীর উপরে হরিপুর ব্রিজে গেলেই এই ঘটি গরম খেতাম।

20231103_184943.jpg

এই ঘটি গরম খাবারটি বেশ মুখরোচক। আমরা এই ভ্রাম্যমান ঘটি গরম দোকানদারের কাছে বললাম যে, দুই জায়গাতে সুন্দর করে ঘটি গরম দিতে। ঘটি গরম খাবারটি নামে যেমন সুন্দর স্বাদেও ঠিক তেমনি সুন্দর। তারপর দোকানদার ভাই আমাদেরকে বললো যে, আপনারা চেয়ারে বসেন আমি এখনই বানিয়ে দিচ্ছি। আমরা কয়েক মিনিট বসে অপেক্ষা করার পরে এই দোকানদার ভাই সুন্দর করে দুই জায়গাতে ঘটি গরম বানিয়ে দিলো।

20231103_184934.jpg

আহ্ ঘটি গরম খেয়ে তো মনটা ভরে গেলো। ঘটি গরম খাবারটি হলো এমন যে, একটি ঘটির ভেতরে গরম কয়লার আগুন দিয়ে চানাচুর চিরে ও মুড়ির উপর বসিয়ে রাখে যাতে সব সময় এই খাবারটা গরম থাকে। এই ঘটি গরম খাবার টি সব সময় গরম থাকে বলেই আসলে এতটা স্বাদ লাগে। আজ পর্যন্ত এই খাবারটি কুষ্টিয়া ব্যতীত আর অন্য কোথাও আমার চোখে পড়ে নাই। মুখরোচক এই ঘটিকরণ খাবারটি খেতে সব সময়ই আমি অনেক বেশি পছন্দ করি।

20231103_184547.jpg

আমরা সুন্দর মুখরোচক ঘটি গরম খাওয়ার পরে একটা রিক্সা ভাড়া করলাম কুষ্টিয়া শহরের ভেতরে যাওয়ার জন্য অর্থাৎ আমার ভাই অর্ঘ্যদের বাসায় যাওয়ার জন্য। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার ভ্রমণ করে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো। আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য দুজন মিলে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩রা নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png