হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬ শে নভেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করতে আমাদের সবারই অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রকৃতির অপরূপ সবুজ মনোরম দৃশ্য হৃদয়কে শান্ত করে। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল হাঁটতে হাঁটতে লাউয়াছড়া উদ্যানের ভালই ভেতরের দিকে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের বাংলাদেশের ভেতরে লাউয়াছড়া উদ্যান অনেক বড় একটি উদ্যান। এই উদ্যানে অনেক প্রাণীর বাস রয়েছে। আমি আর আমার বন্ধু যেহেতু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ তাই আমরা বনে হাঁটা পথে হাঁটতে থাকি।
লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে কিছু কিছু জায়গায় জঙ্গল এতই ঘন যে, সূর্যের আলো পর্যন্ত মাটিতে এসে পৌঁছায় না। আবার কিছু কিছু জায়গা স্বাভাবিক। তবে এরকম একটি জায়গায় গিয়ে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম। আমরা নিরবে নিভৃতে ভ্রমণ করার জন্য জঙ্গলের পথ বেছে নিয়েছিলাম।
আমরা জঙ্গলে ভ্রমণ করার সময়ে বিভিন্ন ব্যানার এবং ফলক ফলো করতাম। কারণ এখানে কোনটা করা উচিত কোনটা করা উচিত না এগুলো না দেখলে বোঝা যাবে না। এই নির্দেশনাবলি সকল ট্রাভেলারদের জন্যই সমান। এখানে ভ্রমণের সময় কোন প্রাণীর ক্ষতি করা যাবেনা বা কোন প্রাণীর আবাসস্থলের ক্ষতি করা যাবে না। আবার কোন ধরনের ধূমপান বা আগুন জালানো যাবে না। আর নিজের সুরক্ষার বিষয়ে সব সময় নিজে সজাগ থাকতে হবে।
এই জঙ্গলের ভেতরের গাছপালা ও জীব বৈচিত্র রক্ষার জন্য অনেক নির্দেশনাবলী দেওয়া আছে এগুলো সকল ট্রাভেলারদের মেনে চলা উচিত। কারন আমরা যারা ট্রাভেলে যায় তারা যদি সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলতে পারি তাহলে পরিবেশটা অনেক সুন্দর থাকে। এইটা হচ্ছে বিরল প্রজাতির বাঁশপাতা গাছ এই গাছ আগে কখনো দেখিনি নতুন একটি গাছ দেখে বেশ ভালই লাগছিল।
এ ধরনের অনেক প্রকারের গাছ আমরা জঙ্গলের ভেতর দেখেছিলাম যেগুলো সাধারণত আমাদের এদিকে দেখা যায় না। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে আমি আর আমার বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে অনেক অচেনা একটি জায়গায় এসে পৌঁছালাম। আমরা নিজেরাও জানতাম না যে আমরা কোথায় যাচ্ছি বা কেন যাচ্ছি? তবে আমরা যে পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম সেই পথে চিহ্ন করে রেখে যাচ্ছিলাম। কারণ হচ্ছে আমরা যদি পরে পথ হারিয়ে ফেলি তাহলে এই চিহ্ন দেখে আবার মেইনগেটে ফেরত যেতে পারবো।
অনেক বড় ফুটবল খেলার মাঠ এবং সবুজের সোমারহ্ দেখে বেশ ভালই লাগছিল মনের ভিতর। এই জঙ্গলের ভেতর যে এত নির্জনতা আছে সেটা কখনোই ভাবতে পারিনি। কারণ আমরা হাঁটার সময়ে তেমন কোনো মানুষের দেখা পায় নাই বললেই চলে। হাতেগোনা কয়েকটা খাসিয়া উপজাতির মানুষদের দেখেছিলাম।
যাইহোক আমরা অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে খাসিয়া পুঞ্জির খুব কাছে চলে এসেছিলাম। তারপর হঠাৎ পথে খাসিয়া পুঞ্জির এক ব্যক্তির সাথে দেখা হলো তার কাছ থেকেই পথটা চিনে নিলাম। তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে খাসিয়া পুঞ্জির ভেতরে পৌঁছালাম। খাসিয়া পুঞ্জির একটি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম যে, বাড়ির আঙিনায় অনেক সুন্দর অচেনা ফুলের গাছ। আর সেই গাছের ফুল থেকে প্রজাপতি মধু আহরণ করছে।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে "লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের" ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ছবির বিবরণ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণ করেছেন এবং সেই স্থানটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু দেখাও জানার সুযোগ পেলাম ভাই। তবে ভালো লাগলো এত সুন্দর সুন্দর গাছ গুলো দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit