"কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন- ১ম পর্ব "

in hive-129948 •  7 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১১ ই মে, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000084775.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের ওই কোন না কোন স্বপ্ন থাকে আর আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এ পৃথিবীতে অনেক অনেক ক্যাটাগরির ইঞ্জিনিয়ার আছে এর ভেতর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কারণ প্রাচীনকাল থেকে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষ জাতিকে সভ্য করে তুলতে পেরেছে। প্রাচীনকালের মানুষরা বাড়িঘর ব্যতীতই তারা বসবাস করত কিন্তু আস্তে আস্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচেষ্টায় মানুষজন বাড়ি-ঘরে থাকা শুরু করে। আমি এসএসসি পাশ করে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সিভিলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করি। আর এখন সিভিলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। প্রতিনিয়ত নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এভাবেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন-১ম পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

1000078665.jpg

আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা কমপ্লিট করতে পেরে সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত আনন্দিত। অনেকদিন হলো কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া সম্পন্ন করেছি। তারপর সবাই যার যার মতো এদিকে ওদিকে হয়ে গিয়েছে। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়ার সময়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ এবং বন্ধুদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক। এবছর ঈদের আগে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ এবং কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ঈদ রিইউনিয়ন-২০২৪ এর আয়োজন করা হয়।

1000078702.jpg

আমাদের মতো যেসব শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া সম্পন্ন করেছে তাদের সবার স্বপ্ন ছিল সবাই মিলে আবার একত্রিত হওয়া। আর এই লক্ষ্যেই কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এই উদ্যোগটি সর্বপ্রথম গ্রহণ করে। তারপর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ঈদ রিইউনিয়নের কার্যক্রম চলতে থাকে। আমি আর আমার বন্ধু ,বান্ধবী সহ বেশ কয়েকজন অনলাইনে ১০০০ টাকা পেইডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম ঈদ রিইউনিয়ন উপলক্ষে।

1000078705.jpg

আমাদের ঈদ ইউনিয়নের এই অনুষ্ঠানটা ছিলো ঠিক ঈদের পরবর্তী দিন। এর কারণ হচ্ছে সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পরবর্তী দিনে যাতে ইউনিয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর থেকেই ভীষন উচ্ছ্বাসিত ছিলাম স্বপ্নের প্রিয় পলিটেকনিকে ঈদ রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য। ঈদ রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কথা বলে নিলাম যে, আমরা কখন ঈদ রিইউনিয়নে অংশগ্রহণ করবো।

1000078706.jpg

আমাদের ঈদ রিইউনিয়ন অনুষ্ঠান ছিল সকাল ৯ টা থেকে। তাই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ৮টার পরেই বাইক নিয়ে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই। কুমারখালী থেকে বন্ধু রাকিনের যাওয়ার কথা ছিল তাই আমরা দুজন কুমারখালী গিয়ে বন্ধু রাকিনের জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করি। তারপর বন্ধুরা রাকিন বাইক নিয়ে আসলে আমরা দুটি বাইক নিয়ে কুমারখালী থেকে আবার কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই।

1000078707.jpg

আমাদের সবার স্বপ্নের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে যাচ্ছিলাম তাই মনের ভিতর ভীষণ ভালো লাগা কাজ করছিলো। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেই ২০২০ সালে আমরা সবাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া কমপ্লিট করেছি তারপর এই পলিটেকনিকে আর সবাই মিলে একত্রিত হতে পারিনি। আমরা কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নয়টার আগেই পৌঁছে যায়। তারপর আমাদের বাইক গ্যারেজে রেখে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রবেশ করি।

1000078709.jpg

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রবেশ করতে মনের ভেতরে যেন জোয়ার বয়ে গেলো। এরকম বড় পরিসরে অনুষ্ঠান কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আগে কখনোই হয় নাই। আমাদের জন্য এত আয়োজন দেখে সত্যি আমরা বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়েছিলো। আমাদের রেজিস্ট্রেশন এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কিছু উপহারের ব্যবস্থা করেছিলো।

1000078710.jpg

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যতো শিক্ষার্থীরা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে বের হয়েছে তাদের প্রতি ব্যাচের জন্য আলাদা আলাদা বুথের ব্যবস্থা করেছিলো যাতে আমাদের উপহার খুজে পেতে সুবিধা হয়। আমরা প্রথমেই আমাদের বুথ খুজে বের করি তারপর সেখান থেকে আমাদের উপহার গুলো সংগ্রহ করে।

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত রিংইউনিয়ন- ১ম পর্ব এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম পরবর্তীতে অন্য একটি পোস্টে ২য় পর্ব শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১২ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনার লেখায় আপনার স্বপ্ন এবং আপনার শিক্ষাজীবনের প্রতি আপনার আন্তরিকতা স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে। আপনার কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং সেখানকার ঈদ রিইউনিয়নের বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি একজন গভীর অনুভূতির মানুষ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য দাদা।

বাহ্ দা আপনার সুন্দর সাবলীল ভাষায় কমেন্টটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বাহ আপনাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন- ১ম পর্ব পড়ে অনেক খুশি হলাম। তারা এক হাজার টাকা করে নিলেও অনেক বড় করে আয়োজনটা করেছে। সেই সাথে আপনাদেরকে গিফটও ‍দিয়েছে। গিফট দেওয়ার সিস্টেমটা অনেক সুন্দর ছিল। আর যেহেতো অনেক আগের প্রতিষ্ঠান তাই শিক্ষার্থীও ছিল অনেক। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাই ১০০০ টাকা করে নিলেও অনেক বড় আয়োজন করেছে। এরকম বড় আয়োজন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রিয় ক্যাম্পাস টা দেখতে পারলাম দেখেই অনেক বেশি ভালো লাগছে। এবছর ঈদের মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে রিইউনিয়ন করা হয়েছিল কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারিনি, আপনারা গিয়েছিলেন জেনে খুশি হবেন। বোঝাই যাচ্ছে চমৎকারভাবে পলিটেকনিকটা সাজানো হয়েছিল। উপহারগুলো গ্রহণ করেছেন তিনি খুশি হলাম পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আবার যখন ঈদ রিইউনিয়ন হবে অবশ্যই তুমি উপস্থিত থাকবে কিন্তু। প্রিয় পলিটেকনিকে সময় কাটাতে আসলে বেশ ভালই লেগেছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

দিনটা অনেক ভাল ছিল অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছিল কিন্তু সবাই যদি আসতো তাহলে আরো বেশি মজা হত। যাওয়ার পরের মুহূর্ত গুলো অনেক বেশি এনজয় করেছি অনেকদিন পর প্রিয় ক্যাম্পাসে পুরানো স্মৃতি বেশ মনে পড়ে পড়েছে

হ্যাঁ বন্ধু দিনটা অনেক ভাল ছিল আর অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছিল বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাহ আপনাদের কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য দারুন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এখানে দেখলাম একেবারে প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচ থেকে ধরে শেষ ব্যাচ পর্যন্ত সবাই আছে। এতদিন পরে সবার সাথে দেখা হলে আনন্দের সীমা থাকে না। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে শেষ ব্যাচ পর্যন্ত ছিল। আমরা সেদিনে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।