"নাচোস খাওয়া"

in hive-129948 •  8 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২২ শে জানুয়ারি, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000053605.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এবারে বাড়িতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমি যখনই বাড়িতে যাই তখনই কুষ্টিয়া মেইন শহরে এক-দুইদিন কাটানোর চেষ্টা করি। সত্যি বলতে কুষ্টিয়া শহরের প্রতি আলাদা একটি আকর্ষণ কাজ করে আমার। কারণ এই শহরটাই থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করেছি। কুষ্টিয়া শহরের যেকোন রেস্টুরেন্ট এর খাবার আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেয়ে খেয়ে চেক করতাম যে, কোন রেস্টুরেন্ট এর খাবার কেমন। যেকোনো ধরনের খাওয়া দাওয়া করতে সবসময়ই আমি বেশ পছন্দ করি।

20240103_195720.jpg

এবারে বাড়িতে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই কুষ্টিয়া শহরে গিয়েছিলাম। আমি কুষ্টিয়া শহরে গেলে আমার পিসিমণির বাসায় থাকি আর না হয় আমাদের আগেকার সেই পুরনো মেসে থাকি। এই দুই জায়গাতেই সব থেকে বেশি থাকা পড়ে। আমি আগে যে, মেসটিতে থাকতাম সেই মেসে পাশেই একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে। আরে রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে সোনার তরী রেস্টুরেন্ট। কিছুদিন আগে আমার এক শুভাকাঙ্খী বলেছিলো যে, এই রেস্টুরেন্টের নাচোস খাবারটি নাকি অনেক সুন্দর টেস্ট হয়।

20240103_192616-01.jpeg

তাই বাড়ি থেকে আমি কুষ্টিয়া যাওয়ার আগেই মন স্থির করে রেখেছিলাম যে, আমার ছোট ভাই অর্ঘ্য আর মেসের এক বন্ধুকে নিয়ে হেরেস্টুরেন্টের নাচোস খাবারটি খাবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোজন রসিক মানুষ খাবার খেতে সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি।এবিরে কুষ্টিয়ায় যেদিনে গিয়েছিলাম সেদিনই নাচোস খাবারটি খাবার আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমার ভাই অর্ঘ্যর পেট ভরা থাকায় ঐদিন খেতে পেরেছিলাম না। তারপর পরের দিন রাতে আমার ভাই অর্ঘ্য কে নিয়ে সোনার তরী রেস্টুরেন্টে গেলাম।

20240103_192938-01.jpeg

এর আগে কুষ্টিয়ার ভেতরে অনেক রেস্টুরেন্টে গিয়েছি তবে এই রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম লেগেছে। এখানকার ভেতরের পরিবেশটা সুন্দর গোছালো আর নিরিবিলি শান্ত। আমি যে কোন রেস্টুরেন্টে গেলে এমন সুন্দর নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ পছন্দ করি। রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়েই ভাই অর্ঘ্যর বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিলাম। আর আমার মেসের যে বন্ধু ছিল ও টিউশনি ছিলো তাই আসতে একটু দেরি হবে আমাকে আগেই বলে রেখেছিল। তারপর দুই ভাই এসে টেবিলে বসলাম।

20240103_193011.jpg

আমরা যে টেবিলে বসেছিলাম সেই টেবিলে আগে থেকেই একটি খাবারের মেনু রাখা ছিলো। তারপর আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য মিলে খাবারের মেনুটি সুন্দর ভাবে দেখলাম। আমরা যেহেতু আগে প্লানিং করে গিয়েছিলাম যে, নাচোস খাবো তাই খাবারের মেনু বেশি খোঁজাখুঁজি করতে হয়নি। খাবারের মেনুতে দেখলাম যে, একটা রেগুলার ১২০ টাকা আরেকটা প্রিমিয়াম নাচোস ২০০ টাকা। তারপর আমি ওয়েটারকে ডেকে একটা প্রিমিয়াম নাচোসের অর্ডার দিলাম।

20240103_193204-01.jpeg

সোনার তরী এই রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশ এক কথায় চমৎকার। এ রেস্টুরেন্টের অবস্থান কুষ্টিয়া শহরের কোট স্টেশনের পাশে নারিকেলতলা বাজারে। রেস্টুরেন্টের ভিতরে দেওয়ালে হলুদ রঙের উপরে বিভিন্ন নকশা দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমরা খাবারের অর্ডার দিয়ে দুই ভাই বসে গল্প করছিলাম।আর আমার বন্ধু তাপসের আসার অপেক্ষা করছিলাম। কারণ আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম যে, টিউশনি করে সরাসরি সোনার তরী রেস্টুরেন্টে চলে আসার কথা।

20240103_194347-01.jpeg

মোটামুটি আধা ঘন্টার মত অপেক্ষা করার পরে আমার বন্ধু তাপস চলে আসলো। ততক্ষণে আমাদের অর্ডার দেওয়া প্রিমিয়াম নাচোস খাবারটি তৈরি হয়ে গেছে সেটাও আমাদের টেবিলে ওয়েটার ম্যান দিয়ে গেল। প্রথমে খাবারটি দেখে এই ভীষণ লোভনীয় লাগছিল। এটি অবশ্য আমার জীবনের প্রথম নাচোস খাওয়া হবে। এর আগে অবশ্য অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকলেও এই খাবারটি খাওয়াবাদ ছিলো।

20240103_194411-01.jpeg

তাই এই খাবারটি খাওয়ার প্রতি একটা বিশেষ আকর্ষণ কাজ করছিলো। নাচোস খাবারটির কালারটা একদম জোস ছিলো। যাইহোক খাবারটি টেবিলে দেয়ার পরে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম যাতে আপনাদের সাথে নাচোস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে পারি।আমাদের যেহেতু নাচোস খাবারটি একটা প্লেটে দিয়েছিল তাই ওয়েটারম্যানকে ডেকে আরেকটি এক্সট্রা প্লেট নিয়ে নিলাম।

20240103_194730-01.jpeg

তারপর তিনজন মিলে মজাদার মুখরোচক নাচোস খাবারটি খাওয়া শুরু করলাম। খাবারটি মুখে দিতেই আলাদা একটি তৃপ্তি অনুভূত হলো সত্যিই অসাধারণ ছিল খাবারটি। এই নাচোস খাবারটি খাওয়ার পর আমার বন্ধু আর ভাই অর্ঘ্যর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম খাবারটি কেমন ছিল! তারাও বলল যে, তাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমার কাছে তো নাচোস খাবার টি ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার ইচ্ছা আছে আবার কখনো কুষ্টিয়াতে গেলে এই খাবারটি আবারও খাওয়ার। এক কথায় এই খাবারটি টেস্ট এখনো আমার মুখের সাথে লেগে রয়েছে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩রা জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

নাচোস আমার খুব খুব পছন্দের খাবার এবং আমার ছেলেরও। কিছুদিন আগে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছি।বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন রেস্টুরেন্টে। সেই সাথে মজাদার নাচোস খেয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

বাহ্ আপু আপনি আর আপনার ছেলে দুজনেই এই নাচোস খাবারটি অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে স্টুডেন্ট লাইফ। স্টুডেন্ট লাইফে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আপনি কুষ্টিয়া শহরে দীর্ঘ পাঁচ বছর অতিবাহিত করেছেন। সেখানকার প্রতিটি বিষয়ে আপনার কাছে অনেক বেশি প্রিয় হবে। আপনি বেশ মজার খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের সাথে অনুভূতি শেয়ার করলেন। নাচোস এর ফটোগ্রাফি দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না।

হ্যাঁ আপু স্টুডেন্ট লাইফ সবথেকে মজাদার হয়। নাচোসটা খাইতে বেশ দারুন ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile