হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ শে জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- ঢাকা থেকে বান্দরবান পৌঁছালাম।
ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমরা রাত এগারোটার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য খুলনা এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠি। আমরা ট্রেনে যাওয়ার সময় রাতে বেশ ভালই মজা করি সবাই মিলে। ট্রেনের ভেতরে গানের আয়োজন তারপরে মধ্যরাতে খাওয়া দাওয়া সবকিছুই ছিল অসাধারণ। তারপর খুব সকালে আমরা চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।
যেহেতু আমরা বান্দরবান যাব তাই চট্টগ্রামে নেমে এখান থেকে বাসে করে যেতে হবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে নামার পরে সবাই মিলে একটা গান ধরি সেটা হচ্ছে "তুমি কার পোষা পাখি কাজল বরন আঁখি রক্ত জবার মতো তোমার মুখ, আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ ! সবাই মিলে একসাথে গান গাইতে ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক আমরা চট্টগ্রাম স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সকালে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে চট্টগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান এর উদ্দেশ্যে বাসে যাওয়াটা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লেগেছিল। কারণ আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে বাস গেলে মাথার ভিতরে ভীষণ ঘুরে। এইজন্য আমি বাইকে ট্রাভেল সবথেকে বেশি পছন্দ করি। আমরা মোটামুটি সকাল পৌনে নয়টার দিকে বান্দরবান মেইন শহরে পৌঁছায়। তারপর বান্দরবানের হোটেল হিলটনে থাকার ব্যবস্থা করি।
আমরা হোটেল হিলটনে থাকার জন্য পরের দিন সকাল পর্যন্ত রুম বুকিং করি। এক বছর আগে গিয়েছিলাম তাই হোটেল ভাড়া করতে কত টাকা নিয়েছিল সেটা এখন আর মনে পড়ছে না। যাইহোক হোটেলে গিয়ে আমরা কিছু সময় রেস্ট করি তারপর সকালের খাবার খাওয়ার জন্য কলাপাতা রেস্টুরেন্ট যাই।
বান্দরবান শহরের ভেতরে যেসব রেস্টুরেন্ট গুলো ছিল সেগুলোর ভিতরে এই রেস্টুরেন্টটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ অন্যান্য রেস্টুরেন্টর এর খাবার খুবই বাজে। এই রেস্টুরেন্টে সকালের খাবার আমরা বেশ ভালোই খেয়েছিলাম। ট্যুরে গিয়ে একসাথে সবাই মিলে বসে খাওয়ার সত্যিই মজাই আলাদা।
আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চাঁদের গাড়ি ভাড়া করার জন্য বের হলাম। এখন আমরা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, রূপসী ঝর্ণা এবং নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করবো।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা থেকে বান্দরবান পৌছানোর পর সবাই ফ্রেশ হয়ে এই হোটেলে এসে খাওয়া দাওয়া। সেই কথাটি ছবিগুলো দেখে মনে পড়ে গেল। বান্দরবান হোটেলের খাবার তেমন একটা ভালো না একদম বাজে। যাইহোক, অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তুমি তো এই পোষ্টের মাধ্যমে মধুর স্মৃতিগুলো আবার মনে করিয়ে দিলে। আসলেই সবাই মিলে গান ধরেছিলাম তুমি কার পোষা পাখি এবার ট্যুরে ঠিক একই রকম মজা হবে আশা করছি যাইহোক পুরনো স্মৃতিগুলো আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit