হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১৩ ই ডিসেম্বর, মঙ্গলবার , ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার ব্লগটি হলো আমাদের ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিন "ক্যাফেটেরিয়া -৭১" থেকে দুপুরের লাঞ্চ করেছিলাম সেটাই শেয়ার করব আপনাদের কাছে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করেছি।
আমাদের ইউনিভার্সিটিতে যেদিন প্রথম ক্লাস করতে গিয়েছিলাম সেদিনই "ক্যাফেটেরিয়া-৭১" নামটা দেখে একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম। আসলে বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে "ক্যাফেটেরিয়া- ৭১" আসলে নামটা কিসের। যাইহোক ক্লাস করতে গিয়েছি যতক্ষণ তাই "ক্যাপেটেরিয়া -৭১" নিয়ে এত ভাবলে চলবে না, দূর হতে এক পলক দেখেই তাই সোজা ক্লাসে চলে গেলাম। তিনটা ক্লাস হওয়ার পরে দুপুর হয়ে গেল তখন লাঞ্চের ব্রেক দিল। সেদিন সকালে বাসা থেকে খেয়ে বের হতে পেরে ছিলাম না, তাই দুপুরের ক্ষুধা ও বেশ লেগে গিয়েছিল। সবাই ক্লাস শেষ করে ক্লাস রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, তো তখন আমিও বের হয়ে আসলাম। বাইরে এসেই দেখি সবাই "ক্যাফেটেরিয়া-৭১" এর ভিতরে যাচ্ছে। আমাদের ক্লাস পাঁচ তলায় হয় আর "ক্যাটোরিয়া-৭১" ও পাঁচ তালায়। তখন বুঝলাম হয়তো এটা ইউনিভার্সিটি ক্যান্টিন। তারপর আমিও ভেতরের গেলাম। কি অদ্ভুত একটা নাম "ক্যাফেটেরিয়া-৭১" তবে নামটা আমার কাছে বেশ জোস লেগেছিল যখন থেকে দেখেছিলাম।
ভিতরে গিয়ে প্রথমে বসে খাবার মেনু গুলো দেখে নিলাম কি কি খাবার পাওয়া যায়। খাবার মেনুতে দেখলাম মোটামুটি খুব একটা বেশি কিছু নেই তবে যেটা আছে বেশ ভালই আছে চলে যাবে।
তারপর আমি খাবার মেনু থেকে ডিম খিচুড়ি সিলেক্ট করলাম। আর ডিম কি শরীর দামও দেখলাম মেনুতে বেশি দেওয়া নেই ৬০ টাকা। কারণ খুবই ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল আর যেসব খাবার ছিল খুব একটা ভারি খাবার না, কমলার জুস, চা,কফি, সবজি রোল, সিঙ্গারা, প্যাটিস আর কি কি যেন ভালো মনে নেই। যাইহোক ডিম খিচুড়িটা সামনে দিয়ে গেল ক্ষুধা হলে কি গিয়েছিল খাবার শুরু খাওয়া শুরু করে দিলাম।
তবে খাওয়ার আগে কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম। ছবি কয়টা তোলার পরেই খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিলাম কারণ ক্ষুধা প্রচুর পরিমাণে লেগে গিয়েছিল। আর খিচুড়ি আমার কাছে খুবই ফেভারিট একটা খাবার। আমি বাসায় ও প্রচুর পরিমাণে খিচুড়ি খাবারটা খেয়ে থাকি। ক্যান্টিন থেকে দেখলাম খিচুড়ির সাথে সিদ্ধ ডিম, শসা, লেবু আর একটু ডাল দিয়েছে সব মিলায়ে খাবারটা বেশ ভালই লাগলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পেমেন্ট করে বের হয়ে আবার ক্লাসে চলে আসলাম। তবে খাবারটা যেমনই হোক না কেন নামটা আমার কাছে জোস লেগেছে ক্যাফেটেরিয়া -৭১।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | গাবতলী,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon