হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ শে জুন, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের সাথে যে, পোস্ট শেয়ার করব সেটা হচ্ছে সরস্বতী পুজো সম্পর্কিত। আমাদের সনাতন ধর্মীয় পুজো পার্বণ নিয়ে আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এ বছরের সরস্বতী পুজোতে অবশ্য আমি ঢাকাতেই ছিলাম কারণ আমার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। আর এই কারণে আমি আমাদের ইউনিভার্সিটির আয়োজিত সরস্বতী পুজোতে যুক্ত হয়েছিলাম। যদিও গ্রামের পুজোতে না আসতে পেরে মনটা ভীষণ খারাপ ছিলো তারপরেও বাস্তবতা মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আমি পরপরটা টানা সাত বছর ধরে আমাদের গ্রামের সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব নিজে কাধে নিয়ে করে থাকি আর আর হঠাৎ করে এবছর গ্রামের পুজোতে না থাকতে পেরে মনটা ভীষণ ছিলো। যেকোনো দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে আর ধর্মীয় দায়িত্ব গুলো পালন করতে একটু বেশিই ভালো লাগে। যাইহোক এবারে আমাদের ইউনিভার্সিটিতে "শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজা-২০২৪"- শেষ পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমাদের ইউনিভার্সিটির পূজা মন্ডপের সবার সাথে পূজার আয়োজন এর কাজ করতে পেরে মনের ভেতরে বেশ ভালো লাগছিলো। কারণ এই কাজটি আমি প্রতিবছর আমাদের গ্রামের পূজায় করে থাকি। শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজার আয়োজন যারা করেন তারাই জানে কতটা কষ্ট করে সব কিছু ম্যানেজ করতে হয়। তবে এসব ধর্মীয় কাজের ভেতরে আনন্দ নিহিত থাকে। আমরা পূজা সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরেই পুরোহিত পূজা আরম্ভ করলো।
আমাদের ইউনিভার্সিটিতে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজায় যে, এত ভক্তবৃন্দ হবে আমি সেটা কখনোই কল্পনা করিনি। আর আমাদের ইউনিভার্সিটিতে যে, এতো সনাতন ধর্মাবলম্বী আছে সেটা শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজায় না আসলে তা অবশ্যই কখনো জানতাম না। শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজার ভিতর ইউনিভারসিটির সকল সনাতন বিদ্যার্থীরা একত্রিত হতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। আমরা সবাই মিলে মন রূপের সামনে বসে বসে পুরোহিত মশায়ের পূজা করা দেখছিলাম। তারপর এক দাদা এসে সবার কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে গেলো।
শ্রীশ্রী মাতা সরস্বতী পূজার অঞ্জলি দেয়ার জন্য সারাদিন উপবাস ছিলাম। আমার কাছে প্রতিবছর শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজার দিনে সবথেকে বেশি সুন্দর সময় অনুভূত হয় যখন শ্রী শ্রী সরস্বতী মাতার চরণে ফুল নিবেদন করার সময় আসে অর্থাৎ অঞ্জলি দেয়ার সময় হয়। প্রতিবছর গ্রামের মন্দিরে সব ছেলেপেলে একত্রিত হয়ে অঞ্জলি দিতাম তখন অনেক ভালো লাগতো।
এবারে পুজোর অঞ্জলি দেয়ার সময় গ্রামের সুন্দর মুহূর্তটা মনে পড়ে একটু খারাপ লেগেছিলো পরেও ইউনিভার্সিটিতে অনেক সনাতন বিদ্যার্থীরা একত্রে অঞ্জলি দিতে পেরে ভালোও লেগেছিলো। আমার জীবনের প্রথম গ্রামের বাড়ির সরস্বতী পূজা কাটাচ্ছিলাম তাই মনের ভিতর একটু কেমন কেমন লাগছিলো। যাইহোক ভবিষ্যতে হয়তো এমন দিন আবারো আসবে যখন গ্রামের বাইরে পূজা কাটাতে হবে। মানুষ হিসাবে আমাদের সব রকম পরিস্থিতি আর বাস্তবতা মেনে নিতে হয়। আর জীবন বয়ে চলে জীবনের গতিতে।
আমি আর আমার বন্ধু শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পুজোয় অঞ্জলি দেয়ার পরে আমাদের ইউনিভার্সিটি বিল্ডিং এর দ্বিতীয় ফ্লোরে গেলাম। যখন মন্দিরের নিচের ফ্লোরে বসে পুজো দেখছিলাম সে সময়টাতেই মনে ইচ্ছা জেগেছিলো উপরে গিয়ে পূজা দেখার জন্য। তাই যখন পুরোহিত মশাই যোগব্য আরম্ভ করলো তখন আমি আর আমার বন্ধু উপরের ফ্লোরে গিয়ে পুরোহিতের যজ্ঞ করা দেখলাম। তারপর বেশ কিছু সময় শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করার পরে পূজা সমাপ্ত হলো।
তারপর শুরু হলো পূজার দ্বিতীয় সেগমেন্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমেই সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করলো। তারপর আরেক দাদা শ্রদ্ধেয় রজনীকান্ত স্যারের "তুমি নির্মল করো, মঙ্গল করো, এই গানটি গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এতো সুন্দর গান শুনতে পাবো সত্যিই কখনোই কল্পনা করেছিলাম না। তারপর আরেক দাদা অনেক সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়।
তারপর অনুষ্ঠানে শেষে আমাদের ইউনিভার্সিটির অজয় স্যারের লেখা একটি বই শ্রদ্ধেয় ভাই চ্যান্সেলর স্যারকে উপহার দেয়। এত কিছুর মাধ্যমে এই সমাপ্ত হয় আমাদের ইউনিভার্সিটি শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান। তারপর আমাদের ইউনিভার্সিটি নির্ধারিত স্থান থেকে পূজোর প্রসাদ গ্রহণ করে বাসায় ফিরে আসি। যাইহোক এবারে আমাদের ইউনিভার্সিটির অনেক জাঁকজমকপূর্ণ শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit