"লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান- শেষ পর্ব"

in hive-129948 •  2 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৮ শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো


1000147421.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি গত বছরে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব‌ও ৪র্থ পর্ব, সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক- ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব, সুনামগঞ্জের লাকমাছড়ার পথে ও "সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-১ম পর্ব, ২য় পর্ব, শেষ পর্ব, "সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শুরু" ও টাঙ্গুয়ার হাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য, টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টায়ারের উদ্দেশ্যে, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে-১ পর্ব, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটে পৌঁছালাম, "ডিঙি নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে", রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের সৌন্দর্য, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের গহীনে মায়াবী সৌন্দর্য, "রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করলাম", সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে পৌঁছালাম", সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র স্নানের প্রস্তুতি, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের স্নানের আনন্দ ও সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করে নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে, সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করলাম, "সিলেট হাইটেক পার্কে রাত্রিযাপন", সিলেটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা, সিলেটের বিছনাকান্দির পথে, সিলেটের অপরূপ সৌন্দর্য , সিলেটের মায়াবী দৃশ্য, হৃদয়ের শান্তি সবুজ প্রকৃতি, সিলেটের বিছনাকান্দি পৌঁছালাম, সিলেটের বিছনাকান্দির পর্যটন কেন্দ্রে", সিলেটের বিছনাকান্দি ভ্রমণ শেষ করলাম", বিছনাকান্দি থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা, বিছনাকান্দি থেকে জাফলং যাত্রার- ২য় পর্ব, সিলেটের জাফলং পৌঁছালাম, সিলেটের জাফলং ভ্রমণ, হযরত শাহজালাল রঃ মাজার শরীফ ভ্রমণ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষ করে পিসিমনির বাসায় এসে দুই দিন রেস্ট নিয়ে আবার রাতারগুল ও সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র দেখার জন্য ও ভ্রমণ করেছিলাম। তারপর পিসিমনির বাসায় এসে আরও দুইদিন রেস্ট নিয়ে আমরা শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে বের হয়েছিলাম আপনাদের সাথে "শ্রীমঙ্গলের চা বাগান ও রাবার বাগানের পথে", শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড়ের পথে, লাল পাহাড়ের চূড়ায় বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির দর্শন, "শ্রীমঙ্গলের লাল পাহাড়ে চা-বাগানের সৌন্দর্য", শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা, "লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান- ১ ম পর্ব, ২ য় পর্ব ও ৩য় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি "লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান- শেষ পর্ব" শেয়ার করবো।

20230905_114119.jpg

আমরা খাসিয়া পুঞ্জির ফুল বাগানে কিছু সময় ঘোরাফেরা করেছিলাম। এই জায়গাটি এতই সুন্দর ছিল যে, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। খাসিয়া পুঞ্জির ফুলবাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল ছিল আর সেসব ফুল ভ্রমর এবং প্রজাপতি এসে মধু আহরণ করছিল। ফুলের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে।

20230905_120439.jpg

খাসিয়া পুঞ্জিতে ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা আবার সেখান থেকে ব্যাক করলাম। লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে যেগুলো বেশির ভাগই অচেনা। তবে কিছু কিছু গাছে সাইনবোর্ড টানানো আছে নাম সহ। আপনারা অনেকেই হয়তো নটকন ফলের নাম শুনেছেন ও এই ফল খেয়ে থাকবেন। এখান থেকে অনেক বড় একটি নটকন ফলের গাছ দেখেছিলাম তাই ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম।

20230905_120357.jpg

লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে এমন কিছু কিছু জায়গা আছে সেসব জায়গাগুলোতে মাটিতে রোদের আলো পর্যন্ত পড়ে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল গুলোর ভেতরে লাউয়াছড়া উদ্যান অন্যতম। আর জানা মতে এই উদ্যানেই সব থেকে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। তাহলে ভাবুন বৃষ্টিপাতের জন্য গাছপালা কতটা জরুরী।

20230905_112814.jpg

আমাদের এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জিনিসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদি গাছ না থাকতো তাহলে আমরা অক্সিজেন পেতাম না। আবার গা যেহেতু কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে তাই আমরা মানুষ না থাকলে হয়তো গাছের অস্তিত্ব থাকত না। এখানেই বোঝা যায় সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা সুন্দর। আমার ফটোগ্রাফিতে যে, কাজটি দেখতে পাচ্ছেন এটা সেগুন গাছ।

20230905_120604.jpg

আমরা হাসিয়া পুঞ্জি থেকে আসার সময়ে কিছু দূর পর্যন্ত যে পথে গিয়েছিলাম সেই পথে এসেছিলাম। তারপর বন্ধু রাহুলকে বললাম যে, এবার পথ পরিবর্তন করে অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে, প্রচন্ড ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একটু হাটাহাটি করা। অচেনা পথে হাঁটছিলাম বেশ ভালই লাগছিল তবে আমরা যে পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম চিহ্ন করে রেখে যাচ্ছিলাম যাতে কোন পথ খুঁজে না পেলে ব্যাক করে আমরা চেনা পথে যেতে পারি।

20230905_120905.jpg

লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে বেশির ভাগ জায়গাগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো আছে যেগুলো দেখলে ট্রাভেলারদের জন্য ঝুঁকি একটু কম হয়। কারণ কিছু অঞ্চলের সাপের উৎপাত বেশি আবার কিছু অঞ্চলের উৎপাত বেশি। আমরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখি রেল লাইনের উপরে চলে এসেছি তবে ক্রসিং দিয়ে আমরা আমরা পার করেছিলাম সেই জায়গা নয়।

20230905_123925.jpg

তারপর কয়েক মিনিট রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে যেখানে ক্রসিং লাইন এবং রেলগেট আছে সে জায়গা চলে আসলাম। অনেক সুন্দর একটি অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ করতে পেরে মনের ভেতর ভালোই লাগছিল। আমার ইচ্ছা ছিলো আরো অধিক সময় জঙ্গলের ভেতরে ঘুরে বেড়ানো কিন্তু আমাদের সময়ের স্বল্পতার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। আমাদের লাউয়াছড়া উদ্যানে ভ্রমণটা অনেক সুন্দর ছিলো।

আমি মোট চারটি পর্বে লাউয়াছড়া উদ্যানের ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি আশা করছি প্রত্যেকটা পর্ব আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।



ছবির বিবরণ


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000147562.jpg1000147564.jpg1000147563.jpg1000147565.jpg

image.png

আপনার এই উদ্যানে ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পর্ব আমি খেয়াল করলাম। আজকে লাস্ট পর্ব ছিল তাই একটু খারাপ লাগলো। কারণ আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়। আমি আপনাদের ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট গুলো খুবই পছন্দ করি।

আমার ভ্রমণ পোস্টগুলো আপনার অনেক বেশি পছন্দ হয় জেনে খুশি হলাম আপু। সত্যি বলতে ভ্রমণ পোস্টগুলো থেকে আমাদের দেশের অনেক না দেখা জিনিসও দেখা হয়ে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সত্যিই অনেক সুন্দর। আর অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দেখতে দেখতে শেষ পর্ব শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার ভ্রমণ পোস্ট।

হ্যাঁ আপু লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সত্যি অনেক সুন্দর। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।