হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা খাসিয়া পুঞ্জির ফুল বাগানে কিছু সময় ঘোরাফেরা করেছিলাম। এই জায়গাটি এতই সুন্দর ছিল যে, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। খাসিয়া পুঞ্জির ফুলবাগানে বিভিন্ন জাতের ফুল ছিল আর সেসব ফুল ভ্রমর এবং প্রজাপতি এসে মধু আহরণ করছিল। ফুলের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে।
খাসিয়া পুঞ্জিতে ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা আবার সেখান থেকে ব্যাক করলাম। লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে যেগুলো বেশির ভাগই অচেনা। তবে কিছু কিছু গাছে সাইনবোর্ড টানানো আছে নাম সহ। আপনারা অনেকেই হয়তো নটকন ফলের নাম শুনেছেন ও এই ফল খেয়ে থাকবেন। এখান থেকে অনেক বড় একটি নটকন ফলের গাছ দেখেছিলাম তাই ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম।
লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে এমন কিছু কিছু জায়গা আছে সেসব জায়গাগুলোতে মাটিতে রোদের আলো পর্যন্ত পড়ে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চল গুলোর ভেতরে লাউয়াছড়া উদ্যান অন্যতম। আর জানা মতে এই উদ্যানেই সব থেকে বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। তাহলে ভাবুন বৃষ্টিপাতের জন্য গাছপালা কতটা জরুরী।
আমাদের এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জিনিসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদি গাছ না থাকতো তাহলে আমরা অক্সিজেন পেতাম না। আবার গা যেহেতু কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে তাই আমরা মানুষ না থাকলে হয়তো গাছের অস্তিত্ব থাকত না। এখানেই বোঝা যায় সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা সুন্দর। আমার ফটোগ্রাফিতে যে, কাজটি দেখতে পাচ্ছেন এটা সেগুন গাছ।
আমরা হাসিয়া পুঞ্জি থেকে আসার সময়ে কিছু দূর পর্যন্ত যে পথে গিয়েছিলাম সেই পথে এসেছিলাম। তারপর বন্ধু রাহুলকে বললাম যে, এবার পথ পরিবর্তন করে অন্য পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে, প্রচন্ড ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একটু হাটাহাটি করা। অচেনা পথে হাঁটছিলাম বেশ ভালই লাগছিল তবে আমরা যে পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম চিহ্ন করে রেখে যাচ্ছিলাম যাতে কোন পথ খুঁজে না পেলে ব্যাক করে আমরা চেনা পথে যেতে পারি।
লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে বেশির ভাগ জায়গাগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো আছে যেগুলো দেখলে ট্রাভেলারদের জন্য ঝুঁকি একটু কম হয়। কারণ কিছু অঞ্চলের সাপের উৎপাত বেশি আবার কিছু অঞ্চলের উৎপাত বেশি। আমরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখি রেল লাইনের উপরে চলে এসেছি তবে ক্রসিং দিয়ে আমরা আমরা পার করেছিলাম সেই জায়গা নয়।
তারপর কয়েক মিনিট রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে যেখানে ক্রসিং লাইন এবং রেলগেট আছে সে জায়গা চলে আসলাম। অনেক সুন্দর একটি অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ করতে পেরে মনের ভেতর ভালোই লাগছিল। আমার ইচ্ছা ছিলো আরো অধিক সময় জঙ্গলের ভেতরে ঘুরে বেড়ানো কিন্তু আমাদের সময়ের স্বল্পতার কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। আমাদের লাউয়াছড়া উদ্যানে ভ্রমণটা অনেক সুন্দর ছিলো।
আমি মোট চারটি পর্বে লাউয়াছড়া উদ্যানের ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি আশা করছি প্রত্যেকটা পর্ব আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
ছবির বিবরণ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এই উদ্যানে ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পর্ব আমি খেয়াল করলাম। আজকে লাস্ট পর্ব ছিল তাই একটু খারাপ লাগলো। কারণ আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়। আমি আপনাদের ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট গুলো খুবই পছন্দ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার ভ্রমণ পোস্টগুলো আপনার অনেক বেশি পছন্দ হয় জেনে খুশি হলাম আপু। সত্যি বলতে ভ্রমণ পোস্টগুলো থেকে আমাদের দেশের অনেক না দেখা জিনিসও দেখা হয়ে যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সত্যিই অনেক সুন্দর। আর অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দেখতে দেখতে শেষ পর্ব শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার ভ্রমণ পোস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সত্যি অনেক সুন্দর। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit