হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই এপ্রিল, শনিবার,২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে শ্রী শ্রী মা দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা। আজকে আমি আপনাদের সাথে শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিক্রমনের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো। শ্রী শ্রী মা দুর্গাপূজা দেখতে ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক পছন্দ করি। আমি যখন ছোট ছিলাম মা-বাবা, দাদু-ঠাকুমা এদের হাত ধরে শ্রী শ্রী মা দুর্গাপূজার সময় বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পূজা দেখতাম। তারপর একটু বড় হলে বাইসাইকেলে করে বন্ধুদের সাথে শ্রী শ্রী মা দুর্গা পূজার এই চারটি দিনে পুজো দেখার পাল্লা দিতাম। আমার শৈশবের শ্রী শ্রী মা দুর্গা পূজার সময়টা সত্যি অনেক মধুর ছিলো। আজকে আমি "শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিক্রমণ-২৬ তম পর্ব" আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তু তে ৷৷
প্রতিবছর শরৎকালের আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, দুর্গাসপ্তমী,মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় "দেবীপক্ষ"। শারদীয়া দুর্গাপূজাকে "অকালবোধন" বলা হয়।
"শ্রী শ্রী মা দুর্গার আগমন ঘোটকে, যার অর্থ ছত্রভঙ্গ"
"শ্রী শ্রী মা দুর্গার গমন ঘোটকে, যার অর্থ ছত্রভঙ্গ"
এই বছর শ্রী শ্রী মা দুর্গার আগমন ও গমন দুটোই ঘোটকে। এটা আমাদের সবার জন্য অশুভ ইঙ্গিত। আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে সপ্তমীতে দেবী দুর্গার আগমন এবং দশমিতে গমন হয়। আরও বলা আছে, কোনও বছর দেবীর আগমন ও গমন একই বাহনে হলে তা অত্যন্ত অশুভ।
বর্তমানে তো দেখতেই পাচ্ছেন বিশ্ব রাজনীতির প্রবল আগ্রাসন এবং বিভিন্ন মহামারী ও যুদ্ধ লেগেই আছে। তাই বর্তমান বিশ্ব অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আমাদের সবার প্রার্থনা মা দুর্গা আমাদের এই সংকট থেকে উদ্ধার করুক। কারণ তিনিই আমাদের একমাত্র ভরসা মহাশক্তি মহামায়া।
কয়েকটি ফটোগ্রাফিকে একত্রিত করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
এই বছরের শারদীয়া দুর্গাপূজাতে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনরা মিলে আমরা বিজয়া দশমীর একদিন পরে রাজবাড়ী জেলার নলিয়া জামালপুর এ গিয়েছিলাম। এই জায়গাটিতে প্রতিবছর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গা উৎসব পালিত হয়। এবারে পুজার ভিতরে অবশ্য আমাদের বাড়ি থেকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে এই জায়গাটিতে পূজা দেখতে গিয়েছিল আমাদের পরিবারের লোকজন। আমাকেও এই জায়গাটিতে পূজা দেখতে যেতে বলেছিলো বাড়ি থেকে কিন্তু আমি পাড়ার ছেলেপেলেরা একসাথে যাবো বলে গিয়েছিলাম না। আমারা বিজয়া দশমীর একদিন পরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, রাজবাড়ী জেলার নলিয়া জামালপুরে শ্রীশ্রী দুর্গা পূজা দেখতে যাব। আমরা এর আগেও এক বছর নলিয়া জামালপুরে পিকআপ ভাড়া করে পূজা দেখতে গিয়েছিলাম ইয়াং জেনারেশনরা মিলে। তাই এই বছরেও সবাই মিলে একটি পিকআপ ভাড়া করেছিলাম নলিয়া জামালপুরে পূজা দেখতে যাওয়ার জন্য।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিটি শ্রী শ্রী অভয়চরণাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। তিনি ১৮৯৬ সালের ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। শ্রী শ্রী অভয়চরণাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ছিলেন স্বয়ং ভক্তিসিদ্ধান্ত স্বামী সরস্বতীর শিষ্য। স্বামী প্রভুপাদ সনাতন ধর্মের প্রসারের জন্য ইসকন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন একজন বৈষ্ণব ধর্ম গুরু। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে শ্রীমদ্ভগবতগীতা যথাযথ। স্বামী প্রভুপাদ ১৯৭৭ সালের ভারতের বৃন্দাবনে দেহ ত্যাগ করেন।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আবার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি হলো প্যান্ডেলের ভেতরে লাইটিংয়ের। রাজবাড়ীর নলিয়া জামালপুরে বেশ বড় একটি জলাশয়ের উপর এই পুরো প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছিলো।এখানে বেশ দারুণ সাজসজ্জা করেছিল দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। এখানে আমরা সবাই মিলে বেশ দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আবার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি কুঞ্জবনের প্রবেশদ্বার। আমরা মেট্রোরেলের ভেতরে থাকা মহাপুরুষদের দেখে জলাশয়ের আর প্যান্ডেলের লাইটিংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে কুঞ্জবনের দিকে গিয়েছিলাম। গত বছরে তুলনায় এ বছরে ভক্তবৃন্দের সমাগম বেশি ছিলো। কারন আমরা প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে একদম হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম আর অনেক সময় লেগেছিলো।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফি টি শ্রী শ্রী রাধারানী ও সখীগণ। আমরা কুঞ্জবনে ঢুকে সেখানকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এত সুন্দর ঝলমলে লাইটিং করেছিল যে, বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। শ্রী শ্রী রাধারানী ও তার সখীগণের যমুনাতে জল আনতে যাওয়ার দৃশ্য।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিটি শ্রীকৃষ্ণের। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাঁশি বাজাতে ভীষণ পছন্দ করতো। আমি শুনেছি যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন বাঁশি বাজাতো তখন বাশির সুর শুনে গাভীরা বেশি পরিমাণে দুগ্ধ প্রদান করতো। আর বৃন্দাবনের সবাই তার বাঁশির সুরে মাতোয়ারা হয়ে যেতো।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিটি স্নানের দৃশ্য। একটা সময় ছিলো যখন বৃন্দাবনের মহিলারা বস্ত্র পরিধান না করেই স্নান করতো। অর্থাৎ স্নান করার আগে পুকুর পাড়ে বস্ত্র খুলে রাখতো। তখনকার সময়ে বিষয়টা ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু। সে সময়ে মহিলাদের এমন অভ্যাস অনেকেই রোধ করার প্রচেষ্টা করেছে কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়েছিলো।
ডিভাইস: স্যামসং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন:নলিয়া জামালপুর,রাজবাড়ী
তারিখ:২৬শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ
আমার সপ্তম ফটোগ্রাফিটি স্নানরত ও মহিলাদের বস্ত্রহরণ। বৃন্দাবনে মহিলারা যখন নিজেদের পোশাক পুকুর পাড়ে খুলে রেখে স্নান করতে তখন বিষয়টা ভীষণ দৃষ্টিকটু থাকায় স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজে বস্ত্রহরণ করে একটি বৃক্ষের উপরে রেখে দিয়েছিলো। তারপর সেই মহিলারা স্বয়ং ভগবানের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চেয়ে বস্ত্র ফেরত নিয়েছিলো আর এটা শর্ত দিয়েছিলো যে, তারা কখনো বস্ত্র খুলে রেখে স্নান করবে না।
আজকে আমি "শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিক্রমণ-২৬ তম পর্ব" আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আবার অন্য একটি পোস্টে "শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিক্রমণ- ২৭ তম পর্ব" আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার "শারদীয়া দুর্গাপূজা পরিক্রমণ ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit