আতঙ্কের নাম ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা।

in hive-129948 •  20 days ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১ লা নভেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমি ঢাকা থেকে লেখাপড়া করি। প্রায় আড়াই বছর হলো ঢাকা শহরে এসেছি। আমি যখন থেকে ঢাকা শহরে এসেছি তখন থেকেই মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক এলাকায় থাকি। আমার ইউনিভারসিটি অবশ্য এখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে তারপরেও এ জায়গাটি আমার কাছে প্রথম থেকেই ভালো লেগেছিল তাই এখানেই আছি। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর অনেক বেশি আতঙ্কের নাম হয়ে গিয়েছে। এখন প্রতিদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ঢাকার মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন ক্রাইমের খবর পাওয়া যায়। ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন এত আতঙ্কের নাম সেইসব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

1000138708.jpg

Pixabay

বর্তমান সময়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা কিশোর গ্যাঙের জন্য ভীষণ নামকরা। আমি যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম তখন থেকে অবশ্য ঢাকার মোহাম্মদপুর সম্পর্কে হালকা পাতলা জানতাম। কারণ আমার মামা ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় থেকে এই লেখাপড়া করতো। কতমান সময়ের পত্রিকাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর নিয়ে ভালো কিছু থেকে খারাপ কিছুই বেশি দেখা যায়। এমন একটা দিন নেই যে, ঢাকার মোহাম্মদপুরে খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি হচ্ছে না।

এক কথায় ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার নাম ট্রেন্ড হয়ে গেছে। যারা ঢাকা শহরে থাকে তারা সবাই ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা সম্পর্কে অনেক বেশি অবগত। অনেক আগে থেকেই অবশ্য মোহাম্মদপুর এলাকা আতঙ্কের নাম ছিল কিন্তু বর্তমানে এই আতঙ্কটা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার কাছে মনে হয় মোহাম্মদপুর এলাকাতে যারা থাকে তারা কেউই বাইরে স্বাধীন বা নিরাপদ ভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। সবার মনে একই আতঙ্ক বাসা বেঁধে আছে।

কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটা ভিডিও দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মোহাম্মদপুরের একটা সুপার শপে কিশোর গ্যাঙের ছেলেপেলে দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে ডাকাতি করছে। এরকমটা আসলে সিনেমাতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে সবকিছুই স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিলো। তারপরে আরো বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখেছিলাম যে, কিশোর গ্যাঙের ছেলেপেলে দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে জন সম্মুখেই এলোপাথারই কোপাকুপি করছে।

এইসব ভিডিও গুলো দেখে এখন বাইরে যেতেই ভীষণ ভয় লাগে। এইবার ঢাকাতে আসার পরে বাসা থেকে বাইরে যাওয়াই অনেক কমিয়ে দিয়েছি। গত চারদিনে মাত্র চারবার বাইরে গিয়েছি। এক কথায় খুব প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে বের হতেই ভয় লাগছে। গত পরশুদিন রাত বারোটার পরে হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম যে, মোহাম্মদপুরের পুরো এলাকায় বাতাসে বারুদের গন্ধ। তারপর রুম থেকে বের হয়ে বেলকুনিতে এসে সত্যতা পেলাম।

তবে এই ঘটনাটা এখন পর্যন্ত অজানা রয়েছে কি কারনে বাতাসে এত পরিমাণে বারুদের গন্ধ ছিলো। কিছুক্ষণ পরেই ফেসবুকে দেখতে পেলাম যে, সেনাবাহিনীর অভিযানে মোহাম্মদপুর থেকে ১৪০ জনের মতো কিশোর গ্যাঙের ছেলেপেলেদের আটক করেছে। আর এই সব কিশোর গ্যাঙের ভেতরে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে বিভিন্ন কিশোর গ্যাঙের গ্রুপের বিভিন্ন মডেলের ট্যাটু থাকে। এসব গ্যাঙের উৎপাতে সেনাবাহিনী আবাসিক এলাকা গুলোর অলিতে গলিতে সবসময় টহল দিচ্ছে।



পোস্টের বিবরন

পোস্ট ধরনজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
তারিখ১লা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মোহাম্মদপুর এ কিশোর গ্যাং আগেও ছিলো তবে তাদের এমন ততৎপরতা ছিলো না যা বিগত ১৫ দিন ধরে চলে আসছিলো। আসলেই আতংক কাজ করতো বাহিরে বের হতে গেলে। সেরাতে বারুদের গন্ধ পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম বাসায় ই কিছুতে আগুন লাগলো কি না! পরে দেখি বাহিরেই ধোয়া ধোয়া। পরে তো জানা গেলো আসল কারণ। সাবধানে থাকবেনে।

আমি মোহাম্মদপুরের মতো কিশোর গ্যাঙের এতো তৎপরতা কখনো কোন জায়গায় দেখিনি। এরা যেসব কার্যকলাপ করে সিনেমাকেও হার মানাবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য কাজ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।

আপনাদের জন্য আতঙ্কিত অনুভব করছি। এখন পড়াশোনার প্রয়োজনে ঢাকাতে রয়েছেন আমি তো বলতে পারি না ঢাকা ছেড়ে চলে যান। তবে বর্তমানে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং আপনি যে পোস্টটি লিখেছেন এতে করে আতঙ্ক অনেক বেশি পরিমাণে হচ্ছে। একদম অন্য একটা দেশ থেকে আমি তো আপনাকে কোন ভাবেই সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিতে পারি না। তবে আপনার জন্য প্রার্থনা টুকু করতে পারি। সাবধানে থাকবেন ভাই।

অবশ্যই দিদি সব সময় চেষ্টা করি সাবধানে চলাফেরা করার। যদি লেখাপড়ার প্রয়োজন না থাকতো কখনোই ঢাকায় আসতাম না কারণ ঢাকা আমার কাছে একদম ভালো লাগে না। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ঢাকা মোহাম্মদপুর সত্যি বেশ আতঙ্কের জায়গা। প্রায়ই অনেকের মুখে শুনতাম এই জায়গা টা সম্পর্কে। কিন্তু এতো কিছু জানতাম যতটা একদিন স‍্যোসাল মিডিয়ায় দেখছি। রীতিমতো সেনাবাহিনী অভিযান চলছে। এগুলো দেখার পর এই জায়গাটার প্রতি আমার একটা ভয় তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাইহোক ভালো সাবধানে থাকবেন।

হ্যাঁ ভাই মোহাম্মদপুর জায়গাটা অনেক আতঙ্কের। তবে বর্তমানে আতঙ্কটা অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ওরে বাবা তাই নাকি? এটা তো জানা ছিল না। এই মোহাম্মদপুরে গিয়ে কত ঘোরাফেরা করেছি। আসলে সব জায়গায়ই এখন বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে ভাই। এসবের পিছনে তাই একটাই কারণ। বেকারত্ব। মানুষ যদি চাকরি না পায় তবে এইসব দুষ্কর্ম আরো বাড়বে। তবে মোহাম্মদপুর তো ঘন জনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। সেখানেও এমন সব কাজকর্ম হওয়া খুব দুর্ভাগ্যজনক।

হ্যাঁ দাদা মোহাম্মদপুর এখন অনেক আতঙ্কের একটি জায়গা। আপনি এটা সত্যি বলেছেন সব থেকে বড় কারণ বেকারত্ব। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।