হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩ ই এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা সিলেট বিভাগীয় শহরের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে সকালের নাস্তা করে আমাদের প্লানিং মতো বাইকের ফুয়েল লোড দিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফররেস্ট দেখার জন্য রওনা হলাম। তবে আমাদের প্রথম প্ল্যানিং ছিলঝ ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর দেখা। কিন্তু ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়াতে এই প্লানিংটি ক্যান্সেল করে আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাত্র ১৫ কিলোমিটার মতো দূরে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো এবং নামকরা চা বাগান সিলেটের বিভাগীয় শহরেই অবস্থিত মালোনিছড়া চা বাগান। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এ যেতে হলে সিলেট বিভাগীয় শহরের এই বিখ্যাত চা বাগানের ভেতরে রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এই চা বাগানের ভেতরে রাস্তা দিয়ে যেতে ভীষণ ভালো লাগছিল। যদিও আমি এর আগে আমার পিসিমণিদের সাথে এসে এই চা বাগানের ভেতরে ঢুকে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
সিলেট বিভাগীয় শহরের মালোনিছড়া চা বাগান পার দিয়ে রাস্তার মোড়ে পৌঁছায়। এখানে একটি রাস্তা চলে গেছে সিলেট সাদা পাথর ভোলাগঞ্জের দিকে আরেকটি রাস্তা গেছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের দিকে। এই জায়গাতে এসে আমরা রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছিলাম টের পাচ্ছিলাম না যে, কোন দিকে যাবো। কারন আমাদের গুগল ম্যাপেও আবোল তাবোল দেখাচ্ছিল। গুগল ম্যাপে সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে রাতারগুলের দূরত্ব দেখাচ্ছিল ৪০ কিলোমিটার মতো। তাই আমরা এই মোড়ে থেমে একজন চা বিক্রেতার কাছে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট যাওয়ার জন্য কোন রাস্তা ব্যবহার করবো সেটা জিজ্ঞাসা করলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
তারপর সেই চা বিক্রেতার দেখানো পথে আমরা রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টের উদ্দেশ্যে আবার রওনা শুরু করলাম। তারপর আমরা অবশ্য সরাসরি গুগল ম্যাপ এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে চলার পথে বিভিন্ন বাজার থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটের লোকেশন শুনে শুনে সামনের দিকে আগাতে থাকলাম। সিলেটের চলার পথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময়ই আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময়ে যেখানকার প্রকৃতি আমাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে আমরা সেখানেই দাঁড়িয়ে কিছু সময় সেখানকার প্রকৃতি উপভোগ করেছিলাম। গ্রামীণ আর পাহাড়ি প্রকৃতি দেখতে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আমাদের দিকে তো সবসময় গ্রামীণ প্রকৃতি দেখে থাকি কিন্তু সিলেটের পাহাড়ি প্রকৃতি দেখার মাঝে আলাদা সুখ খুঁজে পেয়েছিলাম।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
সিলেট বিভাগ বিভাগীয় শহর থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটা বেশ সুন্দর ছিলো তাই আমরা খুব তাড়াতাড়ি মোটামুটি সব মিলিয়ে আধা ঘন্টার ভিতরে সেখানে পৌঁছে যায়। যদিও পথিমধ্যে আমরা বিরতি দিয়েছিলাম কয়েকবার তাই সময় বেশি লেগেছিলো। এই মাজার ঘাটকে অনেকেই মটর ঘাটও বলে থাকে। এই নৌকা ঘাটের সাথেই একটি মাজার আরেকটি মন্দির রয়েছে। আর এখান থেকে সবাই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে নৌকাতে করে যাত্রা শুরু করে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটে পৌঁছানোর পরে বেশ কয়েকজন নৌকার মালিক এসে আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। আমরা প্রথমে তাদের কথাতে কান্না দিয়ে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে রেস্ট নিয়ে চা খেয়ে চায়ের দোকানদারের সাথে আমাদের ভ্রমণ বিষয়ক কিছু প্ল্যানিং শেয়ার করলাম। তারপর সেই চা দোকানদার এখানকার ভ্রমণ বিষয়ক অনেক তথ্যই আমাদেরকে জানালো। তারপর চায়ের দোকান থেকে এসে আমরা রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে যাওয়ার জন্য মাজার ঘাটে নৌকা মালিকদের সাথে নৌকা ভাড়ার বিষয়ে কথা বলতে থাকলাম।
আজকে এ পর্যন্তই রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ কাহিনী আবার অন্য একটি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সিলেট হলো প্রাকৃতিক ভূমি। এখানে গেলে সবার মন ভালো হয়ে যায়। ফটোগ্রাফিতে দেখলাম রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাঁটে যাওয়ার পথে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন মালোনিছড়া চা বাগানটা দেখলাম,দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit