হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ ই নভেম্বর, শনিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা যতই লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরের দিকে যাচ্ছিলাম ততই নির্জনতা উপভোগ করছিলাম। এইটা হচ্ছে লাউয়াছড়া বন গবেষণা কেন্দ্রের কার্যালয়। আমরা পথ দিয়ে হাটার মাঝেমধ্যে এরকম বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে দেখেছিলাম। আর এসব কার্যালয় গুলো লাউয়াছড়া উদ্যানের সংরক্ষণের জন্য এই তৈরি। সবুজ প্রকৃতির মাঝে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যেতে বেশ ভালোই লাগছিল।
আমরা বেশ কয়েক মিনিট হাটার পরে দেখতে পেলাম রেলপথ। এমন একটি জায়গায় যে, রেলপথ পাব সেটা সত্যিই কল্পনা করতে পারিনি। আমরা এখান থেকে জানতে পারলাম যে, এটা ঢাকা টু সিলেট রেলওয়ে। এখান থেকে একটা বিষয় দেখে অবাক হলাম যে, লাউয়াছড়া উদ্যানে অস্কারজয়ী হলিউড মুভির শুটিং স্পট। সেই ১৯৫৫ সালে এখানে "AROUND THE WORLD" অস্কারজয়ী মুভি শুটিং হয়েছিল।
যাইহোক অনেক সুন্দর একটি তথ্য জানতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিল। এখান থেকে বাংলাদেশের অনেক ছবির শুটিং করা হয়। এরকম একটি সুন্দর জায়গায় আসতে পেরে মনের ভিতর ভীষণ ভালো লেগেছিলো। এখানে রেল ক্রসিং এর পাশে অনেক সুন্দর একটি বসার জায়গা বানিয়েছে ব্যাঙের ছাতার আদলে। আমরা কিছুটা সময় এখানে বসিয়ে দুই বন্ধু গল্প করেছিলাম।
তারপর এখান থেকে রেললাইন পাড় দিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম। আমরা যেতে যেতে অনেক ধরনের ব্যানার সাইনবোর্ড দেখেছিলাম। এগুলো মূলত আমাদের মতো ট্রাভেলারদের জন্যই তথ্যমূলক সাইনবোর্ড। এই উদ্যানের ভেতরে অনেক কিছুই করা রেস্ট্রিক্টেড আছে যেগুলো এই তথ্যমূলক সাইনবোর্ড দেখলে বোঝা যায়। এই উদ্যানের কোন প্রাণীকে ভয় দেখানো যাবে না, কোন প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট করা যাবে না আরো অনেক ধরনের সাইনবোর্ড।
আমরা ইটের পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে উদ্যানের অনেকটা ভেতরে এসে ইটের পথ শেষ হয়ে গেল। তারপর আমরা মাটির পথ দিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকলাম। অতি বলতে দুই বন্ধু এক সাথে ছিলাম তবুও একটু কেমন কেমন লাগছিল। কারণ আমাদের সাথে কোন ধরনের গাইড ছিল না। এটা এমন একটি জায়গা যেখানে ফোনে নেটওয়ার্ক একদম বন্ধ থাকে। আমরা যদি হারিয়েও যাই এই তথ্যটাও দেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আর এই কারণে আমি বলবো যারা অনেক ভেতরে ঘুরে দেখবেন অবশ্যই গাইড নিয়ে দেখবেন। কারণ আমাদের মত রিক্স নেয়াটা সবার উচিত হবে না। আমি আর আমার বন্ধু অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাই আমরা গাইড বাদেই নিজেরাই ঘুরে ঘুরে বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। এই উদ্যানে অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে কিছু কিছু বিরল প্রজাতির গাছের সাথে সাইনবোর্ড দেওয়া রয়েছে গাছের নাম দিয়ে।
এই উদ্যানের ভিতরে আমাদের কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না। এখানে ঘুরতে ঘুরতে সামনে যা পাচ্ছিলাম তাই দেখছিলাম। লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতরে জনমানবহীন জায়গাগুলো অনেক থমথমে। আমরা লাউড়াছড়া উদ্যানের ভেতরে ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করার সময়ে বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে নির্মিত একটি ছোট সেতু পার হয়েছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে "লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের" ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ছবির বিবরণ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সিলেট
তারিখ: ৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit