"সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৭ম পর্ব"

in hive-129948 •  3 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১১ ই অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

1000129461.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি গত বছরে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম পর্ব, ২য় পর্ব, ৩য় পর্ব‌ও ৪র্থ পর্ব, সুনামগঞ্জের নীলাদ্রি লেক- ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব, সুনামগঞ্জের লাকমাছড়ার পথে ও "সুনামগঞ্জের লাকমাছড়া ভ্রমণ-১ম পর্ব, ২য় পর্ব, শেষ পর্ব, "সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শুরু" ও টাঙ্গুয়ার হাওর ও মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য, টাঙ্গুয়ার হাওরে ওয়াচ টায়ারের উদ্দেশ্যে, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে-১ পর্ব, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাজার ঘাটে পৌঁছালাম, "ডিঙি নৌকা নিয়ে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের উদ্দেশ্যে", রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের সৌন্দর্য, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের গহীনে মায়াবী সৌন্দর্য, "রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণ শেষ করলাম", সিলেট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরে পৌঁছালাম", সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র স্নানের প্রস্তুতি, সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের স্নানের আনন্দ ও সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করে নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে, সাদাপাথর ভ্রমণ শেষ করলাম, "সিলেট হাইটেক পার্কে রাত্রিযাপন", সিলেটের বিছনাকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা, সিলেটের বিছনাকান্দির পথে, সিলেটের অপরূপ সৌন্দর্য , সিলেটের মায়াবী দৃশ্য, হৃদয়ের শান্তি সবুজ প্রকৃতি, সিলেটের বিছনাকান্দি পৌঁছালাম, সিলেটের বিছনাকান্দির পর্যটন কেন্দ্রে", সিলেটের বিছনাকান্দি ভ্রমণ শেষ করলাম", বিছনাকান্দি থেকে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা, বিছনাকান্দি থেকে জাফলং যাত্রার- ২য় পর্ব, সিলেটের জাফলং পৌঁছালাম আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষ করে পিসিমনির বাসায় এসে দুই দিন রেস্ট নিয়ে আবার রাতারগুল ও সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র দেখার জন্য ও ভ্রমণ শুরু করেছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে "সিলেটের জাফলং ভ্রমণ- ৭ম পর্ব" শেয়ার করবো।

20230903_151739.jpg

আমরা মায়াবী ঝর্ণায় কোন মতো স্নান করা শেষ করে আমাদের লকারের কাছে ফিরে আসলাম। তারপর আমাদের জিনিসপত্র লকার থেকে নিয়ে প্রচন্ড রোদের ভিতর নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা চারজন মিলে একটি লকার নিয়েছিলাম ৫০ টাকা দিয়ে। আমরা যা জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা একটি লকারেই রেখেছিলাম।

20230903_154159.jpg

আমরা যদিও মায়াবী ঝর্নাতে তেমন একটা পানি পাইনি তবে এখানকার আশেপাশের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব কাছ থেকে পাহাড়ি স্পর্শ করে দেখার অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ। আমরা মায়াবী ঝর্ণা থেকেই মেঘালয় পাহাড়কে স্পর্শ করেছিলাম।

20230903_155238.jpg

ভ্রমণে বের হয়ে যখন হৃদয় পরিপূর্ণ তৃপ্তি লাভ করে তখন মনে হয় ভ্রমণ সার্থক হয়েছে। আমরা প্রচন্ড রোদের ভিতর হাঁটতে হাঁটতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও মায়াবী ঝর্ণা থেকে নৌকা ঘাটের দূরত্বটা বেশি না কিন্তু গরম বালির ভেতরে হাঁটা অনেক কষ্টের।

20230903_155103.jpg

আমরা ঘাটে আসার সময় অবশ্য এক জায়গা থেকে লেবুর শরবত খেয়েছিলাম। মাত্র ১০ টাকা গ্লাসে লেবুর শরবত খাইতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। কারণটা হচ্ছে প্রচন্ড রোদের ভিতর ডিহাইড্রেশন অনেক বেশি থাকে। আমরা জাফলং ভ্রমন করতে এসে সব থেকে বেশি খেয়েছিলাম লেবুর শরবত।

20230903_160028.jpg

আমার কাছে তো লেবুর শরবত খুব ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমের ভিতরে ঠান্ডা লেবুর শরবত খেলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। যাই হোক আমরা নৌকা ঘাটে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম। তারপর নৌকার সব যাত্রী চলে আসার পরে আমরা আবার জাফলং জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।

20230903_160104.jpg

জাফলং জিরো পয়েন্ট এবং মায়াবী ঝর্ণা খুব কাছাকাছি মোটামুটি এক কিলোমিটার মত দূর হবে। শুকনোর মৌসুমী অবশ্য জিরো পয়েন্ট থেকে মায়াবী ঝর্নায় হেঁটে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষার মৌসুমে নৌকা ছাড়া যাওয়া সম্ভব কারণ জলে পরিপূর্ণ থাকে। আমরা খুব অল্প সময়ের ভেতরেই জাফলং জিরো পয়েন্টে চলে আসি।

20230903_160214.jpg

জাফলং জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য কতটা সুন্দর এবং কতটা মনোমুগ্ধকর সেটা বিকাল বেলায় সব থেকে বেশি ভালো বোঝা যায়। আর আমরা যখন জাপলং জিরো পয়েন্টে এসেছিলাম তখন বিকাল ছিল।

আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।



ছবির বিবরণ


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেইম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জাফলং এর সৌন্দর্য গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্যগুলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ পোস্টের মাধ্যমে সিলেটের অনেকগুলো জায়গাই দেখা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ভ্রমণ পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।

জাফলং এর সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ জেনার ভালো লাগলো আপু। আগামীতে আরও সৌন্দর্য দেখতে পারবেন কয়েক দিনের ভেতরেই আবারো যাচ্ছি জাফলং। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

আমার খুব ইচ্ছা আমিও যাব জাফলং। আপনার এই পুরো ভ্রমণ আমাকে আসলে অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। অবশ্যই আমি সেখানে গিয়ে লেবুর শরবত খাবো। যেভাবে আপনি বিষয়টা বলছেন যে সবচেয়ে বেশি লেবুর শরবত খেয়েছেন, আমার মনে হচ্ছে সেখানকার লেবুর শরবতটা স্পেশাল কিছু একটা হবে।

যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে সময় বের করে এই জায়গাটিতে এসে ঘুরে যাবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে ভাই। এখানকার সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে যাওয়া লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।