হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৭ই মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমানে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পর বেশ ভালোই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। তবে আজকে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেব তাই মনটা ভীষণ খারাপ। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজেকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। গত বছরে ছোট ভাই অর্ঘ্যকে নিয়ে গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। এর আগে কখনো অবশ্য আমি এই গাজীপুর গিয়েছিলাম না এটাই আমার প্রথম গাজীপুর যাওয়া ছিলো। গাজীপুরের এই ইক্ষু গবেষণায় ইনস্টিটিউটে প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম আর সেই সুন্দর মুহূর্ত এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম। বাইরে প্রচন্ড রোধ থাকার কারণে দুপুরের দিকে বেশি ঘোরাঘুরি না করে বিমল দাদার কোয়ার্টার থেকে স্নান করে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আমি আর অডিও বিমল দাদাকে বললাম যে, আশেপাশে যদি কোন ভালো জায়গা থাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় জায়গা তাহলে সেখানে আমরা বিকালে ঘুরতে যাবো। তখন বিমল দাদা বলল যে, আশেপাশে দেখার মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আর পদ্মপুকুর আছে।
আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য বিকাল পর্যন্ত রুমের ভিতর অপেক্ষা করতে না পেরে বাইরে বের হয়ে আসলাম। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। সবুজ গাছপালাতে চারিপাশটা পরিপূর্ণ ছিলো। আমরা বাইরে বের হয়ে ইক্ষু গবেষণায় ইন্সটিউটের ভেতরে বিভিন্ন গাছপালা দেখতে থাকি। বিভিন্ন ফসল আর গাছপালা গুলো ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট সংরক্ষণ করে রেখেছে। আমরা বেশ কয়েক রকমের ড্রাগন গাছ দেখলাম। আর এখান থেকেই গবেষণা কার্য পরিচালনা করা হয়।
বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাগন চাষ প্রচুর পরিমাণে করা হচ্ছে। তবে কিছুদিন হলো আমাদের দেশের মানুষ ড্রাগন ফল খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। কারণ এই ফলে প্রচুর পরিমাণে টনিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। যেটা মানুষের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। একটু গবেষণা ইনস্টিটিউটে এসেছি আপনাকে আর হয়। আমরা যে, সময়ে গিয়েছিলাম আখগুলো বেশ ছোট ছোট ছিলো। বিভিন্ন জাতের ইক্ষুগুলো দেখতে ভীষণ দারুন লাগছিল। ইক্ষু এর প্রতিটি জাত আলাদা আলাদা নেমপ্লেট দিয়ে চিহ্নিত করা ছিলো
ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভেতরে আরো কিছু সময় ঘোরার পরে বিমল দাদা এসে বলবে যে, এখন প্রায় বিকাল হয়ে গিয়েছে চলো আমরা আশেপাশে ঘোরাফেরা করি। তারপর আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য বিমল দাদার সাথে করে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম। বিকালের আকাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর দেখা যায়। প্রতিটি দিনের বিকাল অনেক সুন্দর হয়।
আমরা ইক্ষু গবেষণার ইনস্টিটিউটের আশেপাশের জায়গাগুলোতে অনেক সময় ঘুরাঘুরি করলাম। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাদে দেখার মতো তেমন কিছুই ছিল না। তবে বিভিন্ন জাতের ফসল দেখা যাচ্ছিলো। বিশেষ করে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভেতরে বিভিন্ন জাতের ধান গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। এখানকার প্রতিটি ফসলের বেশ যত্ন করা হয় তাই ফসলগুলো একদম রোগ মুক্ত হয়। আর এখনকার সব ফসলেই ফলন বেশ ভালো হয়।
ইকু গবেষণায় ইন্সটিটিউট এর পাশে ঘোরাঘুরি করে আমরা আরেকটি সরকারি অফিস বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির সামনে গেলাম। আমি জানিনা বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কাজ কি! তবে এই নামটি আমি অনেকবার শুনেছি। আমি দেখলাম গাজীপুরে কৃষি বিষয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস রয়েছে। সরকারি এসব অফিসগুলো থাকলেও বর্তমানে কৃষকদের তেমন একটা মূল্যায়ন করা হয় না আমাদের এই দেশে। অন্যান্য দেশগুলোতে কৃষকদের অনেক মূল্যায়ন করা হয়। কারণ এই কৃষকদের কারণেই আমরা দুবেলা দুমুঠো খেতে পারি।
বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির এরিয়ার ভেতরে এ বড় টাওয়ারটি দেখলাম। আমি জানি না এটা কিসের তোমার তবে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। আমার তো এটা এই টাওয়ারটি দেখার পর ভীষণ কৌতুহল কাজ করছিল যে, এটা দিয়ে কি কাজ করা হয়! কিন্তু এই জায়গাতে শোনার মত তেমন কোন মানুষ না থাকায় বিষয়টা অজানায় থেকে গেছে। আমরা বেশ কিছু সময় বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ভেতরে ঘোরাঘুরি করে তারপর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট অফিসের দিকে রওনা দিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৪ ই এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গাজীপুরের ইক্ষু গবেষণার ইনস্টিটিউট ঘোরাঘুরি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পোস্টটি ভালো লেগেছে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে ইক্ষু গবেষণার ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসটি অনেক সুন্দর। আমার যাওয়া হয়নি কখনো। যে টুকু সময় ছিলেন, সে সময়টুকু আপনার ভাই সহ বেশ ভালই কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঝে ঘোরাঘুরির মুহুর্তটা অনেক সুন্দর কেটেছে ৷ ছোট ভাই অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ সেই ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের জায়গাটা বেশ বড় এরিয়া ৷ ভালো লাগলো পোষ্ট টি পড়ে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দাদা ইক্ষু গবেষণায় ইনস্টিটিউট এর মাঝে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit