বান্দরবান ভ্রমণ: মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাহাড়ি পেঁপে খেলাম।

in hive-129948 •  11 days ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১১ ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো


1000169559.jpg

কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ-



20240119_141553.jpg

আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের সুন্দর ঝুলন্ত ব্রিজ পার হওয়ার পরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলাম। অনেকগুলো ধাপের সিঁড়ি পার হয়ে উপরে উঠে বেশ ভালই লাগছিল কারণ উপরে পরিবেশটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। উপরে গোল করে অনেকটা জায়গা জুড়ে সমতলের উপর টাইলস করা ছিল এবং সেখানে বসার জায়গা ছিল।

20240119_141758.jpg

আর এই জায়গাটা চারপাশে ছিল বড় বড় গাছ। আমরা যেহেতু আজকে তিনটি স্থানে ভ্রমণ করব তাই এখানে বসে অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে পরিবেশটা যত তাড়াতাড়ি পারা যায় উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। যাইহোক আমরা এখান থেকে একটু হাঁটতে হাটতে সামনের দিকে যেতে থাকলাম। একটু সামনে যেতে চোখে পড়ল রাস্তার ধারে পাহাড়ি বর আর বউয়ের ভাস্কর্য তৈরি করা রয়েছে।

20240119_141716.jpg

তারপর আরেকটু আগাতেই দেখি আরো একটি ভাস্কর্য তৈরি করা রয়েছে। একটা পাহাড়ি ছেলে হরিণ কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে আর পাশে কুকুর রয়েছে। এই দুইটি সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য দেখে বেশ ভালই লাগলো। এসব ভাস্কর্য গুলো অনেক পুরনো সিমেন্ট বালি এবং রড দিয়ে তৈরি করা। আমরা যেহেতু দুপুরের দিকে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তাই তখন বেশ ভালই রোদ ছিল।

20240119_142027.jpg

শীতের দিন হলেও পাহাড়ে দুপুরে রোদের সময় হাঁটতেও অনেক পরিশ্রম হয়। কারণ পাহাড়ের উঁচু-নিচু পথে হাঁটা বেশ কষ্টের। আপনারা যারা পাহাড়ে ট্রাকিং করেছেন তারা হয়তো এ বিষয়ে আরো বেশি অবগত আছেন। আমাদের গ্রুপের সবারই পাহাড়ের ট্র্যাকিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এসব অভিজ্ঞতাগুলো অ্যাডভেঞ্চার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

20240119_141957.jpg

আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে পাহাড়ি পথে যাওয়ার সময় দেখতে পেলাম অজানা অচেনা একটি ফুলের গাছ। লাল রঙের এই ফুলগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল তাই তো ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আর এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমরা পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতে বেশ ভালই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম।

20240119_143211.jpg

তারপর একটু যেতেই দেখতে পেলাম পাহাড়িদের বেশ কয়েকটা দোকান রয়েছে। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে পাহাড়িদের এরকম দোকান পেয়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল। এসব দোকানগুলোতে পাহাড়ি ফল, চা, রুটি বিস্কিট এ ধরনের খাবার গুলো পাওয়া যায়। আমাদের গ্রুপের যে, ম্যানেজার ভাই ছিল সে আমাদের জন্য পাহাড়িদের কাছ থেকে পাহাড়ি পেঁপে কিনে কেটে খাওয়ালো।

20240119_142137.jpg

পাহাড়ি পেঁপে খাইতে সত্যিই অনেক সুন্দর স্বাদ। পাহাড়ি এসব খাবারগুলো অনেক বেশি অর্গানিক হয়। আমাদের এদিকে সবকিছুই সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। আর পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে এই সবকিছু হয়। এখনো মনে হয় পাহাড়ি পেঁপের স্বাদ মুখে লেগে আছে।

আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000170633.jpg1000170631.jpg1000170632.jpg

Congratulations, your post was upvoted by @supportive.

image.png

পাহাড়ি পেঁপের আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় কারণ পাহাড়ে পেঁপের মধ্যে কোন ভেজাল থাকে না। হ্যাঁ সেই সময় পাহাড়ি পাকা পেঁপে খেয়েছিলাম স্বাদটা এখনো মনে আছে বলা চলে। সুন্দর সময় নিয়ে আমাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু।

হ্যাঁ বন্ধু পাহাড়ি পেঁপের স্বাদ আলাদা। আমরা অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পাহাড়ি পেঁপে নয় পাহাড়ি সবকিছুই খেতে অনেক আলাদা স্বাদের লাগে। একটা কথা ঠিক লিখেছেন পাহাড়ে যেকোনো সময়ে হাঁটতে একটু কষ্ট হয়। কারণ পাহাড়ের চড়াই উৎরাই পথ সমতলের থেকে একটু কঠিন। সাথে যেহেতু পাহাড় তাই সমতলের থেকে উঁচু এবং নিঃশ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয়। আমরা আবার সমতলের মানুষ তো তাই। তবে শীতকালে পাহাড়ে হাঁটতে মজা লাগে কারণ রোদের তাপ একটু কম থাকে। গরমকালে হলে গরমে সূর্যের তাপে পুড়ে আরো কষ্ট হবে। বর্ষাকালে পাহাড়ে যাওয়া যায় না কারণ জঙ্গলের অনেক পোকামাকড় সাপোপ থাকে এছাড়াও পথ পিচ্ছিল হয়ে যায়। সবদিক থেকে শীতকালেই ভালো।

এটা সত্যি বলেছেন দিদি পাহাড়ি পেঁপে নয় পাহাড়ি সবকিছুই অনেক টেস্ট হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কিছুদিন আগে আমিও বান্দরবানে গিয়েছিলাম। আসলে বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি খুব দারুণ । আপনি মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাহাড়ি পেঁপে খেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। সেখানে আরো অন্যান্য অনেক রকমের ফল পাওয়া যায় ভাই। বেশ দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

আপনিও এর আগে বান্দরবান ভ্রমণ করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

গত বছর আপনারা বান্দরবান এবং কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলেন সেখানকার সুন্দর মুহূর্ত গুলো বেশ কয়েকটি পর্বে আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। পাহাড়ি পেঁপে খাওয়ার দারুন এখন অনুভূতি শেয়ার করলেন। পাহাড়ি সব জিনিস খেতে একটু অন্যরকম স্বাদের। পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে হাঁটা বেশ কষ্টকর বলে শুনেছি। পাহাড়ে কাটানো সুন্দর সময় আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।

হ্যাঁ পাহাড়ের রাস্তায় হাঁটা অনেক কষ্টকর। আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং পাহাড়ি পেঁপে খেয়েছিলাম। সবসময় সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

বান্দরবন ভ্রমণ করে বেশ সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন পাশাপাশি অনেক ভাস্কর্য দেখেছেন। এদিকে পেঁপে খেলার বিষয়টা সম্পর্কে তেমন কোন অবগত ছিলাম না। বেশ অনেক তথ্য শেয়ার করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ এনে দিয়েছেন আপনি। ভালো লাগলো ভাই আপনার চমৎকার এই পোস্ট দেখে।

হ্যাঁ ভাই বান্দরবান ভ্রমণ করে আমরা অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। সুন্দর মন্তব্য দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাই।

মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাহাড়ি পেঁপে খেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আর আপনি সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে আজকে শেয়ার করেছেন। ওখানকার অনেক সুন্দর সুন্দর দেখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে অনেক দারুন ছিল পুরো মুহূর্তটা। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।

আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে আমরা পাহাড়ি পেঁপে গিয়েছিলাম যেটা অনেক সুন্দর ছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।