হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ঠা জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলো গ্রামের বাড়িতে এসেছি এই গ্রামের বাড়িতে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে সবথেকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের পাড়ায় বেশ কয়েকটি মন্দির রয়েছে এর ভেতরে কয়েক মাস আগে আমাদের সরস্বতী মন্দির পুরনো হওয়ার কারণে ঝড়ে ভেঙে গিয়েছিলো। তারপরে আর এই মন্দিরটি মেরামত বা নতুন করে করা হয়নি। কিছুদিন পরেই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে আমাদের বিদ্যার দেবীর সরস্বতী দেবীর পূজা। আমরা ইয়াং জেনারেশন যেহেতু প্রতি বছর এই মন্দিরে সরস্বতী পূজা করে থাকি তাই এ মন্দিরটি করার উদ্যোগ নিয়েছি।
আমাদের সবার ইচ্ছা এই সরস্বতী মন্দির টি পাকা করে তৈরি করার। আমাদের এই সরস্বতী মন্দিরটি পুরো পাকা করে তৈরি করতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। আমি যেহেতু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বর্তমানে বিএসসি লেখাপড়া করছি তাই আমার ইচ্ছা আছে মন্দিরটি আমার প্লানিং মতো করার। আর আমাদের সরস্বতী মন্দিরের পাশেই শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মঠ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সরস্বতী মন্দির করার জন্য পাড়ার সবাই মিলে একটা মিটিং করেছিলাম কিন্তু মিটিংয়ে খুব একটা সাড়া পায়নি। কেউ কেউ বলছে আমাদের দুর্গা মন্দিরে সরস্বতী পুজো করলেই হবে আবার কেউ কেউ বলছে টিন দিয়ে করলে হবে।
কিন্তু আমাদের ইয়াং জেনারেশনের ইচ্ছা মন্দির করলে এক পুরোপুরি পাকা করে মন্দির করবো। আর এই মন্দির করার জন্য এর আগে আমরা একটি ফান্ড করেছিলাম প্রতি মাসে সবাই কিছু কিছু করে টাকা জমিয়েছিলাম কিন্তু বর্তমানে এই ফান্ড আর চালু নেই। কিন্তু এই ফান্ডে আমাদের বেশ কয়েক হাজার টাকা রয়েছে। আমার বাবা ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেকদিন যাবত যুক্ত আছে তাই তিনি আমাদেরকে বলল যে, যে টাকা আছে সে টাকা নিয়েই কাজ শুরু করো সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মন্দির হয়ে যাবে একসময়।
আমার বাবা ঠিক এমন ভাবেই ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের অনেকগুলো উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করেছে। আর আমি সব সময় আমার বাবার অনুপ্রেরণা নিয়েই যে, কোন কাজ করে থাকি। তবে আমাদেরই ইয়াং জেনারেশনের সবার ইচ্ছা আছে যে, এই সরস্বতী মন্দির টি করার সময় আমাদের পাড়ায় সবার চাঁদা ধরে অথবা কারো থেকে জোরপূর্বক টাকা নিয়ে মন্দির না করার ইচ্ছা। আমাদের মন্দির করার সময় যার ইচ্ছা হবে সে টাকা দেবে যার ইচ্ছা হবে সে টাকা দেবে না। যদি কেউ ইচ্ছা করে টাকা দেয় সেটা আমরা সাদরে গ্রহণ কররো।
আমারও ঠিক একই ইচ্ছা যে, টাকা আছে সে টাকা নিয়েই মন্দিরাকা শুরু করব সময়ের সাথে সাথে আস্তে আস্তে ইয়াং জেনারেশনরা মিলে একসময় সম্পূর্ণ করবো। আমাদের এই সরস্বতী মন্দিরটি করার পেছনে সবথেকে বড় সাপোর্ট দিয়ে চলছে আমাদেরই ইয়াং জেনারেশনের সদ্য পুলিশের চাকরি পাওয়া এসআই পঙ্কজ দাদা। আমাদের এই দাদার এসআই এর চাকরি আগেই তার ইচ্ছা ছিল যে, যদি এসআইয়ের চাকরি হয় তাহলে পুরো এক মাসের বেতন আমাদের সরস্বতী মন্দির করার সময় তিনি দেবেন।
আর আমাদের পাড়ায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মতো ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলে আছি আরো যেসব সরকারি চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ীরা রয়েছে তারা যদি কিছু পরিমাণ করে আমাদেরকে সাহায্য করে তাহলে আমরা মন্দিরটি অনেক সহজেই করে ফেলতে পারব। আমি আজ পর্যন্ত যে কয়টি ধর্মীয় কাজের সাথে যুক্ত হয়েছি প্রতিটি কাজ সফলভাবে শেষ করেছি আশা করি মন্দির করার এই কাজটিও সফলভাবে শেষ করতে পারবো।
আমি আশা করি খুব দ্রুতই আমাদের পাড়ার সরস্বতী মন্দিরটির কাজ আরম্ভ করবো। আমরা মোটামুটি কিছু টাকা অলরেডি জোগাড় করে ফেলেছি এই টাকা দিয়ে ইট,বালি,সিমেন্ট আরো মিস্ত্রির খরচ সহ অন্যান্য ব্যয় করা যাবে। আমাদের কাছে বর্তমানে যে, টাকা আছে সেই টাকা দিয়ে আমরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পরে ফ্লোর লেভেল পর্যন্ত মন্দিরের কাজ করতে পারবো। তারপরে আবার যখন আমাদের টাকা হবে আস্তে আস্তে মন্দিরটি সময়ের সাথে সাথে সম্পূর্ণ করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১লা জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit