"প্রাণের কুষ্টিয়া শহরে"

in hive-129948 •  last year 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৩রা নভেম্বর, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসেছি এখনো ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হয় নাই তাই ঢাকাতে যায়নি। আসলে ঢাকা শহর আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকতে আমি সব থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। তবে কুষ্টিয়া শহরটাকে আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি ভালোবাসি। আমি আমার প্রাণের ভালবাসার শহর মনে করি কুষ্টিয়া শহরকে। আজকে বেশ কিছু দরকারে কুষ্টিয়া শহরে এসেছিলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে বর্তমানে খুলনা টু ঢাকা পদ্মা সেতু দুটি ট্রেন চালু হয়েছে একটা হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস আরেকটা হলো সুন্দরবন এক্সপ্রেস। আজকে আমার পিসিমণিরা ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ স্টেশন হতে ঢাকাতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ওয়েতে উঠেছিলো। এই দুটি ট্রেনই আমাদের কুষ্টিয়া জেলা শহরের কোট স্টেশন ব্যতীত আর আমাদের জেলার কোথাও থামেনা। আমার পিসিমণিরা এবারে পূজায় ভারতে ছিলো তাই আমাদের বাড়িতে আসতে পারছিলো না। প্রতিবছর দুর্গাপূজাতে পিসিমনিদের বাসায় নাড়ু, খই চিড়া, গুড় অনেক কিছুই পাঠিয়ে দিই।

তাই এবারও সবকিছু নিয়ে পিসি মনিরা যেহেতু বেনাপোল এক্সপ্রেস করে কুষ্টিয়া হয়ে ঢাকাতে গিয়ে তারপর সিলেটে যাবে তাই আমি আর আমার কাকাতো ভাই কোন দুজন মিলে বাড়ি থেকে বাসে করে কুষ্টিয়াতে আসলাম। আমার কাকাতো ভাই কোন যদিও সিলেটে থাকে পিসিমণিদের বাসায় আর ওখানেই ব্যবসা করে আমার পিসেমশাইয়ের সাথে।

আমরা বিকাল চারটার ভেতরে কুষ্টিয়াতে চলে আসছিলাম আর যে সকল খাবার কুরিয়ারে সিলেটে পাঠাবো সেগুলো নিয়ে প্রথমেই কুষ্টিয়া সিঙ্গার মোড়ের এসএ পরিবহনে দিয়ে আবার কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে চলে আসি। কারণ এতো বেশি খাবার আইটেম ছিল যে, সেটা পিসিমণিরা বহন করে সিলেটে নিয়ে গেলে অনেক কষ্টকর হতো। কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে এসে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।

তারপর চিরচেনা কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে যাওয়ার পরে মনের ভিতর বেশ ভালো লাগা কাজ করছিলো। আসলে যখন কুষ্টিয়া তে থাকতাম তখন কুষ্টিয়ার প্রতিটি অলিগলি কতবার যে ঘুরেছি তার কোন হিসেব নেই। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কুষ্টিয়া ছোট্ট একটি শহর কিন্তু সবকিছু সাজানো গোছানো আর বেশ সুন্দর। আসলে কুষ্টিয়া শহরে আজ পর্যন্ত যারা যারা থেকেছে প্রতিটা লোকই এই শহরকে ভালোবেসে ফেলেছে।

আমি আর আমার কাকাতো ভাই কনক স্টেশনে গিয়ে একটি পরিচিত চায়ের দোকান থেকে চা খেলাম। আমি যখনই কুষ্টিয়া স্টেশনে আসি এই চায়ের দোকান থেকে বেশিরভাগ সময়ই চা খেয়ে থাকি । এই চায়ের দোকানের আঙ্কেল বেশ দারুন করে চা বানাই বিশেষ করে রং চা। কুষ্টিয়া কোট স্টেশনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঠিক পাঁচটার সময় এসে পৌঁছায়।

আমার পিসেমশাই আগেই ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা চ নম্বর বগিতে আছে। তাই আমরা ট্রেন স্টেশনে থামার সাথে সাথেই চ নম্বর বগীর সামনে হাজির হয়। তারপর আমার কাকাতো ভাই ট্রেনে উঠে যাওয়ার পরে আমি জানালা দিয়ে আমার পিসিমণি আর ছোট ভাইদের সাথে কিছু সময় কথোপকথন করি। আমার ছোট ভাই দীপ্ত বারবার বলতেছিল যে, দাদা তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন! তাড়াতাড়ি টেনে উঠো আমাদের সাথে সিলেট চলো।

তখন আমি ছোট ভাই দীপ্তকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য বললাম যে, আমি এখন যাবো না, তোমরা এখন যাও আমি পরবর্তীতে যাবো। তারপর ছোট ভাই দীপ্তর জল পিপাসা পেয়েছিলো তাই বাইরে থেকে আমি এক বোতল জল কিনে এনে দিলাম। সত্যি বলতে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর ভালবাসার এই মানুষগুলোকে স্টেশনে অনেক মিস করছিলাম। তারপর কুষ্টিয়াতে আমার আরেক পিসিমনির বাসায় চলে আসলাম এখানে আজকে থেকে কালকে বাড়িতে যাবো।



পোস্টের বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩রা নভেম্বর ২০২৩
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

দাদা আপনার মত আমার ও মনে হয় কুষ্টিয়া শহরটি বেশ দারুন একটি শহর। অনেক নাম শুনেছি এই শহরের। তবে ইচেছ আছে জীবনে একবার হলেও কুষ্টিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার। আর আপনার কাছে গল্প শুনে তো আপনাদের সেই চাচার হাতের বানানো চা বেশ খেতে ইচেছ হচ্ছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।

অবশ্যই আপু সময় হলে কুষ্টিয়া এসে ঘুরে যাবেন আশা করি ভালো লাগবে। অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

কিছুদিন আগে বেনাপোল এক্সপ্রেস এর চ বগিতেই আমি বাড়িতে ফিরেছি। কিন্তু এখন পযর্ন্ত কুষ্টিয়া যাওয়া হয়নি। আশাকরি আগামীকাল যেতে পারব। অনেক মিস করছি। আপনার পিসিরা বেশ ভালোভাবে পৌছে যাবে। উনারা তাহলে ভারতে ছিল।

এইটা আমাদের কুষ্টিয়া বাসীর জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি। যে বেনাপোল এক্সপ্রেস আমাদের এখানে থামবে।

Posted using SteemPro Mobile

বাহ্ আনিও বেনাপোল এক্সপ্রেসের চ বগিতে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। বর্তমানে কুষ্টিয়া বাসীর জন্য অনেক ভালো হয়েছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

বোঝাই যাচ্ছে কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আসলে যারা কুষ্টিয়া শহরে একবার থেকেছে তাদের কাছে এখন কুষ্টিয়া শহরটা প্রায় স্বপ্নের মত হয়ে গিয়েছে। কুষ্টিয়া শহরকে ঘিরে কত স্মৃতি কত আবেগ জড়িয়ে রয়েছে কুষ্টিয়া শহরে গেলেই সেটা বোঝা যায়। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাই কুষ্টিয়া শহরে অনেক স্মৃতি আর আবেগে জড়িয়ে রয়েছে। কুষ্টিয়া শহর মানেই ভালোবাসার জায়গা। সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile