"সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একদিন"

in hive-129948 •  11 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৮ ই অক্টোবর, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20231008_013034.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এরকম সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি গর্বিত। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিনিয়ত আমি নতুন নতুন বিষয়গুলো শিখতে পারছি। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশী দাদা ঢাকাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি নিয়োগের ভাইবা পরীক্ষা দিতে এসেছিলো। যদিও তার চাকরিটা বড় পোস্টের না। তারপরেও সরকারি চাকরি বলে কথা, আপনারা বুঝতেই পারছেন সরকারি চাকরিজীবীদের কতটা মূল্যায়ন।

20230926_123005.jpg

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের যে কোন চাকরি পাওয়াটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই কারণেই বেকার সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আমার এই প্রতিবেশী দাদা তার ভাইবা পরীক্ষা হওয়ার দুইদিন আগেই আমার মেসে এসেছিলো। আমি যখন বাড়িতে যাই তখন এই সকল দাদার ছোট ভাইদের সাথেই বেশিরভাগ সময় পার করি। আমাদের ভেতর বন্ডিংটা অনেক ভালো।

আর ভাইবা পরীক্ষা হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমাকে বলে রেখেছিল যে, পরীক্ষার দিনে দাদার সাথে আমাকেও যেতে হবে। এই দাদার যেদিন ভাইবা পরীক্ষা হবে সেদিন সকাল থেকেই বেশ বৃষ্টি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের সকল ভাইবা পরীক্ষাগুলো মূলত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজেই হয়ে থাকে।

20230926_131420.jpg

দাদার পরীক্ষা যেহেতু দুপুর দুইটা থেকে ছিল তাই আমরা আমাদের বাসার সামনে থেকে একটি রিকশা ভাড়া করে সোজা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে সামনে চলে যায়। তবে যাওয়ার সময় বেশ বিপত্তিতে পড়তে হয়েছিলো। আমরা যখন বের হলাম তখন বৃষ্টি না থাকলেও ধানমন্ডির ভেতর থেকে বেশ জোরে বৃষ্টি নেমেছিলো তবে আমাদের ভাগ্য ভালো রিকশাওয়ালার কাছে পলিথিন থাকাতে আমাদের ভিজতে হয়নি।

20230926_133139.jpg

প্রথমে আমরা দুজনেই সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভেতরে গিয়ে খুজে বের করলাম ভাইবা পরীক্ষাটা আসলে কোন জায়গায় হবে। সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ টা বেশ বড়ই তাই খুঁজে বের করতেও সময় লেগেছিলো। কারণটা আমরা দুজনেই এর আগে কখনো এই জায়গাটি আসা হয়নি। ভাইভা পরীক্ষা দেওয়ার আগে তাদেরকে একটি রুমের ভিতর বসিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি ফরম পূরণ করতে দেয়।

20230926_131607.jpg

ভাইবা পরীক্ষা দেয়ার আগে ও যখন ফরম পূরণ করছিলো তখন দেখি আরো একজন পরিচিত লোক বসে ফরম পূরণ করছে। আর ওই পরিচিত লোকটি আমার মামাদের বাড়ির পাশের বাড়ির একটা ছেলে। যদিও আমার সম্পর্কে কিছু হয় না তারপরও আমাদের বাড়িতে যখন যেতাম তখন এই ব্যক্তিকে মামা বলে ডাকতাম। তারপর আমি একটু এগিয়ে গিয়ে এ রাজিব মামার সাথে কিছু সময় কুশল বিনিময় করলাম। তারপর আমি শুনলাম যে মামা আপনি কবে এসেছেন? আর কোথায় ছিলেন?

20230926_142342-01.jpeg

তখন এই রাজিব মামা বললো যে, তোমার সঞ্জয় মামার মেসে ছিলাম। তারপরে এভাবেই কিছু সময় গল্প করার পরে সবার যখন ফর্ম পূরণ করা শেষ হলো তখন ভাইবা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সব প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে একই ভবনের তিন তালায় যেতে বললো সবাইকে। তারপর ভাইবা দেওয়ার আগে সবাইকে একটি ওয়েটিং রুমে ঢুকালো। যদিও আমি সে, সময়টাতেও তাদের সাথেই ছিলাম। আমি হয়তো ভেবেছিলাম আমাকে ভেতরে যেতে দিবে না।

কিন্তু এই জায়গাটিতে গিয়ে দেখলাম যারা ভাইভা পরীক্ষা দেবে তাদের সাথে অনেকেই এসেছেন‌কারো সাথে নিজের স্বামী এসেছেন, কারো সাথে বাবা এসেছেন কারো সাথে ভাই এসেছেন, কারো সাথে বন্ধু এসেছেন। ভাইভা ওয়েটিং রুমে থাকা অবস্থায় শ্যামল দা আর রাজিব মামার সাথে একটি সেলফি উঠে ছিলাম এরকম সুন্দর স্মৃতিময় মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম।

20230926_131325.jpg

তারপর রোল নাম্বার অনুযায়ী দুজনেরই ভাইভা পরীক্ষা শেষ হলে একসাথে আমরা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বের হয়ে মেসে চলে আসি। একটা সুখবর হচ্ছে দুজনেরই বেশ ভালো ভাইবা পরীক্ষা হয়েছে। এখন বাকিটা সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করছে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এই দুজনের যেন এই চাকরিটা হয়ে যায়। অভিশপ্ত বেকার জীবন থেকে তারা যেনো কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ২৬ ই অক্টোবর ২০২৩
লোকেশনঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়া খুবই মুশকিল। আর সরকারি চাকরি হলে তো কথাই নেই সোনার হরিণ। টাকা ছাড়া তো সরকারি চাকরি হতেই চায় না। আপনার গ্রামের দাদা ভাইবার দিতে গিয়ে ভালো ভাইবা দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি তার চাকরিটা যেন হয়ে যায়। এই বেকারত্বের কষ্টটা ঘুচে যাক।

হ্যাঁ আপু বর্তমানে সরকারি চাকরিটা শোনার হরিণ। অবশ্যই আপু তার চাকরিটা হয়ে গেলে সে বেকারত্বের কঠিন অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সরকারি চাকরি পাওয়া খুবই কষ্টকর। সরকারি চাকরি যেন এখন সোনার হরিণের থেকেও অনেক মূল্যবান হয়ে গেছে। বাংলাদেশ অনেক যুবক আছে যারা ভাইবা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আপনার দাদা চাকরি ভাইবা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল আশা করি তিনি যেন তার কাঙ্খিত ফলাফল পায়।

সত্যি বলেছেন ভাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সরকারি চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

সু স্বাগতম ভাই। ভালো থাকবেন