"টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করে রাতের ডিনার তারপর বাসায় ফেরা"

in hive-129948 •  5 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৮ ই এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে বেশ কয়েকদিন হল গ্রামে আসার পর প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। যদিও গ্রামে প্রচন্ড লোডশেডিং এর কারণে রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না তারপরেও গ্রামীন পরিবেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ প্রিয় একজন মানুষ ভ্রমন করতে ভীষণ পছন্দ করি। বিশেষ করে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলেও সিলেটে ভ্রমণের বিভিন্ন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। কয়েকদিন আগে আমি সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করার পোস্ট শেষ করেছি আজকে আমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষে রাতের ডিনার তারপর বাসায় ফেরার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

সারাদিন অনেকগুলো স্পটে ভ্রমণ করে আমরা সবাই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তবে বিকেলে টাংকু আর হাওর ভ্রমণ করতে পেরে মনের কাছে অনেক প্রশান্তি লাগছিল। আমরা টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষ করে তাহিরপুর নৌকা ঘাট থেকে বিশ্বরম্ভরপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সারাদিন ভ্রমণের পরে ভীষণ ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। কারণ আমরা যেসব এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করেছিলাম সেখানে হালকা ধরনের নাস্তা বাদে ভারী খাবার খাওয়ার কোন সুযোগ পেয়েছিলাম না।‌

আমাদের তাহিরপুর নৌকা ঘাট থেকে বিশ্বরম্ভরপুর আসতে প্রায় এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছিল। আমরা সারাদিনের ভ্রমণ শেষে বিশ্বরম্ভরপুর বাজারে এসে সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম রাতের ডিনার করার জন্য। সারাদিন ভ্রমণ করার পরে সবার অবস্থায় ভীষণ খারাপ ছিলো। সিলেটে ভ্রমণ করার আগের দিন রাতে আমার ঘুম কম হওয়ার কারণে পরের দিন ভ্রমণ শেষে প্রচন্ডমাত্রায় ঘুম পাচ্ছিলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমরা সবাই নিজেরা হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিই। সারাদিনের ক্লান্তিটা সবার চোখে মুখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো।

রাতে ডিনারের জন্য আমরা রেস্টুরেন্টে সাদা ভাত, পাবদা মাছের ঝোল সহ কয় প্রকারের খাবার অর্ডার করি। তারপর আমরা ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বসে নিজেদের মাঝে ভ্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করি। আমাদের এ ভ্রমণটা পুরো সাকসেসফুল একটা ভ্রমন ছিলো। আমরা আজে পাঁচ জন গিয়েছিলাম সবাই এই ভ্রমণটা করে অনেক বেশি মজা পেয়েছিলাম। আমরা টেবিলে বসে কিছু সময় গল্প করতে আমাদের অর্ডার করা খাবার টেবিলে দিয়ে যায়।

তারপর আমরা দেরি না করে খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। প্রথমে আমরা ডাল আর আলুর চচ্চড়ি দিয়ে বেশ ভালোই মজা করে খেলাম। তারপর ঝোল দিয়ে ভাত মাখিয়ে মুখে নিতেই ঘটলো বিপত্তি। একদম বাজে স্বাদের ঝোল মাছের কাঁচা কাঁচা গন্ধ। এক কথায় মাছ ভাজি না করে রান্না করেছে আর ঝোলের ভেতরে প্রচুর ময়লা ছিল। মাছ ভালো করে না ধুয়ে রান্না করলে যা হয় আর কি। তারপর আমরা সাথে সাথেই হোটেলের ওয়েটারম্যানকে ডেকে বললাম যে, মাছের ঝোল আমরা কেউই খাব না।

তখন ওয়েটারম্যান জিজ্ঞাসা করল যে কেন কি হয়েছে সমস্যা কি? আমরা তখন বললাম যে, মাছ ভালো করে না ধুয়ে রান্না করা হয়েছে প্লাস মাছ ভাজি করে রান্না করা হয়নি আমরা ভাজি মাছের ঝোল ছাড়া খেতে পারি না। আসলে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মানুষই বিভিন্ন ধরনের মাছ ভাজি না করে রান্না করে খায় কিন্তু আমাদের কুষ্টিয়ার মানুষেরা বেশিরভাগ মাছ ই ভাজি করে রান্না করে খায়। তারপর ওয়েটারম্যান আমাদের সমস্যাটা বুঝতে পেরে মাছের ঝোল টেবিল থেকে নিয়ে গেল। তারপর আমরা ওয়েটারম্যানকে বললাম যে, আমাদের জন্য একটি করে ডিম ভাজি করে দিতে। তারপর একটু অপেক্ষা করতেই আমাদের জন্য ডিম ভাজি করে দিল তারপর খাওয়া দাওয়া করে আমরা বিশ্বরম্ভরপুর থেকে দিরাই আমার পিসিমণির বাসার দিকে রওনা দিলাম।

আমরা বিশ্বরম্ভরপুর থেকে রওনা দেয়ার একঘন্টা পরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে আসলাম সেখানে চা খাওয়ার বিরতি দিলাম। বাইক ট্রাভেলের এটাই মজা যে, যেখানে সেখানে ইচ্ছা করলে দাঁড়ানো যায়। তারপর সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় এক ঘন্টার জার্নি শেষে দিরাই আমার পিসিমণির বাসায় এসে পৌঁছালাম। তারপর আমরা আপিসিমনির বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে সেদিনের মত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৩০ শে আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ
লোকেশনসুনামগঞ্জ, সিলেট


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার কাছেও ভালো লাগে ভ্রমন করতে।আসলে প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে মনে হয় সকলেরই ভালো লাগে।কিছুদিন আগে আপনার ভ্রমন পোস্ট দেখেছিলাম।আজকেরটাও বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করতে সব সময়ই অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আসলে ভ্রমণ করতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনার টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করে রাতের ডিনার করতে গিয়ে একটু তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল দেখছি। আসলে ভালো করে না ধুয়ে রান্না করলে যা হয় আর কি । আর আমাদের যেহেতু মাছ ভাজি করে খাওয়ার অভ্যেস তাই নরমাল ভাবে রান্না করলে ভালো না লাগার কথা। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সব মিলিয়ে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাই টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ শেষে ডিনার করতে গিয়ে একটু তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। যাইহোক আমাদের ভ্রমণটা ছিল অনেক সুন্দর। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের পোস্টগুলো দেখা হয়েছে আমার। জায়গা গুলো সত্যিই খুব সুন্দর ছিল। আজ রাতের ডিনারের মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। মাছ আমরাও কখনো ভাজি করা ছাড়া রান্না করি না। এই জিনিসটা আমার একদমই ভালো লাগে না খেতে। আপনাদের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু টাঙ্গুয়ার হাওরের জায়গাগুলো সত্যিই অনেক বেশি সুন্দর। আমি নিজেও ভাজি মাছ ব্যতীত খেতে পারি না। গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ভ্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন আপনি। যেখানে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন, এদিকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এদিকে খাবার খাওয়ার অনুভূতিটাও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সব মিলে কিন্তু অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।

যে কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ভ্রমণ করতে তো সবসময় ভালো লাগে মন একদম চাঙ্গা থাকে। জায়গাগুলের নাম শুনে মনে হচ্ছিল এগুলো তো আমাদের দেশের কোন স্থানের নাম না কারণ এই নামগুলো আমি আগে কখনোই শুনিনি। না পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম। আরে মাছ ভাজি করা ছাড়া রান্না করলে খেতে আমারও কিন্তু একদমই ভালো লাগেনা।

যত বেশি ভ্রমণ করা যাবে ততই বেশি মন চাঙ্গা থাকবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ করা আমার অনেক দিনের শখ। শুনেছি হাওরটা অনেক সুন্দর। হারের পাশে রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারনে তারা মাছ ভাজি করে রান্না করে না। কারন এভাবে খেলে মাছের পুষ্টিগুন ঠিক থাকে। তবে আমিও মাছ ভাজি করা ছাড়া খেতে পারি না। যায়হোক অবশেষে ডিম দিয়ে ডিনার করলেন। ধন্যবাদ।

আমারও অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করা অবশেষে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিলো। আসলে ভাই যদি মাছ রান্না খেতেই না পারি তাহলে পুষ্টিগুণ দিয়েই বা কি করবো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।