"কঠিন বাস্তবতা"

in hive-129948 •  10 months ago 


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২৮শে জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



pixabay

আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা প্রত্যেকটি মানুষই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম বাস্তবতার শিকার হয়ে থাকি। কিন্তু কিছু কিছু সময় এই বাস্তবতা অনেক কঠিন এবং নির্মম হয়ে যায়। আর তখনই পুরো জীবন আমাদের বিষাদময় হয়ে ওঠে। আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন গ্রামীণ মানুষের বাস্তবতা চিত্র দেখতে পেতাম তেমনি শহরে আসার পর শহরের বিভিন্ন মানুষের বাস্তবতার চিত্র দেখতে পায়।

সবার জন্য আসলে জীবনটা সহজ নয়! আমি বা আপনি যদি সব সময় চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী থাকি তাহলে কখনোই বাস্তবতা কেমন সেটা দেখতে পাবো না। এই বাস্তবতার চিত্র দেখতে হলে আমাদেরকে বের হতে হবে চার দেয়ালের বাইরে থেকে। আমি সব সময় বাইরে ঘুরে বেড়াতে অনেক বেশি পছন্দ করি।‌ আমি যেহেতু ঢাকাতে ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করছি তাই ক্লাস করার জন্য প্রায়দিনই আমাকে বাইরে বের হতে হয়।

আমি আর আমার বন্ধু রাহুল সব সময় একসাথে বাইকে করে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া আসা করি। কিন্তু গতকালকে বন্ধু রাহুল আমাদের শ্রদ্ধেয় এডমিন সুমন ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে তাই আমি বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করতে গিয়েছিলাম। ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লাস শেষ করে গাবতলী থেকে বাসে উঠলাম। তারপর কিছু সময় পরে কল্যাণপুর থেকে একজন ভদ্রলোক বাসে উঠলো।

তারপর তার মোবাইল থেকে একটি তার ছোট বাচ্চার ছবি বের করে। বাসের যাত্রীদের কে দেখালো এবং বলল যে, তার বাচ্চা ক্লাস দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে হঠাৎ করে এই একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। তারপর সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা করার পরে কোন রোগ ধরতে না পারলে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে রেফার করা হয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে এই বাচ্চাটির বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে দেখা যায় যে হর্টে দুইটা ছিদ্র রয়েছে।‌ এখন ডক্টররা বলেছে যে খুব দ্রুত এই হার্টের ছিদ্রের অপারেশন করতে হবে। আর এই অপারেশন করাতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার উপরে খরচ হবে। কিন্তু এই ব্যক্তিটির কাছে বর্তমানে এত বড় ব্যয়বহুল অপারেশন করার মত টাকা নেই। তিনি এটাও বলেন যে, হেমায়েতপুরের এপেক্সের শোরুমে ছোট চাকরি করেন। কিন্তু তার ছেলের চিকিৎসার জন্যে কঠিন বাস্তবতা তাকে বাসে উঠে সবার কাছে হাত পাততে বাধ্য করেছে।

তাই তিনি সবাইকে বেশ আকুতি ভরে অনুরোধ জানাই যে, যার যেমন সামর্থ্য আছে যেনো তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য করেন। আমি সহ অনেকেই এই ব্যক্তিকে যার যার সামর্থ্য মত চিকিৎসার জন্য সাহায্য করলাম। তারপর বাসটি আসাদগেটে আসার পরে আমি আর ওই ব্যক্তিটি বাস নামলাম তারপর দেখি ওই ব্যক্তিটি কান্না শুরু করে দিলো। হয়তো এভাবে লোকাল বাসে উঠে সবার কাছে বাচ্চাটির চিকিৎসার জন্য হাত পাততে তার অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপর আমি ওই ব্যক্তিকে শান্তনা দিয়ে এবং দ্রুত চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

কঠিন বাস্তবতা মানুষকে বিভিন্ন রকম ভাবে পরীক্ষা নেয়। এই ব্যক্তিটার জন্য বাসায় আসার পরেও ভীষণ খারাপ লাগছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেনো তার ছোট বাচ্চাটির সুস্থতা প্রদান করেন।



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলেই বন্ধু বাস্তবতাটা অনেক কঠিন কার কখন কি হবে কেউ জানে না। ছোট্ট শিশুটাও অসুস্থ হয়ে যায় আবার বৃদ্ধরাও ভালো থাকে। আসলে লোকটির অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছোট চাকরি করে কোন মত সংসার চালানো লোকটি এখন চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার জোগাড় দিচ্ছে। আল্লাহ যেন দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন সেই দোয়াই করি

Posted using SteemPro Mobile

সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।

Posted using SteemPro Mobile

দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন শিশুটিকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন আমিন। আসলে লোকটি অনেক বড় বিপদে পড়ে মানুষের কাছে হাত পেতেছে যেহেতু তার বাচ্চাটির জীবন বাঁচাতে হবে। হার্ট ছিদ্র হয়ে গিয়েছে যার জন্য অপারেশন করতে হবে। চোখের সামনে এরকম অনেক বাস্তবতা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু সব সমস্যার সমাধান করার মত ক্ষমতা তো সৃষ্টিকর্তা দেন নাই। যাই হোক বন্ধু তুমি লোকটির পাশে দাঁড়িয়েছো সান্ত্বনা দিয়েছো জেনে অনেক ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ বন্ধু সবাই দোয়া করলে হয়তো শিশুটি অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।

Posted using SteemPro Mobile

বাস্তবতা একটা অন্যরকম জিনিস ভাই, সেটা চার দেয়ালের মাঝখানে বসে থেকে অনুভব করা সম্ভব নয়, এই কথাটা একদমই সঠিক। বাসে উঠে যে ভদ্রলোকটা ছোট্ট বাচ্চাটার ছবি বের করে অসহায় ভাবে আপনাদের দেখিয়েছে এবং সাহায্যের জন্য আবদার করেছে, সে নিতান্ত অসহায় না হলে আর এই কাজ করত না । তবে আপনারা সেই লোকটাকে সাহায্য করেছিলেন, যার যতটা সামর্থ্য ছিল তাই দিয়ে, এটা জেনে ভালো লাগলো। আশা করি, ছোট্ট বাচ্চাটা আপনাদের মত মানুষদের সাহায্য পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে।

বাস্তবতাটা আসলে অনেক কঠিন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile