হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪ শে মে, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবি সংযুক্ত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের ওই কোন না কোন স্বপ্ন থাকে আর আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে একজন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। এ পৃথিবীতে অনেক অনেক ক্যাটাগরির ইঞ্জিনিয়ার আছে এর ভেতর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। কারণ প্রাচীনকাল থেকে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা মানুষ জাতিকে সভ্য করে তুলতে পেরেছে। প্রাচীনকালের মানুষরা বাড়িঘর ব্যতীতই তারা বসবাস করত কিন্তু আস্তে আস্তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচেষ্টায় মানুষজন বাড়ি-ঘরে থাকা শুরু করে। আমি এসএসসি পাশ করে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সিভিলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করি। আর এখন সিভিলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। প্রতিনিয়ত নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এভাবেই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন-শেষ পর্ব আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা সকালের নাস্তা করে আমাদের উপহার দেওয়া নির্ধারিত গেঞ্জি পড়ে কার্ড গলায় ঝুলিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। প্রথমে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা মিলে কবুতর এবং বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করে। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এমপি মাহবুবুল উল হানিফ। আমাদের ঈদ রিইউনিয়নের অনুষ্ঠানটি বেশ ভালোই ঢাকঢোল পিটিয়ে আরম্ভ করা হয়।
আমরা যে কয়জন বন্ধু বান্ধবীরা গিয়েছিলাম সবাই মিলে একসাথে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করি। প্রথম ধাপের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে আমরা আমাদের নির্ধারিত শ
চেয়ারে গিয়ে বসি। এই সুন্দর সুসজ্জিত মন চেয়েছে অনুষ্ঠানের প্রথমেই কুরআন তেলাওয়াত ও শ্রীমৎ ভাগবত গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনা করা হয়। তারপর একে একে বিভিন্ন বক্তারা বক্তৃতা দিতে থাকে।
আমাদের ঈদ রিইউনিয়নের এই অনুষ্ঠানে এতটা রাজনৈতিক বিদের প্রভাব থাকতে এটা কখনোই ভাবতে পারেনি। আমার ইচ্ছা ছিল সকল শিক্ষকদের থেকে সুন্দর সুন্দর বক্তব্য শুনবো কিন্তু তার বদলে রাজনৈতিক বিদদের থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য শুনতে হয়েছে। আমরা কিছু সময় বসে থাকার পর এসব বক্তব্য না শুনে চেয়ার থেকে উঠে আবার মেহগনি বাগানের দিকে চলে গেলাম।
আমাদের যেদিন এই ঈদ রিইউনিয়ন হয়েছিলো সেদিন ভীষণ গরম পড়েছিলো। আর সে সময়টাতে তীব্র দাবদাহ চলছিলো। আমরা দেখতে পেলাম যে, বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কুলফি মালায় বিক্রি করছে। কুষ্টিয়াতে যতো কুলফি মেলায় বিক্রি করে সবই তৈরি হয় কয়া গ্রামে। আমি যখনই কুষ্টিয়াতে আসি সব সময় চেষ্টা করি কুলফি মালায় খাওয়ার। কারণ কুলফি মেলায় আমার ভীষণ পছন্দের।
এমন সুন্দর কুলফি মেলায় দেখে লোভ সামলাতে না পেরে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজনে কুলফি মালাই কিনে খেলাম। মেহগনি বাগানের ভেতর কোন বাতাস না থাকলেও সেখানকার পরিবেশটা ছিলো বেশ শীতল। তাইতো আমাদের মতো অনেকেই এসব রাজনৈতিক বক্তব্য না শুনে এই মেহগনি বাগানে এসে নিজেরা গল্প করছিলো।
আমরা অনেকটা সময় এই মেহগনির বাগানের ভেতরেই কাটালাম। যদিও এর মাঝে একবার মঞ্চে গিয়েছিলাম তারপরে আবার সেখান থেকে চলে এসেছিলাম। কারণ প্রচন্ড গরমের ভেতর এসব বক্তব্য শুনতে একদম ইচ্ছা করছিল না। আমরা শুধুমাত্র চেষ্টা করেছিলাম আমাদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষকদের বক্তব্য গুলো শোনার জন্য। কারণ একমাত্র তাদের থেকেই জীবনে পথ চলার সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
মোটামুটি ১২ঃ৩০ টার ভেতরে ঈদ ইউনিয়নের দুপুরের অনুষ্ঠান শেষ হয়। তারপর সবাইকে বলা হয় টোকেন নিয়ে দুপুরের খাবার সংগ্রহ করতে। সকালের উপহারগুলোর সাথে সাথে সবার দুপুরের খাবারের জন্য আলাদা আলাদা টোকেন দিয়ে দিয়েছিলো। আর আমরা সবাই এটুকে নিয়ে আবার আমাদের বুথ দুপুরের খাবার সংগ্রহ করলাম। তারপর আমরা সহপাঠীরা মিলে খেলার মাঠের সবুজ ঘাসের উপর একসাথে বসে দুপুরের খাবার খেলাম। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মঞ্চে গিয়ে একসাথে বেশ কয়েকটি গ্রুপ ফটো তুলেছিলাম অবশ্য সেগুলো এখনো আমি হাতে পাইনি। তারপর সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল বাড়ির দিকে রওনা দিই। ঈদ রিইউনিয়নের পুরো দিনটাই অনেক সুন্দর উপভোগ করেছিলাম।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ঈদ রিইউনিয়ন-শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১২ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
অনেক বড় আয়োজন তার চেয়ে বড় কথা সবাই একসাথে মিলিত হতে পারা। অনুষ্ঠান শেষে সবার জন্য আবার গিফট বক্স আসলে প্রতি বছর যদি এরকম আয়োজন করা হয় তাহলে মন্দ হয় না। বিষয়টা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বন্ধু অনেক বড় আয়োজন করেছিল সবাই একসাথে মিলিত হতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছিলো। প্রতি বছর যদি এরকম আয়োজন করে তাহলে তো দারুণ হবে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আপনি বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন ভাই আজকে আমাদের মাঝে। আসলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর জায়গাগুলো আমার বেশ পরিচিত। আমি কুষ্টিয়াতে যখন ছিলাম তখন প্রায় দিন বিকেল বেলায় ফুটবল খেলায় মেতে উঠতাম এই জায়গাতে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা সকলে মিলে বেশ দারুন একটি প্রোগ্রাম করেছিলেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও তো কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে যখন পড়তাম তখন প্রতিদিন বিকালেই ফুটবল খেলতে যেতাম অনেক বেশি ভালো লাগতো। হ্যাঁ ভাই আমরা সবাই মিলে দেশ দারুণ একটি প্রোগ্রাম করেছিলাম। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেকোনো অনুষ্ঠানে গেলে আমার সবচাইতে বিরক্ত লাগে এই বক্তব্যের অংশটা। বিশেষ করে অনেক রাজনীতিবিদের বক্তব্য। মেহেগুণী বাগানে দেখছি একেবারে চাঁদের হাঁট বসে গিয়েছে। বেশিদিন হয়নি এইতো ফেব্রুয়ারি মাসেও বিদায় অনুষ্ঠানে সব বন্ধুরা মাঠের মধ্যে বসে খাবার খেয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই মেহগনি বাগানে চাঁদের হাট বসেছিলো। সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছিলাম ভাই। সন্ধ্যা সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit