হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর প্রতিদিন সবার নতুন নতুন পোস্ট পড়তে এবং কমেন্ট করতে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার বাংলা ব্লগ মানেই ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। কিছুদিন আগে নড়াইল বাইক ট্যুর দিয়েছিলাম তারপর ইউনিভার্সিটি লেখাপড়া আর ব্যস্ততার কারণে ঘোরাফেরা করা বন্ধ ছিলো। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই বন্ধু রাহুল আর ছোট ভাই জীবন আমাদের বাসায় আসলো। ওরা দুজন মাঝেমধ্যেই আমাদের বাসায় আসে থাকে আবার চলে যায়। সত্যি বলতে একসাথে এভাবে সপ্তাহের দুই একটা দিন ওদের সাথে সময় কাটালে ভীষণ ভালো লাগে। সেদিন রাতে হঠাৎ করেই বাইক নিয়ে মাওয়া গিয়েছিলাম। এখন আমি মধ্যরাতে মাওয়াতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা যে রেস্টুরেন্ট থেকে ইলিশ মাছকে নিয়ে রেসিপি করতে দিয়েছিলাম সেই রেস্টুরেন্ট এর পাশেই একটা চা স্টলে বসে চা খাচ্ছিলাম। তারপর যখন আমাদের খাবার রেডি হয়ে গেল তখন আমরা রেস্টুরেন্টের খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম। তারপর ওয়েটার ম্যান আমাদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেল। বন্ধু রাহুল আর পাপ্পু ভাই মিলে সব প্লেটে খুব সুন্দরভাবে খাবার ডিস্ট্রিবিউশন করে দিলো।
তারপর খাওয়ার আগে ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম যাতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। এইটা হচ্ছে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা। এখানে এসে আজ পর্যন্ত যত খাবার খেয়েছি সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা। এটা যে শুধু আমার প্রিয় খাবার তা নয় এটা মাওয়াতে যারা আসে সবার প্রিয় খাবার। ইলিশ মাছ ভাজি থেকে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তায় সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
আমরা দুইটা ইলিশ মাছ কিনেছিলাম। আমাদের মাছ দুইটা যে অতিরিক্ত বড় ছিল তা না আবার অতিরিক্ত ছোট ছিল তাও না মোটামুটি একটা সাইজের। আমাদের কেনা দুটি ইলিশ মাছ থেকে মোট ১২ পিস সলিড মাছ হয়েছিল। আর আমাদের খাবারের মেনুতে ছিল বেগুন ভাজি রেসিপি। ইলিশ মাছের সাথে গরম গরম বেগুন ভাজি রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বেগুন ভাজি রেসিপি ভীষণ পছন্দ করি। আবার মেসে প্রায় দিনই বেগুন ভাজি রেসিপি করে খায়। এটা ছিল সালাদের রেসিপি। এরকম একটা খাবার সালাদ না হলে কি হয়! শসা, পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা, লেবু ও পাকা মরিচ বাটা দিয়ে তৈরি চমৎকার সালাদ ছিল। অনেকটা সময় ধরে বসে গল্প করতে করতে সবাই মিলে পেট পুরে খেলাম। এখানকার খাবারগুলো মোটামুটি ভালোই লেগেছিল তবে আর একটু বেশি ভালো হলে ভালো লাগতো।
আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পেমেন্ট করলাম। এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাইক নিয়ে পদ্মা নদীর তীরে যাবো। যদিও সেদিন প্রচন্ড কুয়াশাতে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই বাইক নিয়ে যাওয়াটা একটু সমস্যা ছিল। তারপরেও বাইক নিয়ে রওনা দিলাম পদ্মা নদীর তীরে। পদ্মা নদীর তীরে অনেক দোকানপাট আছে সেখানে ঘুরে ঘুরে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করলাম।
তারপর ঘড়ির কাঁটায় যখন রাত দুইটা পার হয়েছে তখন আমরা মাওয়া থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যখন মামাতে এসেছিলাম তখন রাস্তায় মোটামুটি কুয়াশা পেয়েছিলাম আর মোটামুটি শীত ছিল। কিন্তু যাওয়ার সময় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। এত পরিমানে কুয়াশা ছিল যে, ৫ ফিট দূরে কি আছে সেটা দেখা যাচ্ছিল না আবার সাথে শীত ছিল হার কাঁপানো। এরকম পরিস্থিতিতে বাইক চালিয়ে যাওয়াটা সত্যি ভীষণ কষ্টকর। অনেক কষ্টে বাইক ড্রাইভ করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বাসায় পৌঁছেছিলাম।
সর্বোপরি এই বাইক ট্যুর আমাদের জন্য অ্যাডভেঞ্চার ছিলো। কারণ এরকম পরিস্থিতিতে বাইক ড্রাইভ এর আগে কখনোই করা হয়নি। আমরা সবাই মিলে এই ভ্রমণটা দারুন উপভোগ করেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই শীতের মধ্যে বাইক ট্যুরের কথা চিন্তা করতে গেলেই তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। খাবারগুলো দেখে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে। আরে হ্যাঁ দেখে বোঝা যাচ্ছে তীব্র কুয়াশা আসলেই এই কুয়াশার মধ্যে পাঁচ ফিট সামনে কি আছে সেটা বোঝা দুষ্কর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বন্ধু খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। অনেক কষ্ট করে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের সময় মধ্যরাতে মাওয়া গিয়ে ইলিশ মাছের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি যেটা খাওয়ার মজাই আলাদা। দুই বছর আগে গিয়েছিলাম সেই কথা মনে পড়ে গেল। বিশেষ করে ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা আমার খুবই ভালো লেগেছিল। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল বন্ধু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বন্ধু তুমি যেদিন গিয়েছিলে সেদিন আমি বাসায় ছিলাম। তুমিও ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা অনেক পছন্দ করো জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের সময় মধ্যরাতে বেশ মজার খাবার খেয়েছেন।প্রতিটি খাবার অনেক মজার ছিল। আসলে বন্ধুবান্ধব মিলে এভাবে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু শীতের সময়ে মাওয়া দিয়ে মধ্যরাতে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন কুয়াশার মাঝে মাওয়া হাইওয়ে তে ড্রাইভ করা আসলেই অনেক টা রিস্কি ড্রাইভিং। কারণ সেখানে তো সবসময়ই বেশ হাই স্পীডে গাড়ি চলাচল করতে থাকে। বাইক ট্যুরে সবসময়, সকলে হেলমেট অবশ্যই পরবেন ভাই। আপনাদের মধ্যরাতের মাওয়া বাইক ট্যুর এর কাহিনী পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দিদি এক্সপ্রেসওয়েতে অনেক স্পিডে গাড়ি চলে এজন্য কুয়াশার ভিতর যাওয়াটা অনেক রিস্ক হয়। আমরা সবাই হেলমেট পড়েই গিয়েছিলাম আরো অনেক সাবধানতা অবলম্বন করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বাইক ট্যুর গুলো দেখে খুব ভালো লাগে ভাই। আপনি বাইক নিয়ে দারুন সুন্দর সব ট্যুর করেন। এবার মাওয়াতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বাইক নিয়ে গিয়ে। অনেক রকম নতুন নতুন খাবার-দাবার খেয়েছেন দেখছি সকলে মিলে। দারুন সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দাদা নতুন নতুন খাবার খেয়েছিলাম। আর সবাই মিলে মাওয়া গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit