আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।
আজকে আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আসলাম। চলেন তাহলে শুরু করা যাক।
আজকে নিয়ে প্রায় অনেকদিন হলো। ঢাকায় গেছিলাম একটি প্রোগ্রামে। অনেকদিন ধরে প্ল্যান করছিলাম যাব। প্রায় যাওয়ার টেনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম তারপর আসলো সেই কাঙ্ক্ষিত দিন ।সকালে তাড়াতাড়ি বের হলাম একটা সিএনজি ধরে ভোর ৫টা থেকে রওনা দিলাম, আমার সাথে আর একজন ছিল আমরা দুজনেই একসাথে প্রায় পড়ালেখা করি। সেই পাঁচটার দিক বের হওয়ার পর অনেকক্ষণ ধরে যাওয়ার পর সেই নওগাঁ নামে একটি জায়গায় পৌঁছলাম তখন প্রায় আটটা বাজে। সেখানে গিয়ে দেখলাম ঢাকা যাওয়ার অনেকগুলো বাস। অনেক নামের বাস ছিল যেমন ধরেন হানিফ, শ্যামলী ইত্যাদি। তারপর সেই বাস কাউন্টারে গেলাম সেখানে টিকিট কাটার জন্য বসেছিল ঢাকা যাওয়ার ভাড়া হচ্ছে ৬০০ টাকা কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে বেশি চাচ্ছিল একজনকে বলে ফেলল ৮০০ টাকা নিবে আবার অন্য জায়গায় গিয়ে বললাম ওরা বলল সাড়ে সাতশো টাকা নিবে আমাদের দুজনের ভাড়া একসাথে।
তারপর অনেক রিকুয়েস্ট করার পর সে ৬০০ টাকায় রাজি হল বললো যে আটটা দশে গাড়ি আসবে ততক্ষণ তোমরা একটু ওয়েট করো। অনেকক্ষণ ওয়েট করার পর দেখলাম আটটা দশ বেজে গেছে তাও সে গাড়ি আসলো না দেখে ঘড়িতে প্রায় আটটা তেইশ বাজে ।একটু রাগ হলো আমার।
বাস কাউন্টার এর লোক কে বললাম আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। সে বলল আরেকটু অপেক্ষা করো এক্ষুনি আসবে।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস চলে আসল। আমরা যে বাসে উঠেছিলাম তার নাম ছিল হানিফ। হানিফ ছিল দ্রুততার রাজা এক প্রকারের প্রচুর জোরে গাড়ি চালাই হানিফ। তারপর আমাদের জন্য বাসে উঠলাম আটটা ৩৮ এ এটা জলের বোতল কিনে নিলাম আসলে সকালে তেমন কিছু খাওয়া-দাওয়া করি নাই কারণ আমাদের এখানে এত সকালে মা খাবার তৈরি করেনি। বাসে ওঠার পর বাস ছাড়লো প্রায় অনেক রাস্তা ছয় ঘন্টার রাস্তা। আমি আর আমার সাথে যে ছিল তাদের দুজনের সমস্যা কারণ আমরা বাসে বমি করি। এটা এক প্রকার লজ্জা জন ক বিষয় সকলের কাছে।
সেই অনেকক্ষণ ধরে যাচ্ছিলাম যাচ্ছিলাম যাচ্ছিলাম আর যাচ্ছিলাম যেন শেষ হয়েছে রাস্তা। প্রায় চার ঘন্টার পর শেরপুর নামে এক জায়গায় থামল সেখানে পুলিশ সেই বাস গাড়িটিকে ধরল এবং সাথে সাথে ওভার স্পিডের কারণে কেস দিয়ে দিল প্রায় ৬ হাজার টাকা ।আমরা বাসে বেশি জন ছিলাম না এটা টিকিটের বাস এই জন্য মাত্র আমরা ছিলাম ৬ জন যারা কখনো বাংলাদেশের ঢাকায় এসেছেন তারা বুঝবেন। সেখানে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পর সে ঝামেলা মেটার পর আবার বাস রওনা দিল। অনেকক্ষণ পর আমরা যমুনা সেতু পেরলাম। বঙ্গবন্ধু সেতুও বলা হয় আর কি। তখন প্রায় বিকেল পাঁচটা বাজে পৌছালাম ।বাসে জানি যে কত কষ্ট কর যারা বমি করে তারাই জানে। সে ঢাকা সাভারে পৌঁছলাম আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্য এ। আমরা যে জায়গায় যাইতাম সেই জায়গার নাম ছিল ঢাকা সাভার রেডিও কলনি। এখানে আমাদের সে কষ্টকর যাত্রা সমাপ্তি হয়।
যদি আমার গল্পটা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্য একটা কমেন্ট করবেন।